Welcome to the Opel's Galaxy

"Love is like a piano...at first you have to play it by its rules....then you must forget the rules and play it with your heart...."

Saturday, April 30, 2011

জুমলা টিউটোরিয়াল ১: প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড

আমি যখন জুমলা শেখা শুরু করি, তখন গুগলে বাংলাতে জুমলা টিউটোরিয়াল সার্চ দিয়ে বেশ ক’টি টিউটোরিয়াল পেয়েছিলাম। কিন্তু টিউটোরিয়ালগুলো খুব বেশিদূর যেতে পারে নি। হয় লেখক উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন, নয়তো সময় পান নি। আবার একেক লেখক একেকটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ফলে বাংলাতে জুমলার কোনো পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল আমি অন্তত খুঁজে পাই নি। যে কারণে যখনই কোনো সমস্যায় পড়েছি, নানাজনকে বিরক্ত করে এবং গুগলিং করে করে সমস্যার সমাধান করতে হয়েছে। এই করতে করতেই www.bdeduarticle.com ওয়েব সাইটটি বানিয়ে ফেললাম।

আমি কিন্তু জুমলা সম্পর্কে ভালো জানি না। সামান্য কিছু এইচটিএমএল ছাড়া অন্য কোনো প্রোগ্রামিং ভাষাও জানি না। কিন্তু গুঁতোগুতি করে জুমলা দিয়ে একটি ওয়েব সাইট বানিয়েছি। সেই প্রথমদিন সেটআপ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যে বিষয়গুলো শিখেছি, সেগুলোই শেয়ার করার কথা ভাবছি। এতে নবীন জুমলা ব্যবহারকারীরা উপকার পেতে পারেন। তার চেয়ে বড় কথা- একজন নবীন ব্যবহারকারী জুমলা ব্যবহার করতে গিয়ে কী কী ‘সিলি’ সমস্যায় পড়েন, সেগুলো সম্পর্কেও জানা যাবে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বিজ্ঞ ব্যবহারকারীরা টিউটোরিয়াল দিতে গিয়ে ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে যান, ভাবেন এই ছোট সমস্যাগুলো হয়তো নবীনরা সহজেই ঠিক করে নিতে পারবে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছি, সামান্য সমস্যা মানুষকে বড় বিপদে ফেলতে পারে।

যা হোক, এই টিউটোরিয়াল থেকে কিছু শেখার আশা না করাই ভালো। বরং একজন নবীন ইউজার পদে পদে ঠেকতে ঠেকতে কীভাবে একটি জুমলা সাইট বানিয়ে ফেললো, সেই অভিজ্ঞতা পড়ার মানসিকতা নিয়ে বসাটাই বোধহয় ভালো হবে।

জুমলা দিয়ে ওয়েব সাইট বানাতে হলো দুটো সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে। একটি হলো জুমলা এবং আরেকটি সার্ভার।

জুমলা: জুমলা একটি সিএমএস (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)। গুরুজনেরা বলেন, জুমলা দিয়ে নাকি ওয়েবের সব কাজই করা যায়। কেবল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেই হলো। তবে সাধারণ ওয়েব সাইট বা ফোরামের মতো সাইট বানাতে হলে তাও জানতে হয় না। ওয়েব সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকলেই হয়। তো, জুমলা দিয়ে ওয়েব সাইট বানাতে হলে সবার আগে যেটা লাগবে সেটা হলো জুমলা। জুমলার ওয়েব সাইট থেকে সর্বশেষ সংস্করণটি ডাউনলোড করে নিন। ওয়েব সাইটের ঠিকানা হলো- http://www.joomla.org/

সার্ভার: আপনি দু’ভাবে জুমলা ব্যবহার করতে পারেন। ডোমেইন নেম এবং স্পেস কিনে বা বিনামূল্যের ওয়েব সাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে সেখানে জুমলা সেটআপ করে ব্যবহার করতে পারেন। বিনামূল্যে ডোমেইন ও স্পেসের জন্য প্রচুর ওয়েব সাইট রয়েছে। আমি যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি, সেটি হচ্ছে www.freehostia.com । সেখানে গিয়ে আপনি জুমলা ইনস্টল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন।

তবে শেখার জন্য লোকালহোস্ট অর্থাৎ আপনার নিজের কম্পিউটারটাকেই সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করা ভালো। তাতে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। নিজের পিসিকে সার্ভার বানাবার জন্য wamp, xamp, lamp (লিনাক্সের জন্য) ইত্যাদি সার্ভার রয়েছে। আপনি এর যে কোনোটিই ব্যবহার করতে পারেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে wamp সার্ভার ব্যবহার করি। সার্ভারটির সর্বশেষ সংস্করণ http://www.wampserver.com/en/download.php ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে।

জুমলা দিয়ে ওয়েব সাইট বানানোর জন্য আপনাকে পিএইচপি, মাইএসকিউএল এবং অ্যাপাচি ব্যবহার করতে হবে। এগুলোর বিভিন্ন ভার্সন বা সংস্করণ থাকলেও আপনাকে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে না। কারণ wamp ইনস্টল করলে এগুলো নিয়ে আপনার চিন্তা করার দরকার হবে না।

আশা করি, wamp সার্ভার এবং জুমলা ডাউনলোড করে রেখেছেন। আগামী পর্বে দেখানো হবে কীভাবে wamp সার্ভার ইনস্টল করতে হয়। Read more ...

Wednesday, October 7, 2009

অনলাইন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং৷

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ভুবনে তরুণদের কাছে বহুল আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে অনলাইন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং৷ যদিও আমাদের দেশে এখনো এ বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন৷ পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে যেকেউ গড়ে নিতে পারেন নিজের ভবিষ্যত্ ক্যারিয়ার৷ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল বাজার৷ উন্নত দেশগুলো উত্পাদন খরচ কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে৷ আমাদের পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে৷ আমরাও যদি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের বিশাল বাজারের সামান্য অংশ ধরতে পারি, তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার একটি কার্যকর উপায়৷

গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ইন্টারনেটের কল্যানে এখন আপনি খুব সহজেই একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। এখানে একদিকে যেরকম রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে কাজের ধরন বাছাই করার স্বাধীনতা। আয়ের দিক থেকেও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এ রয়েছে অভাবনীয় সম্ভাবনা। এখানে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন কাজ আসছে। প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট, গেম, 3D এনিমেশন, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ টেস্টিং, ডাটা এন্ট্রি - এর যেকোন এক বা একাধিক ক্ষেত্রে আপনি সফলভাবে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করে নিতে পারেন। তবে প্রথমদিকে আপনাকে একটু ধ্যর্য এবং কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। এই প্রতিবেদনটি তাই এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে সফলভাবে প্রকাশ করতে পারেন।



ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট

ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্ববচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়। এই পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)। এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে: http://www.RentACoder.com, http://www.GetAFreelancer.com, http://www.GetACoder.com, http://www.Scriptlance .com, http://www.Joomlancers .com , http://www.oDesk.com ইত্যাদি।

নিচে কয়েকটি সাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

http://www.RentACoder.com

রেন্ট-এ-কোডার এ প্রায় দুই লক্ষ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই সাইটে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ পাওয়া যায়। সাইটের সার্ভিস চার্জ বা কমিশন হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১৫% যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারকে পরিশোধ করতে হয়। এই প্রতিবেদনটি মূলত রেন্ট-এ-কোডার সাইটকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তবে মূল ধারনা প্রতিটি সাইটের ক্ষেত্রেই প্রায় একই।

http://www.GetAFreelancer.com

এই সাইটে মোট কোডার বা প্রোভাইডারের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় সাত লক্ষ। এই সাইটেও প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ প্রতিদিন পাওয়া যায়। সাইটির সার্ভিস চার্জ হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১০%। তবে গোল্ড মেম্বারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ নেই। গোল্ড মেম্বার হতে প্রতি মাসে আপনাকে মাত্র ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। নতুন ইউজারদের জন্য এই সাইটে ট্রায়াল প্রোজেক্ট নামে একটি বিশেষ ধরনের কাজ পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র নতুন কোডারাই বিড করতে পারবে। ফলে প্রথম কাজ পেতে আপনাকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।

http://www.joomlancers.com

এই সাইটে শুধুমাত্র Joomla এর কাজ পাওয়া যায়। Joomla হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যারা Joomla এ পারদর্শী তারা এই সাইটে বিড করে দেখতে পারেন। এখানে প্রায় ৫৫০০ ফ্রিল্যান্সার রেজিস্ট্রেশন করেছে আর এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ টি কাজ পাওয়া যায়। এই সাইটে কমিশন হিসেবে প্রতিটি কাজের ১০% টাকা কোডারকে পরিশোধ করতে হবে। গোল্ড মেম্বার হতে হলে আপনাকে প্রতি মাসে ৫০ ডলার প্রদান করতে হবে।

http://www.oDesk.com

এক সাইটের ফিচার উপরে উল্লেখিত সাইট থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে প্রোভাইডারকে প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য টাকা প্রদান করা হয়। ক্লায়েন্ট আপনাকে সম্পূর্ণ প্রজোক্টের জন্য বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস এর জন্য) নিয়োগ দিতে পারে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় প্রতি ঘন্টায় আপনার কাজের মূল্য উল্লেখ করে দিতে হবে। কাজ শেষে আপনি যত ঘন্টা কাজ করেছেন ঠিক ততটুকু পরিমাণ টাকা ক্লায়েন্ট আপনাকে প্রদান করবে। কাজ করার মূহুর্তে আপনার ব্যয়কৃত সময় নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে একটি সফ্টওয়্যার চালু রাখতে হবে। এই সফ্টওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনার ডেস্কটপের স্ক্রিসশট এবং অন্যান্য তথ্য ক্লায়েন্টের কাছে পাঠাবে। ফলে ওই সময় আপনি কাজ করছেন কিনা ক্লায়েন্ট সহজেই নির্ধারণ করতে পারবে। তবে অন্য সাইটগুলোর মত এখানেও অনেক কাজ পাওয়া যায় যেখানে সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট টাকা প্রদান করা হয়। এই সাইটে প্রতি কাজের জন্য ১০% টাকা কমিশন হিসেবে প্রদান করতে হয়। যেহেতু বেশিরভাগ কাজ ঘন্টা হিসেবে প্রদান করা হয় তাই অন্য সাইটগুলোর তুলনায় এই সাইট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব।

অনলাইনে কাজের ধরন

অনলাইনে প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন তাহলে ডাটা এন্ট্রি এর মত কাজগুলো করতে পারেন। ছাত্ররাও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের একটা ব্যবস্থা করতে পারেন। ইন্টারনেটে নিম্নলিখিত প্রকারের কাজ পাওয়া যায়: প্রোগ্রামিং , ওয়েবসাইট তৈরি , ডাটাবেইজ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, গেম তৈরি, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়ার টেস্টিং এবং ডাটা এন্ট্রি।

কিভাবে শুরু করবেন

প্রথমে যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিস্ট্রশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রশন করা সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ইমেইল ইত্যাদি সঠিকভাবে দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের একটি ধাপে আপনার একটি প্রোফাইল/রেজ্যুমে তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে পারদর্শী তা উল্লেখ করবেন। এখানে আপনি আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, ওয়েবসাইট লিংক ইত্যাদি দিতে পারেন। পরবর্তীকালে এই প্রোফাইল কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর, এখন আপনি বিড করা শুরু করে দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে প্রতি মূহুর্তে নতুন কাজ আসছে। আপনার পারদর্শীতা আনুযায়ী প্রতিটা কাজ দেখতে থাকুন। প্রথম কয়েক দিন বিড করার কোন প্রয়োজন নেই। এই কয়েকদিন ওয়েবসাইটি ভাল করে দেখে নিন। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন এবং সাহায্যকারী আর্টিকেল পড়ে ফেলতে পারেন। একটি কথা মনে রাখবেন, প্রথমদিকে কাজ পাওয়া কিন্তু সহজ নয়। তাই আপনাকে ধর্য্যসহকারে বিড করে যেতে হবে। প্রথম কাজ পেতে হয়ত ১০ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। কয়েকটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। তখন ক্লায়েন্টরাই আপনাকে খোজে বের করবে।

কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়

শুরুতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে জানতে হবে। সেগুলো হল:

Rating :

একটি কাজ সম্পন্ন হবার পর ক্লায়েন্ট আপনার কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে আপনাকে ভোট দিবে। এখানে সর্বোত্তকৃষ্ট রেটিং হচ্ছে ১০। নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে এই রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন ‌১০ রেটিং পেতে। এজন্য কাজ জমা দেয়ার আগে ভাল করে দেখে নিন আপনি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন কিনা এবং নির্ধারিত সময় শেষ হবার পূর্বেই কাজ জমা দিন। গড় রেটিং ৯ এর চেয়ে কম হলে ধীরে ধীরে নতুন কাজ পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে।

Ranking :

ফ্রিল্যান্সিং একটি সাইটে সকল কোডার এর মধ্যে আপনার অবস্থান কত তা জানা যায় রেংকিং এর মাধ্যমে। রেন্ট-এ-কোডারে আপনার গড় রেটিং এবং সর্বমোট কত টাকার কাজ সম্পন্ন করেছেন তা দিয়ে আপনার অবস্থান নির্ধারিত হয়। রেটিং এর মত রেংকিং ও নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার রেংকিং যত সামনের দিকে তার কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে বেশি। তবে বিড করার সময় আপনি যদি ক্লায়েন্টকে আপনার মনোবল, আত্মবিশ্বাস আর সম্ভব হলে পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে পারেন তাহলে সবাইকে পেছনে ফেলে আপনিই কাজ পেয়ে যেতে পারেন।

Deadline :

কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্ট কাজ জমা দেবার একটি ডেডলাইন বা সর্বোচ্চ সময়সীমা উল্লেখ করে দেয়। আপনার যদি মনে হয় যে এই কাজ আপনি ক্লায়েন্ট কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারবেন না তাহলে কাজ শুরু করার পূর্বেই ক্লায়েন্টকে অনুরোধ করুন ডেডলাইন সময় বাড়িয়ে দিতে। ক্লায়েন্ট সম্মত হলে কাজটি শুরু করুন। আর যদি ক্লায়েন্ট সময় বাড়াতে আপত্তি জানায় তাহলে কাজটি গ্রহন না করাই আপনার জন্য ভাল হবে। কারন ডেডলানে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যদি আপনি কাজটি জমা দিতে না পারেন তাহলে কাজের সম্পূর্ণ টাকাই আপনি হারাতে পারেন। উপরন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি বাজে রেটিং দিয়ে দিতে পারে। তাই কখনও যদি এরকম কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তখন অনতিবিলম্বে আপনার বর্তমান অবস্থা ক্লায়েন্টকে জানান এবং ডেডলাইন সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করুন।

Mediation/Arbitration:

কখনও যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় বা সম্পূর্ণ কাজ জমা দেবার পর আপনাকে বলে যে আপনি ঠিকভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করেন নি তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মেডিএশন/আর্বিট্রশনের সাহায্য নিতে পারেন। এই সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি ওই সাইটের কাছে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন। সাইটের কর্তৃপক্ষ তখন উভয়পক্ষের অভিযোগ শুনবে এবং কাজ চলাকালীন সময় ক্লায়েন্ট এবং আপনার মধ্যে যে ম্যাসেজ আদান-প্রদান হয়েছে তা যাচাই করে দেখবে। সবশেষে আপনার অভিযোগ সত্য হলে আপনি পুরো টাকা পেয়ে যাবেন। তবে যতটা সম্ভব আর্বিট্রেশনে না যাওয়াই উত্তম, কারন অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ ক্লায়েন্টকে সাপোর্ট করে এবং আপনি কোন টাকা পাবেন না। আপনি দোষী প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি বাজে রেটিং দিয়ে দিবে। তাই চেষ্টা করবেন আলোচনার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে মিমাংসা করে নিতে। এরকম অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্টকে বলুন তাদের চাহিদা পরিষ্কার করে উল্লেখ করতে। ক্লায়েন্টকে সরাসরি ইমেইল না করে সকল ম্যাসেজ আদান-প্রদান ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে করুন।

Escrow :

কাজ শুরু করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জমা রাখে। এই জমা রাখাকে বলা হয় এসক্রো যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারের টাকা পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। ক্লায়েন্ট টাকা এসক্রোতে জমা রাখা পূর্বে কাজ শুরু করা উচিত নয়।

একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করার ধাপসমূহ

নিচে রেন্ট-এ-কোডার সাইটের আলোকে একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হল:

১. প্রজেক্ট সার্চ করা

প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কাজ আসছে। এর মধ্য থেকে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ তা খোজে বের করে প্রতিটি কাজ পর্যবেক্ষণ করুন। এতে ওই ধরনের কাজে ক্লায়েন্টদের চাহিদা এবং কাজের মূল্য সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারনা হবে। নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ধরনের কাজ খোজার জন্য আপনি সাইটের প্রজেক্ট ফিল্টার সেটিং-এর সাহায্য নিতে পারেন।

২. বিড করা

একটি কাজ পর্যবেক্ষণ করার পর আপনি যদি মনে করেন কাজটি আপনি সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে পাবেন তাহলে ওই কাজের জন্য বিড করুন। বিড করতে আপনাকে সাইটে লগইন করতে হবে। বিড করার জন্য আপনি ওই কাজটি কত ডলারে সম্পন্ন করতে পারবেন তা উল্লেখ করুন এবং কাজটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানিয়ে ক্লায়েন্টকে ম্যাসেজ দিন। এখানে লক্ষণীয় হচ্ছে, একটি কাজের জন্য সর্বোচ্চ কত ডলার বিড করতে পারবেন তা প্রজেক্টের বিবরণের সাথে উল্লেখ করে দেয়। তাই তার মধ্যে বিড করুন। তবে আপনি যদি ওই সাইটে এর আগে কোন কাজ না করে থাকেন তাহলে যতটুকু সম্ভব কম মূল্য উল্লেখ করুন। আপনার রেংকিং বাড়ার সাথে সাথে বিডের মূল্য বাড়িয়ে দিন।

৩. কাজ শুরু করা

সকল কোডারের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে নির্বাচিত করে থাকে তাহলে দেরি না করে শুরু করে দিন। ক্লায়েন্ট সাধারণত কাজ শুরুর সাথে সাথে সকল টাকা এসক্রোতে জমা রেখে দেয়। তবে কোন কারনে জমা দিতে দেরি হলে তাকে অনুরোধ করুন। এরপর ক্লায়েন্টের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল, তাদের সার্ভার ও ডাটাবেইজের তথ্য জেনে নিয়ে কাজ শুরু করে দিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন বা একদিন পরপর আপনার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অভিহিত করুন। ক্লায়েন্টের কোন চাহিদা না বুঝতে পারলে যত দ্রুত সম্ভব তার সাথে যোগাযোগ করুন। ক্লায়েন্টকে সরাসরি ইমেইল না করে সবসময় চেষ্টা করবেন ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের সাহায্যে যোগাযোক করুন। এতে পরবর্তিতে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলা করতে পারবেন।

৪. প্রতি সপ্তাহের স্টেটাস রিপোর্ট

রেন্ট-এ-কোডারে বড় কাজগুলোর জন্য প্রতি শুক্রবারে কাজের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে হয়। এজন্য ওয়েবসাইটে প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে "File Weekly Status Report" বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনার মন্তব্য দিন। কোন কারনে আপনি যদি স্টেটাস রিপোর্ট না দেন তাহলে আপনার রেংকিং-এর মোট স্কোর থেকে ১০০০ স্কোর বাদ দেয়া হবে। ফলে রেংকিং-এ আপনি অন্যদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়বেন।

৫. কাজ জমা দিন

কাজ শেষ হবার পর দেরি না করে সাইটে গিয়ে সমস্ত কাজ zip করে আপলোড করে দিন। খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি ডেডলাইনে উল্লেখিত সময়ের পূর্বেই কাজ জমা দিতে পারেন। কাজটি যদি হয় ওয়েবসাইট তৈরি করা তাহলে অনেক সময় ক্লায়েন্টের সার্ভারে সাইটি আপলোড এবং সেটাপ করে দিতে হতে পারে।

৬. ক্লায়েন্ট কাজ গ্রহণ করবে

এরপর ক্লায়েন্টের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করুন। কোন পরিবর্তন থাকলে ক্লায়েন্ট আপনাকে জানাবে। আর ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে সে সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে কাজটি গ্রহন করবে যা ইমেলের মাধ্যমে সাথে সাথে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। একই সাথে এসক্রো থেকে টাকার একটি অংশ সাইটে আপনার একাউন্টে জমা হবে। আরেকটি অংশ (১০% বা ১৫%) সাইটটি ফি হিসেবে রেখে দেবে।

৭. রেটিং এবং মন্তব্য করুন

এবার প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে ক্লায়েন্টকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রেটিং করুন এবং একটি মন্তব্য দিন। ক্লায়েন্টের ব্যবহারে আপনি সন্তুষ্ট থাকলে তাকে ১০ রেটিং দিন, এতে ভবিষ্যতে সে আপনাকে আরো কাজ দিবে। ঠিক একইভাবে ক্লায়েন্টও আপনাকে একটি রেটিং এবং মন্তব্য দিবে যা আপনার প্রোফাইলে সারাজীবন থাকবে। ভবিষ্যতে অন্য ক্লায়েন্টরা এই রেটিং এবং মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে কাজ দিবে। একবার রেটিং দেবার পর তা কখনওই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই ক্লায়েন্ট কাজ গ্রহণ করার পূর্বে তাকে জিজ্ঞেস করে নিন যে সে আপনার কাজে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট কিনা এবং আপনাকে ১০ রেটিং দিচ্ছে কিনা। যদি সে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে আলোচনার মাধ্যমে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে দিন।

অর্থ তোলার উপায়সমূহ

একটি কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করার পর আপনার পাওনা টাকা ফ্রিল্যান্সিং তাদের সার্ভিস চার্জ রেখে বাকিটা ওই সাইটে আপনার একাউন্টে জমা করে দেয়। তারপর মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে আপনি সর্বমোট টাকা বিভিন্ন উপায়ে দেশে নিয়ে আসতে পারেন। এখানে টাকা উত্তোলনের কয়েকটি কার্যকরী পদ্ধতিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার

অর্থ তোলার একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে টাকা বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি এসে জমা হয়ে যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি, প্রতিবার টাকা উত্তোলনে ৪৫ থেকে ৫৫ ডলার খরচ পড়বে। এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রদান করতে হবে:

1.আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ব্যাংক এর ঠিকানা, ব্যাংক এর SWIFT Code ।

2.ফ্রিল্যান্সিং সাইটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশের একটি ব্যাংক এর নাম যা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করবে। এজন্য আপনি আপনার ব্যাংক এ গিয়ে জেনে নিন তারা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংক এর মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে। এবং

3. এরপর মধ্যবর্তী ওই ব্যংক এর Routing নাম্বার আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে যা আপনি ব্যাংকটির ওয়েবসাইট এ পেয়ে যেতে পারেন। ব্যাংক এর সাইটে না পেলে Google এ সার্চ করে পেয়ে যেতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই নাম্বারকে বলা হয় ABA Routing Number।

স্নে‍ইল মেইল চেক


এটি তুলনামূলকভাবে একটি ঝামেলামুক্ত কিস্তু সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি। আপনার মোট আয় যদি ১০০ ডলারের এর উপর হয় তাহলে চেকের মাধ্যমে সাধারন চিঠিতে পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে প্রতিবার খরচ পড়বে মাত্র ১০ ডলার। তবে চিঠি আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আর চেকটি আসবে ডলার-এ, তাই এটিকে টাকাতে রূপান্তর করতে হলে আপনার ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে।

পে-অনার ডেবিট কার্ড

উপরের উল্লেখিত দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer Debit Card। সম্প্রতি প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই MasterCard সার্ভিসটি চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। এজন্য এককলীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর মাসিক খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৫ এর মত। ATM থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের জন্য খরচ পড়বে ২ থেকে ৩ ডলার। এজন্য প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ওই সাইটের মাধ্যমে Payoneer সাইটে একটি একাউন্ট করতে হবে। তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি MasterCard পৌছে যাবে। কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ডটি সচল করতে হবে এবং ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে। পরবর্তীতে এই নাম্বারের মাধ্যমে যেকোন ATM থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এখানে বলে রাখা ভাল বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক এর ATM এই কার্ড সাপোর্ট করে না। স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক এর ATM থেকে আপনি সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য কয়েকটি তথ্য

অনলাইনে যত ধরনের কাজ পাওয়া যায় তার মধ্য সবচেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে৷ ওয়েবসাইট তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ওয়েবসাইট ক্লোন, টেম্পলেট বা ওয়েবসাইটের জন্য ডিজাইন তৈরি করা, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও ইত্যাদি এর মধ্যে অন্তুভু্ক্ত৷ ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে সবচাইতে বেশি ব্যবহার হয় পিএইচপি এবং ডাটাবেজ হিসেবে MySQL৷ পিএইচপি অত্যন্ত সহজ একটি ল্যাঙ্গুয়েজ, যা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শেখা সম্ভব৷ এ নিয়ে বাজারে প্রচুর বই পাওয়া যায়৷ আর গুগল-এ সার্চ করে আপনি প্রচুর কোড, টিউটরিয়াল, ওপেনসোর্স স্ক্রিপ্ট পেয়ে যাবেন৷ পিএইচপি এবং MySQL-এর সাথে HTML, Javascript, CSS, XML Jইত্যাদি বিষয়ের ওপরও ভাল জ্ঞান থাকতে হবে৷ এজন্য আপনি http://www.w3schools.com সাইটের সাহায্য নিতে পারেন৷

পিএইচপি এবং MySQL শেখার পর এবার নিজে কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন৷ সাইটের আইডিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করুন এবং এক বা একাধিক ওয়েবসাইটের ক্লোন করার চেষ্টা করুন৷ এতে আপনি একটি ওয়েবসাইটে কী কী ফিচার থাকতে পারে, সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন৷ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা হিসেবে এই কাজগুলো উল্লেখ করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টকে আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলোর স্ক্রিনশট দেখাতে পারেন৷

অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি না করে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরনের ওপেন সোর্স স্ক্রিপ্ট পছন্দ করে৷ জনপ্রিয় কয়েকটি স্ক্রিপ্ট হচ্ছে osCommerce, ZenCart, Joomla, Drupal, Wordpress ইত্যাদি৷ এই স্ক্রিপ্টগুলোকে পরিবর্তন করা, নতুন মডিউল বা ফিচার যোগ করা, ডিজাইন পরিবর্তন করা ইত্যাদি নিয়ে অসংখ্য কাজ পাওয়া যায়৷ আপনি শুধু এরকম এক বা একাধিক স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন৷ এমন অনেক সফটওয়্যার ফার্ম আছে, যারা কেবল Joomla বা sCommerce-এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের এবং দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির একটি শক্তিশালী মাধ্যম৷ এই পদ্ধতিতে দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে৷ বর্তমান যুব সমাজ যেখানে বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত, সেখানে আপনি নিজেই হয়ে উঠতে পারেন অন্যের চাকরিদাতা৷ খুবই সামান্য মূলধন আর কয়েকজন দক্ষ কর্মী নিয়ে আপনিও চালু করতে পারেন একটি সফটওয়্যার ফার্ম বা ডাটা এন্ট্রি হাউজ৷ এজন্য দরকার আপনার সাহস, দক্ষতা আর ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ভাল একটি প্রোফাইল৷

শেষ কথা

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কাজে ফ্রিল্যান্সারের স্বাধীনতা থাকে৷ ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছে মতো কাজ বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে৷ একজনফ্রিল্যান্সার নিজের সুবিধামতো সময় বিবেচনা করেও কাজ বেছে নিতে পারে৷ আর এই কাজের জন্য সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, যেকোনো পেশার লোক বা চাকরিজীবী শুধু প্রোগ্রামিং বা সংশ্লিষ্ট কাজ শিখেই আউটসোর্সভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন৷এখানে যোগ্যতার মাপকাঠী হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে শাখায় কাজ করতে চান, সেই বিষয়ে আপনি কতটুকু জানেন৷ অন্যকোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কাজ খুবই উপযোগী৷

বলার অপেক্ষা রাখে না, নয়-এগারোর পর থেকে পুরো বিশ্বেই আইসিটি খাতের লোকেরা কর্মপরিধি সীমিত করে দিয়েছিল৷ তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে৷ পুরো বিশ্বের মতো এদেশেও কমপিউটার বিজ্ঞান বা কমপিউটার প্রকৌশলী অনুষদের ছাত্রসংখ্যা কমেছে৷ এই সময়ে আইসিটি খাতে কাজও কমে গিয়েছিল৷ এসব অনুষদের ছাত্রদের মধ্যে এক ধরনের হীনম্মন্যতা এখনো কাজ করে৷ আমাদের দেশের মতো দেশে যেখানে ভালো চাকরি বা কাজের পরিধি বেশ কম, সেখানে উন্নত বিশ্বে শুধু আইসিটি নয় যেকোনো অনুষদের ছাত্ররাই পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে নিজ নিজ বিষয় সংশ্লিষ্ট পার্টটাইম কাজ করে উপার্জন করতে পারে৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ কাজ করে ছাত্ররা তাদের নিজ নিজ টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারে৷ দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ প্রায় নেই বললেই চলে৷ অথচ আমাদের পাশের দেশ ভারতেও আইসিটি সংশ্লিষ্ট অনুষদে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ পাওয়া যায়৷ পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের কাজে প্রধান সুবিধা হচ্ছে ছাত্ররা নিজেদের ভবিষ্যতযোগ্যতা সম্বন্ধে সচেতন থাকতে পারবে৷ প্রযুক্তিভিত্তিক যেকোনো বিষয়েই যা খুব জরুরি৷

আমাদের দেশে ছাত্রদের জন্য ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং নতুন করে আশার সৃষ্টি করে৷ আইসিটির হাজার হাজার ছাত্রদের মধ্যে এমন হতাশা কাজ করে যে, আগের চেয়ে এই খাতে কাজ কমছে এবং এই কাজ কমার প্রবনতা কমাতে পারে অনলাইন ফ্রিল্যান্স৷ শুধু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে নিজেই আইসিটিভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে এমন নজির খুব কম নয়৷ আর আমাদের পাশের দেশসমূহে ফ্রিল্যান্স খুব জনপ্রিয়৷ শুধু ভালো ইন্টারনেটের অভাবে আমরা অনেকদিন ধরেই এই খাত থেকে পিছিয়ে ছিলাম৷ যদিও ভালো ইন্টারনেট সংযোগের পুরো সুবিধা আমরা এখনো পাচ্ছি না৷
Read more ...

Monday, September 7, 2009

বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি/স্কলারশীপ এবং (প্রস্তুতি পর্ব)

প্রথমেই বলে নেই , এই পোস্ট কোন গবেষনা নয়, স্রেফ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে লেখা । নিজের কাজে খোঁজ করতে গিয়ে যা দেখেছি তাই লিখে দিলাম। দ্বিতীয়ত , এই লেখায় শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য, তার মানে ব্যাচেলর নয়, তদুর্ধ্ব শ্রেনীর বৃত্তি নিয়ে লেখা । তৃতীয়ত , এখানে আমেরিকা বলতে উত্তর আমেরিকার দেশ মূলত আমেরিকা এবং কানাডা , অস্ট্রেলিয়া বলতে নিউজিল্যান্ডসহ এবং ইউরোপ বলতে ইউরোপের ধনী ও পরিচিত যে দেশগুলোয় বাংলাদেশ থেকে মানুষ পড়তে যায়, তাদের কথাই বলা হয়েছে । পড়ার সময় সেইভাবে ধরে নেবেন। আর শেষ কথা হলো, আপনার পড়ালেখাতে যদি বায়োলজি বিষয়টা না থাকে তো এই সব স্কলারশীপ আপনার জন্য নয়, আপনার ভাই বোন বন্ধুর কাজে লাগতে পারে । তবে , প্রস্তুতি পর্বটা সবার জন্যই কমন।

শুরু বা পরিকল্পনা পর্যায় ঃ

১। সময় ঃ আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি যাই হোক না কেন , আপনি যেই মহাদেশেই যান না কেন , কিছুটা যোগ বিয়োগ করে সব কিছু ঠিক ঠাক করে নিতে প্রায় ১২ মাস লাগবেই বিশেষ করে স্কলারশিপ ও টাকা পয়সা যোগাড় ইত্যাদি। সুতরাং যখনই শুরু করুন না কেন, আগে জেনে নিন আপনি যেখানে যেতে চাইছেন , সেখানে কোন মাসে ক্লাস শুরু হয়? সেই মতে আপনার হাতে কতটুকু সময় আছে বুঝে নিন। একটা সাধারন নিয়ম হলো যেই বছর যেতে চাই তার আগের বছর থেকে কাজ শুরু করা।
২।তথ্য সংগ্রহঃ এরপর সময় নিয়ে যেই দেশে যাবেন সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওয়েবসাইট খুটিয়ে খুটিয়ে পড়া। এর কোনই বিকল্প নাই, প্রচুর দিন, প্রচুর রাত নষ্ট হবে এই কাজটার পিছনে। কিন্তু, দিন রাত ২৪ ঘন্টা যদি লেগে থাকতে পারেন , তাহলে তার ফলও পাবেন হাতে নাতে । এমন কোন তথ্য পেয়ে যেতে পারেন যেটা হয়ত আপনার সময় , তারচেয়েও বড় কথা টাকা বাচিয়ে দেবে অনেক। সব সময়ই ওয়েব সাইটের বাইরে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে এমন কারো কাছ থেকে কেমনে কি জেনে নিন যদি সেই সুযোগ থাকে।
.
৩। তথ্য সাজানোঃ নির্দিষ্ট কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর কোন কোর্স পছন্দ হলে সাথে সাথে সেই কোর্সের সমস্ত তথ্য সারাংশ , বিভিন্ন লিঙ্ক আপনার খাতা/ফাইল/কম্পিউটারে টুকে নিন। ওহ আচ্ছা, বলে রাখি, সাজিয়ে গুছিয়ে কাজ করলে সবচেয়ে ভালো। খাতা বই এর যুগ যেহেতু শেষ , কম্পিউটারে ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশের ফোল্ডার, তার ভিতরে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোল্ডার করে তাতে কিভাবে তথ্য সাজাবেন, কি করে সে গুলো দ্রুত খুঁজে পাবেন সেভাবে পরিকল্পনা করে নিন।
কিছু ফাইল সব খানেই থাকবে যেমন,
ক) একটা ফাইলে সব কয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন তারিখ ( এপ্লিকেশন, স্কলারশীপ, রেস্পন্স, সেমিস্টার ডেট ইত্যাদি) , পুরোটা পড়েছেন কিনা, কাগজ পত্র পাঠানো হয়েছে কি হয়নি ধরনের ম্যাট্রিক্সসহ একটা ইন্ডেক্স পেজ।
খ) আরেকটা ফাইল থাকবে ঐ মহাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সাধারনত কোন কাগজ গুলো কি ভাবে চায় তার লিস্ট । একেক জায়গায় একেক ভাবে চাইতে পারে । কমন বাদ দিয়ে যেইটা ব্যতিক্রম সেইটা লাল কালিতে উল্লেখ করে রাখলেই ভালো ।
৪। কাগজ পত্র তৈরীঃ একাডেমিক সমস্ত কাগজ এর মূল এবং দরকার হলে ইংরেজী কপি (এটাও মূল) তৈরী রাখুন। বিভিন্ন সার্টিফিকেট বলতে আমরা যা বুঝি ( এস এস সি, এইচ এস সি , মেডিকেল/ডেন্টাল/ইউনি , ডাক্তারদের বি এম ডি সি রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি) তার বাইরে কিছু কাগজ নিয়ে মহা ঝামেলা লাগে । যেমন,

ক)ট্রান্সক্রিপ্ট- এইখানে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় একটা কাগজেই আপনি কি কি বিষয় পড়েছেন, সেই সবের মেজর মাইনর, কত অংশ তাত্ত্বিক আর কত অংশ প্র্যাক্টিকাল বা ল্যাব/ ক্লিনিকাল করেছেন তার ঘন্টা ও বিষয়সহ উল্লেখ, আপনার সমস্ত গ্রেড/রেজাল্ট , আপনি সার্বিক বিচারে আপনার ক্লাসের টপ ১০% এ পড়েন কিনা জাতীয় তথ্যসহ এক নজরে একটা ছক আকারে দিয়ে দেবে। দুঃখের কথা হলো, এই ট্রান্সক্রিপ্ট জিনিসটা খায় না মাথায় দেয় সেইটা অনেক সরকারী ও বনেদী মেডিকেল কলেজ কিংবা বায়োলজি শিখানেওয়ালা বিশ্ববিদ্যালয় জানবেই না । জানলেও যা দেবে সেইটা আপনার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা চেয়েছে তার ধারে কাছে নাও থাকতে পারে। এত ডিটেইলস বেশির ভাগ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল/ডেন্টাল দেয় না।
ঠেকায় পড়লে নিজেই বানিয়ে নিন। তারপর অফিসিয়াল প্যাডে প্রিন্ট করে অফিস থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন ছিল ছাপ্পর, সাক্ষরসহ। খেয়াল রাখবেন, ওরা খোঁজ করলে এইদিকে কেউ যেন রেফারেন্স হিসেবে সত্যতা প্রমান দিতে পারে । কথা হলো, আপনার কাগজ আপনার বানানো হইলে সমস্যা নাই যতক্ষন পর্যন্ত আপনার সব কিছু অফিসিয়াল প্যাডে থাকে আর সংশ্লিষ্ট লোক জন জানে এই রকম একটা কিছু কোথাও পাঠানো হয়েছে । বলা যায় না, আল্লাহ করে তো আপনারটা দেখেই হয়ত ওরা নিজেদেরটা বদলে নেবে। আপনার ট্রান্সক্রিপ্ট যদি আপনাকেই বানাইতে হয় তাহলে সেইটার কয়েক কপি মেডিকেলের/ইউনির অফিসে দিয়ে রাখবেন।

খ) মোটিভেশন লেটার- আপনি কেন পড়তে চান, পড়িলে কি করিবেন, পাশ দিয়া আল্লাহর দুনিয়াতে কি কি বিপ্লব করিবার ইচ্ছা রাখেন সহ আরো অনেক কিছু উল্লেখ করে এই লেটার লিখতে হতে পারে । সুতরাং, আগে দেখে নিন যাকে পাঠাবেন সে কোন ফর্ম আগেই দিয়ে রেখেছে কিনা। অনেক সময় ফর্ম না থাকলেও আগের বছরের সাকসেস্ফুল কুতুবেরা কি লিখিয়াছিলেন তা দেওয়া থাকে। ঐ সব পড়ে জ্ঞানী হইয়া তারপর লিখেন। নিশ্চিত থাকেন যে এই লেটার আপনার গন্ডায় গন্ডায় পারমুটেশন কম্বিনেশন করে শ’খানেক লিখতেই হবে। এক একটা এক এক জায়গার ইউনির জন্য।
গ) আগের গবেষনা কিংবা কাজের অভিজ্ঞতার বর্ননা ( যদি প্রযোজ্য হয়) – এইটার সারাংশ থেকে শুরু করে কাকে কবে চোখ মেরেছিলেন জাতীয় ডিটেইলসসহ চাহ্নেওয়ালা লোকও এই দুনিয়ায় আছে। সুতরাং, যেখানে যা চায় যেভাবে চায় খেয়াল করে এইটার বর্ননা লিখুন এবং নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোল্ডারে সেভ করুন।কি নিয়ে গবেষনা করেছিলেন, কারো ফান্ড জিতেছিলেন কিনা, ডিজাইন থেকে কন্ডাক্ট ও রিপোর্ট রাইটিং পুরোটাই আপনার নিজের কুকাম কিনা এই সব উল্লেখ করতে হইতে পারে।
ঘ) রেকমেন্ডেশন লেটার- অনেক জায়গায় সাধারন কাগজে প্রিন্ট করে প্রফেসর , বস ইত্যাদির সাইন নিয়ে নিজে পাঠালেই চলে। তবে আজকাল বেশির ভাগ ইউনি নির্দিষ্ট ফর্ম দিয়ে দেয়। ওয়েব সাইট থেকে প্রিন্ট করে সেইটা যেই প্রফেসর কিংবা বস রেকমেন্ড করবেন তিনি নিজে পূরণ করবেন, সম্পূর্ন গোপনীয়তা রক্ষা করে সিল গালা মেরে তিনিই পাঠাবেন। মানে আপনার নিজের সেইখানে কিছু করার নাই। তবে, ইউনি তো আর এসে দেখে যাচ্ছে না। সুতরাং, ব্যস্ত প্রফেসরের পিছনে না ঘুরে যা করার করে নেন, তারপর তাকে ভালো করে দেখিয়ে সাইন করে অবশ্যই অবশ্যই অফিসিয়ালি , মানে অফিসের খামে , সিল সহ পাঠান।এই কান্ঠামিটা করতে বলতে খারাপ লাগছে কিন্তু ভুক্তভোগী হিসেবে জানি রেকমেন্ডেশনের মত একটা অতি জরুরী কাজ অনেক প্রফেসর হয় বোঝেনা, নয় করতে চায় না। এইসব ব্যাপারে লাক আর ব্যক্তির উপর নির্ভর করে সময়মত ভালো জিনিস পাবেন কিনা।

ঙ) ইংরেজী কিংবা মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য ভাষার লেভেল – আগে দেখে নিন ভাষার ব্যাপারে ওরা কি চাচ্ছে। টোফেল, জি আর ই, আই ই এল টি এস ইত্যাদির গ্রেডিং এর পদ্ধতি ওদের নিজের । ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার ব্যাপারে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট (কোন অথরিটি থেকে পরীক্ষা দিয়ে পাওয়া) না থাকলে রিডিং, রাইটিং, স্পোকেন, লিসেনিং এই ভাবে ভাগ করে নিজেই গ্রেড দেওয়া লাগতে পারে । সেক্ষেত্রে দেখে নিন গ্রেডিং এর বর্ননা বা স্ট্যান্ডার্ড কোথাও ব্যাখ্যা করা আছে কিনা। আপনার নিজের লেভেল কোন গ্রেডের সাথে মেলে। গুগুল করলেই পাবেন।যেমন- বাংলা ইংরেজির বাইরে আমি হিন্দী কেবল বলতেই জানি, লিখতে পড়তে পারি না ইত্যাদি। বায়োলজির জন্য আলাদা জি আর ই আছে। বাংলাদেশ থেকে দেওয়া যায় কিনা জানি না। না গেলে জেনারেলটাই সই। উল্লেখ্য, জি আর ই পড়তে কয়েক মাস থেকে বছর খানেক সময় লেগে যেতে পারে । সুতরাং যেই মহান ভোরে বাইরে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন, সেই দিন থেকেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়তে শুরু করে দিন।

চ) এর বাইরে কিছু কাগজ লাগলেও লাগতে পারে । সাধারনত লাগে না । যেমন- বার্থ সার্টিফিকেট যদি যেখানে জন্মাইছিলেন সেইখানে যাওয়া লাগে তো বিরাট ক্যাচাল। সিটিজেনশীপ (নাগরিকত্ব) এর সার্টিফিকেট লাগে না, লাগার কথা না কারন আপনার পাসপোর্ট প্রমান করে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক। ম্যারেজ সার্টিফিকেট হইলো সবচেয়ে ঝামেলার।কাজীর অফিস থেকেই রেজিষ্ট্রির জন্য পাঠিয়ে দেবে। দায়িত্ব নিয়ে উঠানোর দায় আপনার। তারপর অবশ্যই ফরেন মিনিষ্ট্রি থেকে সত্যায়িত করে নিবেন। আল্লাহর রহমতে পরিচিত কেউ না থাকলে এইটা করতে বছর কাবার না হয়ে যায়, এইটা মনে রাইখেন। যারা শহীদ হইয়া বাইরে যাইতে চান ও বউ/স্বামী সাথে লইবেন ভাবেন, তারা বিবাহের পরে হানিমুন বাদ দিয়া আগে এই কাজটা করবেন। অনেকে দেখি পুলিশ ভেরিফিকেশন, এন ও সি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। এই সব লাগে ভাই মাইগ্রেশন করতে। পড়তে যাওয়ার জন্য এই সব লাগে না।

ছ) কাগজ পত্তর সব রেডি হয়ে গেলে সব কয়টার স্ক্যান করে পি ডি এফ বানায় সেভ করে রাখেন। আখেরে অনেক কাজে দিবে।

জ) যেই সব এক্সট্রা কারিকুলার কাজ, কর্ম, শখরে আমাগো আব্বা আম্মা কিংবা চাচা -মামারা পাত্তাই দেয় না , সেই সবের দাম বাইরে অনেক বেশি। বুকিশ পাব্লিক কেউ চায় না, পছন্দও করে না। স্কলারশীপ পাইতে হইলে যা যা করেন, করেছেন সেইটার একটা কাগুজে বা প্রমান করা যায় ডকুমেন্ট রাখতে পারলে ভালো। খেলা ধুলা, গান বাজনা , প্রতিযোগিতা তো আছেই, আপনি যদি ভলান্টিয়ার, অর্গানাইজার হোন তাইলে ছবি তুলেন, পত্রিকায় প্রকাশ হইলে কাইটা রাখেন, অন লাইন ম্যাগাজিন হইলে লিঙ্ক সেভ করেন, স্কুল কলেজের ওয়েব সাইট বা বই পত্তরে ছাপায়ে রাখেন। কখন যে কোনটা কাজে লাগবে, কিছুই বলা যায় না। টেরিফক্স রান, নিখিল বাংলাদেশ কুত্তা রক্ষা কমিটি, গাছপ্রেমী যাই হোন না কেন, আপনার সদস্যপদ সি ভিতে উল্লেখ কইরেন। তবে, আগে বুইঝা নিবেন কে কি চায়, আর কে কি একেবারেই চায় না।

সবার শেষে সবচেয়ে জরুরী জিনিস এপ্লিকেশন। ফর্ম সব কয়টা ইউনির ওয়েব সাইটেই পাবেন। আজকের দুনিয়াতে অন লাইন এপ্লিকেশন করা ডাল ভাত। অনেক ইউনিতেই এই ব্যবস্থা আছে। আবার অনেক ইউনি কমন একটা ওয়েব এপ্লিকেশন নেয়, আলাদা আলাদা করে করার দরকার হয় না। পূরণ করলে আপনাকে নাম্বার দেবে একটা পাসোয়ার্ড , একাউন্ট ইত্যাদি সহ। দরকার হইলে পরে ঢুকে আরো তথ্য যোগ করতে পারবেন। অনেক জায়গায় একাডেমিক কাগজ পত্র পি ডি এফ চায়। সেইগুলা আপ্লোডাইতে পারবেন। পাশাপাশি হার্ড কপি মেইল করে দিতে হবে। অবশ্যই রেজিস্ট্রি মেইল করবেন, অন লাইন ট্রাকিং করা যায় এমন জায়গা থেকে মেইল করবেন। এই সব মেইল হারানো গেলে জীবনটাই বিলা!

ভাই, ভুল করেও মূল কপির ফটোকপি নোটারি কিংবা বোর্ড, মিনিস্ট্রি এই সব জায়গায় সত্যায়িত করতে দৌড়াবেন না। মূলকপি সাথে থাকা মানেই এক সাথে দেখে যিনি দেখলেন তিনি নিজেই সত্যায়িত করে দিতে পারবেন। সেইটা এম্ব্যাসির লোক নিজেই হইতে পারে। সুতরাং, ভালোভাবে জেনে নিন সত্যি সত্যি ভেরিফিকেশন লাগবে কিনা। কেউ মাতবরি করতে চাইলে ভদ্র কিন্তু শক্ত ভাষায় চ্যালেঞ্জ করুন। কাগজ পত্র রেডি? এইবার তাহলে , পাঠানোর পালা।
Read more ...

Thursday, July 30, 2009

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ

প্রাইমারী মার্কেট:
প্রাথমিক বাজারে নতুন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ এর লেনদেন করা হয়। নতুন কোন বিনিয়োগে অর্থ যোগানের উদ্দেশ্যেই এ বাজারে ফান্ড রেইজ করা হয়। সম্ভবত এই বিষয়টা নিয়েই সবার আগ্রহ বেশি। এটাকে আইপিও (Initial Public Offering) বলে।
ধরুন, গ্রীণ ভেলী হেলথ কেয়ার লিঃ অথবা গ্রীণটেক গ্রীণহাউজ বাংলাদেশ লিঃ নতুন একটা ওয়েবসাইট চালু করতে চায় যা জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন। সেজন্য আমি সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে প্রাথমিক বাজারে শেয়ার ছাড়তে চাই। কিন্তু তার জন্য কিছু কাজ রয়েছে। যেমন: প্রজেক্টের বিস্তারিত জনগণকে জানাতে হবে লিখিত আকারে যা প্রসপেক্টাস নামে পরিচিত। এখানে উদ্দেশ্য, কর্মপদ্ধতি, মূলধনের পরিমাণ যোগানের উপায়সমূহ, লাভের সম্ভাবনা, ঝুকির দিকগুলো, ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ইত্যাদি বিশদ ভাবে লেখা থাকে যা থেকে সহজেই বোঝা যায় এটি লাভ জনক হবে কিনা।
নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন পত্র বাজারে ছাড়া হবে। বিনিয়োগকারীরা সে আবেদন পত্র পূরণ করে উল্লেখিত টাকাসহ ফরমটি নির্দিষ্ট ব্যাংক বা আইসিবি এর অফিসে জমা দিতে হবে।
যে কেউ আবেদন করতে পারবে?
এটি কোম্পানী এবং আবেদনকারীর মধ্যে একটি চুক্তি। সুতরাং চুক্তির শর্তগুলো পূরণ হতে হবে। যেমন: ১৮ বছর, সুস্থ মস্ত্বিষ্ক ইত্যাদি।
বর্তমানে শেয়ার বাজার ইলেকট্রনিক। সেজন্য আপনাকে কাগজের কোন শেয়ার দেয়া হবে না। শেয়ার বিস্তারিত জমা থাকবে স্টক মার্কেটের সার্ভারে। সেজন্য একটা একাউন্ট প্রয়োজন যা বিও/ BO (Beneficiary Owners) একাউন্ট নামে পরিচিত। একাউন্ট খুললে আপনাকে একটা নম্বর দেয়া হবে যাকে বলে বিও নম্বর। শেয়ারের জন্য আবেদনের সময় আবেদন পত্রে অবশ্যই এই নম্বরটি উল্লেখ করতে হবে। প্রতিটি কোম্পানীতে আবেদনের জন্য প্রত্যেকবার একাউন্ট খুলতে হবে না। একটা একাউন্ট দিয়েই সব কোম্পানীতে আবেদন করা যাবে।
বিও একাউন্ট যে কোন ব্রোকার হাউজে গিয়ে খুলতে হবে। এর ফি ২০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি দুইজন ব্যক্তি ৩টি একাউন্ট খুলতে পারবে। দুইজনে আলাদা আলাদা দুইটা, আর দুইজনে মিলে আরও একটা।
সকল আবেদনপত্র জমা হলে, নির্ধারিত তারিখে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। লটারিতে শেয়ার পেলে তা আপনার বিও একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হবে এবং আপনাকে প্রমানস্বরূপ এর সনদ দেয়া হবে। আর শেয়ার না পেলে আপনার টাকা ফেরত দেয়া হবে (রিফান্ড ওয়ারেন্ট)। সেজন্য অবশ্যই আবেদনসময় আপনার ব্যাংক একাউন্টের তথ্য (নাম, নম্বর) দিতে হবে। অবশ্য বিও একাউন্ট খোলার সময়ই আপনাকে ব্যাংক একাউন্ট আছে তার প্রমানহিসেব ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
টাকা/শেয়ার কিভাবে দেয়া হবে?
কোম্পানী পত্রিকার মাধ্যমে তারিখ ও স্থান জানিয়ে দিবে। এ তারিখে আপনি সনদ বা রিফান্ড ওয়ারেন্ট নিজ হাতে বা অন্য কারও মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন। তবে এ সময় অবশ্যই আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর মানি রিসিপ্টটি জমা দিতে হবে। আর আপনি যদি হাতে হাতে তা সংগ্রহ না করেন তাহলে তা কুরিয়ারে আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। অবশ্য তখনও সেই স্লিপটি লাগবে।
রিফান্ড ওয়ারেন্ট টি একটা ক্রস চেক। এটি আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। ব্যাংক তা সংগ্রহ করে রাখবে।
প্রাথমিক বাজারে শেয়ারের দাম:
শেয়ারের দাম মূলত তিন ধরণের দামে বাজারে আসতে পারে:
১. লিখিত মূল্যে: অর্থাৎ ধরুন যদি প্রতিটি শেয়ারের লিখিত মূল্য ১০০ টাকা এবং সেটি বাজারেও এই দামেই ছাড়া হয়।
২. প্রিমিয়ামে: প্রতিটি শেয়ারের লিখিত মূল্যের চেয়ে যদি বেশি মূল্যে শেয়ার ছাড়া হয়। যেমন: গ্রীণ ভেলী হেলথ কেয়ার লিঃ ( নাকি গ্রীণটেক গ্রীণহাউজ বাংলাদেশ লিঃ ?) কোম্পানী ১০ টাকার শেয়ার বাজারে ছেড়েছিল ১২০ টাকায়। এটি সাধারণত নির্ভর করে যে ধরনের ব্যবসা করছে তার উপর। গ্রামীণফোন শেয়ার বাজারে আসবে। তখন তাদের ১০০০ টাকার শেয়ার ১০০০০ টাকায় ছাড়াও বিচিত্র হবে না (অবশ্য লিখিত মূল্য ১০০০ টাকা না হয়ে ১০০ অথবা ১০ টাকাও হতে পারে)।
৩. ডিসকাউন্টে: লিখিত মূল্যের চেয়ে কম দামে শেয়ার ছাড়লে। বদনাম আছে এরকম কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাইলে অনেক ক্ষেত্রে এটি ঘটতে পারে।
সেকেন্ডারী মার্কেট:
শেয়ার পেলে তা আপনার বিও একাউন্টে তা জমা হয়ে যাবে। তারপর আপনি সেই শেয়ার বাজারে বিক্রয় করে দিতে পারবেন। একেই সেকেন্ডারী মার্কেট বলে। এখানে মালিকানাধীন শেয়ার সমূহ বিক্রয় করতে পারেন বা শেয়ার কিনতে পারেন। এখানে দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে। চাহিদা ও যোগান আবার নির্ভর করে তথ্যের উপর। একটি দক্ষ মার্কেটে শেয়ারের দাম/চাহিদা/যোগান সম্পূর্ণভাবে তথ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। কিন্তু আমাদের মার্কেট দক্ষ নয়। তাই এখানে অন্য কিছুর উপর তা নির্ভর করতে পারে;D।
প্রাথমিক বাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজন ভাগ্য। এটি প্রায়ই ঝুঁকিবিহীন। কিন্তু সেকেন্ডারী মার্কেটের জন্য প্রয়োজন এনালাইসিস। যথাযথ গবেষণা না করে একটা কোম্পানীর শেয়ার কিনলেই লাভবান হওয়া যাবে না বরং পথে বসে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য শেয়ার বাজারের উপর নিয়মিত চোখ রাখতে হবে। বুঝে শুনে লেনদেন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকেও তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
নিয়মিত ভিজিট করুনঃ ঢাকা স্টক একচেঞ্জ: http://www.dsebd.org চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ: http://www.csebd.com

original link

Read more ...

Sunday, July 26, 2009

হার্ট এ্যাটাক : প্রতিরোধই সর্বোত্তম ব্যবস্থা

নিজের শরীরটা সুস্থ্য সবল থাকুক তা কে না চায়! তাই জেনে নেওয়া দরকার কিভাবে এটাকে ঠিকঠাক রাখা যায়। একসময় ধারনা ছিল হার্টের রোগ হচ্ছে বড়লোকদের এবং বয়ষ্কদের বিষয়। কিন্তু এখন পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। বাংলাদেশে সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যেই এ রোগের বিস্তার বেড়ে চলেছে। সম্ভবতঃ খাদ্যাভাস, জীবনযাত্রা এর একটা বড় কারন। তাই আসুন জেনে নেই এর কারন ও প্রতিকার।
আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তবে হৃদপিন্ড কয়েকটা কারণে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অধিকাংশ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাময়িকভাবে বিকল হয়ে গেলেও প্রান সচল থাকে। এমনকি মস্তিষ্কের অধিকাংশ অংশ অচল হয়ে গেলেও কৃত্রিম যন্ত্রের সাহায্যে দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরকে চালু রাখা যায়। কিন্তু হৃদপিন্ড কয়েক সেকেন্ড বন্ধ থাকলেই মৃত্যু অনিবার্য। তাই হৃদরোগে মৃত্যু one of three leading causes of death. /:)

প্রথমেই আমাদের জানা দরকার হৃদপিন্ডের কাজ কি?
হৃদপিন্ড একটা পাম্প যা সমস্ত শরীরে রক্ত সরবরাহ করে। এই রক্ত প্রধানতঃ অক্সিজেন যুক্ত রক্ত। সমস্ত শরীরে ব্যবহারের পর অক্সিজেন বা বাতাস যখন নিঃশেষ হয়ে যায় তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত পুনরায় হৃদপিন্ডে প্রবেশ করে। একথা অবশ্য সকলেরই জানা যে, হৃদপিন্ড বুকের বাম দিকে অবস্থান করে। যদিও হৃদপিন্ডের সঠিক অবস্থান বুকের ঠিক মাঝখানে এবং এর অংশ বিশেষ বাম দিক পর্যন্ত প্রসারিত। একারণে হার্টের ব্যথা সব ক্ষেত্রেই বুকের বাম দিকে হবে, একথা ঠিক নয়। বরং বুকের মাঝখানে শুরু হয়ে বাম কাধ, চোয়াল এবং বাম হাতের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে ডান দিকে এমনকি শরীরের অন্যত্রও এই ব্যথা অনুভূত হবে পারে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, বুকের ব্যথা মানেই হার্টের ব্যথা। আনুষঙ্গিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকগণ হার্টের ব্যথাকে অন্য ব্যথার থেকে পার্থক্য করে থাকেন। যা ক্ষেত্র বিশেষে আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষার সাহায্য ব্যতীত নিশ্চিত হওয়া যায় না। বুকে ব্যথা অন্য যে সব কারণে হতে পারে তার মধ্যে প্রধান তিনটা কারন হচ্ছে-
১. এ্যাসিডিটি যা গ্যাষ্ট্রিক বলে বেশি পরিচিত।
২. মাংসপেশী কিংবা বুকের খাঁচার ব্যথা। (musculoskeletal pain)
৩. মানসিক- যেমন রোগীর মনে এই চিন্তা ঢুকে যাওয়া যে তার হার্ট দুর্বল

এখন কাদের ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা প্রয়োজন ? X(
এ কথা ঠিক যে, বয়স নির্বিশেষে সবারই হার্টের অসুখ হতে পারে, তবে বিশেষতঃ হার্ট এ্যাটাক বয়স্ক এবং পুরুষদের হয়ে থাকে। মহিলাদের হরমোনজনিত কারণে হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি অনেক কম থাকে। তবে পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের এই ঝুকি অনেকটা পুরুষদের কাছাকাছি পর্যায়ের। বুকে ব্যথা হলে যদি রোগীর মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ পাওয়া যায়, তবে দেরী না করে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিৎ।
১. বয়ষ্ক (সাধারনতঃ পুরুষদের পয়তাল্লিশের অধিক, মহিলাদের ক্ষেত্রে পঞ্চান্ন এর অধিক)
২. পুরুষ
৩. রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের মধ্যে যদি হার্ট এ্যাটাকের ইতিহাস থাকে।
৪. শরীরের ওজন বেশি হওয়া
৫. উচ্চ রক্ত চাপের (হাই ব্লাডপ্রেসার) রোগী হওয়া
৬. ডায়াবেটিসের রোগী হওয়া
৭. ধূমপায়ী হওয়া।

হার্ট এ্যাটাক হলে সাধারণতঃ কয়েকটা লক্ষন প্রকাশ পায় –:-/
১. বুকের পূর্বে উল্লেখিত স্থানে তীব্র ব্যথা অথবা চাপ।
২. অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
৩. বমি হওয়া।

প্রধানত উক্ত তিনটা জিনিষের এক বা একাধিক লক্ষন হার্ট এ্যাটাকে প্রকাশ পায়। তবে, ডায়াবেটিস রোগী অথবা বৃদ্ধ বয়সে এ রকম তীব্র ব্যথা নাও হতে পারে। এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দেরি না করে দ্রত রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিৎ।

এখন আমাদের জানতে হবে হার্ট এ্যাটাক কি?

প্রকৃত পক্ষে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ট এ্যাটাক বলে কিছু নেই। সাধারণ মানুষের কাছে যা হার্ট এ্যাটাক বলে পরিচিত তা আসলে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction) বা সংক্ষেপে এম.আই.। হার্ট যদিও সারাদেহে রক্ত সরবরাহ করার পাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এই কাজের জন্য তার নিজের মাংসপেশীতেও খানিকটা রক্তের প্রয়োজন পড়ে। এই রক্ত সরবরাহ করার জন্য যে রক্তনালীগুলো থাকে এই গুলো যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন হার্টের খাকিটা অংশ মরে যায়। এটাকেই এম.আই বা সাধারণ ভাষায় হার্ট এ্যাটাক বলে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে ষ্ট্রোক এবং হার্ট এ্যাটাক সমন্ধে ধারণা পরিস্কার নেই। দুটোকে এক করে দেখা হয়। এটা ঠিক যে, দুই ক্ষেত্রেই রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, তবে ষ্ট্রোক বলা হয় যখন এটা ঘটে মস্তিষ্কে এবং এর ফলে সাধারণত রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় কিংবা এক দিকে অসারতা অনুভব করে। পক্ষান্তরে হার্ট এ্যাটাকের ফলে রোগী সাধারনতঃ অজ্ঞান হয় না, অসারতা বা প্যারালাইসিসও হয় না। উল্লেখ্য যে, যখন রক্তনালীগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ না হয়ে আংশিক বন্ধ হয়, তখন রোগীর সময়ে সময়ে ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষতঃ পরিশ্রমের কাজে কিংবা দুঃচিন্তা করলে, এটাকে এ্যানজিনা (Angina) বলে। এই পর্যায়ে রোগী এম.আই. এর ঝুকির মধ্যে থাকে। কারণ যে কোন সময়ে রক্তনালী সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন কারণে রক্তনালীগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বয়সের
কারণে সাধারন নিয়মেই এটা হয় যা অপ্রতিরোধযোগ্য কিন্তু যে সব কারণ আমাদের হাতে (অর্থাৎ মোটা হওয়া, চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান) সেগুলো সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। অপরদিকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ যদিও প্রতিরোধযোগ্য নয় এবং নিরাময়যোগ্যও নয়, তবে সচেতনতা, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি আমরা অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারি যদি নিম্নোল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলি-B-)
১. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম
২. ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা
৩. চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা
৪. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রনে রাখা এবং
৫. অল্প অল্প বুকে ব্যথা হলে বিশেষতঃ চল্লিশোর্ধ পুরুষ এবং পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে বুকে ব্যথার কারণ নির্ণয় করা।

সাধারণতঃ যাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ সন্দেহ করেন বুকের ব্যথার প্রকৃতি হার্টের কারণে হওয়ার সম্ভাবনা, তাদের ইসিজি করানো হয়ে থাকে। ইসিজি অনেকাংশেই হার্টের ব্যথাকে প্রকাশ করে থাকলেও সবক্ষেত্রে পারে না। এদের জন্য আরেক ধরনের ইসিজি করার প্রয়োজন যাকে ষ্ট্রেস ইসিজি বা ইটিটি (ETT) বলে। এই ইসিজি করার সময়ে রোগীকে একটা মেশিনের উপর দৌড়াতে হয়। এই পরিশ্রম চলাকালীন সময়ে অনবরত ইসিজি হতে থাকে। অর্থাৎ সাধারণ ইসিজি করাকালীন যেহেতু রোগী বিশ্রামরত থাকে, অল্প বিস্তর হার্টের সমস্যা এক্ষেত্রে ধরা নাও পড়তে পারে। এদের জন্যই পরিশ্রমরত অবস্থায় ইসিজি বা ইটিটি করা হয়। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বহুল প্রচলিত এবং নিখুত পরীক্ষা হচ্ছে এনজিওগ্রাম যা হার্টের রক্তনালীর ব্লক প্রায় নিশ্চিতভাবেই সনাক্ত করে। এটা একটা বিশেষ এক্সরে যা সামান্য ইনজেকশনের প্রয়োগের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। বছর কয়েক আগেও এর জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার রোগী বিদেশে পাড়ি জমাত। বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হরহামেশাই এ পরীক্ষা হচ্ছে। খরচ মোটামুটি বার হাজার টাকা। তবে, এই খরচ যদিও এনজিওগ্রামের জন্য যা একটি পরীক্ষা মাত্র। এই পরীক্ষায় হার্টের রক্তনালীতে ব্লক না পাওয়া গেলে তো ভাল অন্যথায় এই রক্তনালীকে পরিষ্কার রাখার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয় তা দুই রকমের।

1) ষ্টেন্টিং বা বেলুনিং: একটা বেলুন আকৃতির জিনিষ প্রবেশ করিয়ে রক্তনালীর চুপসে যাওয়া অংশকে প্রসারিত করা । এই প্রক্রিয়ায় রোগীকে বড়জোর দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হয়, রোগী একটা ইনজেকশনের মত ব্যথা ছাড়া আর কিছুই টের পায় না। কোনরকম অজ্ঞানও করা হয় না। খরচ ক্ষেত্রভেদে এক থেকে তিন লাখ কিম্বা আরো বেশী হতে পারে।

২) বাইপাসঃ যদি একাধিক জায়গায় ব্লক থাকে বা স্থানটি জটিল অবস্থায় থাকে সে ক্ষেত্রে বেলুন বা ষ্টেন্ট ঢুকাবার সুযোগ থাকে না এ ক্ষেত্রে বাইপাস অপারেশনের মাধ্যমে ঐ জায়গাকে কেটে ফেলে ভাল রক্তনালী জোড়া দেওয়া হয়। রোগীকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়, কয়েক ব্যাগ রক্ত অথবা ডোনার প্রস্তুত রাখতে হয়। যদিও এই প্রক্রিয়ায় খরচ ষ্টেন্ট বা বেলুনিং থেকে অনেক কম। সাধারণতঃ এক থেকে দেড় লাখ।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই এনজিওগ্রাম, বেলুনিং কিংবা বাইপাস না করলেই কি নয়? রোগীরা প্রায়ই এ প্রশ্ন করে থাকেন যে, শুধু ঔষধ দিয়ে কি সারানো যায় না? এর উত্তর হচ্ছে, একটা পর্যায় পর্যন্ত ঔষধের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ। বাইপাস কিম্বা স্টেন্টিং ই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত চিকিৎসা। ঔষধের মধ্যে কয়েকটা ঔষধ গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে চর্বির পরিমান বেশি থাকলে কমানোর ঔষধ, আর রক্ত পাতলা রাখার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ যা উন্নত দেশে প্রতিটি বয়স্ক লোকেই সেবন করে থাকে। এছাড়া প্রেসারের ঔষধগুলো সাধারণতঃ হার্ট এ্যাটাক বা angina কিছু মাত্রায় প্রতিরোধ করে। কিন্তু রক্তনালী যখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, তখন এ্যানজিওগ্রাম করে এর প্রকৃতি নির্ণয় করে ষ্টেন্ট কিংবা বাইপাস অপারেশন ছাড়া বুকের ব্যথা কমাবার কিংবা হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমাবার বিকল্প থাকে না। এগুলো অনেকটা নদীতে পলি পড়লে ড্রেজিং করার মত। ঔষধ ছাড়াও আরও একটা বিষয় হার্টের চিকিৎসায় সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। তা হল জীবনযাপন ব্যবস্থার পরিবর্তন। এর কিছুটা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন- ধূমপান ত্যাগ করা, টেনশনমুক্ত থাকা, শারীরিক পরিশ্রম করে শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখা। একই সাথে চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করাও প্রয়োজন। সকলের সুবিদার্ধে এখানে চর্বি যুক্ত খাবারের উল্লেখ করা হচ্ছে। যার প্রথমগুলো সর্বোচ্চ চর্বিযুক্ত, শেষেরগুলো সর্বনিম্ন চর্বিযুক্ত(descending order) । তবে হার্টের রোগীর অবস্থা অনুযায়ী এর সবগুলোই কিংবা অধিকাংশই বর্জনীয়। :((
১. মগজ
২. ডিমের হলুদ অংশ
৩. কলিজা (গরু/খাসি)
৪. চিংড়ি-বিশেষতঃ বড় চিংড়ি
৫. আইসক্রীম, চকোলেট
৬. খাসির মাংস
৭. হাসের মাংস
৮. গরুর মাংস
৯. মুরগীর চামড়া
১০. দুধ।
প্রশ্ন হতে পারে তাহলে খাওয়া যাবে কি? খেতে বাধা নেই কিংবা কোন ক্ষেত্রে বেশি খাওয়া প্রয়োজন এমন খাবারের মধ্যে-
১. সকল ধরনের শাকসবজি
২. ফল
৩. সব রকম মাছ বিশেষতঃ সামুদ্রিক মাছ
৪. সব ধরনের তেল (পাম ওয়েল এবং নারকেল তেল/দুধ ব্যতীত)
:)পরিশেষে হার্টের রোগীদের জন্য সুখবর হচ্ছে, বড় বড় রোগের যেমন- ক্যান্সার, কিডনী নষ্ট হওয়া, লিভার সিরোসিস অথবা ডায়াবেটিস এ সবের মধ্যে হার্টের চিকিৎসা যেমন সবচেয়ে সহজলভ্য তেমনি সর্বাধিক কার্যকর। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করলে হার্ট এ্যাটাককে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা যায় অথবা একবার হার্ট এ্যাটাক করলেও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা সম্ভব। হার্ট এ্যাটাক একবার করলে এর একটা অংশ চিরস্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। দুই বা তিনবারে গোটা হৃদপিন্ডই অকেজো হয়ে পড়ে, তখন জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণে উপযুক্ত সময়ে অর্থাৎ হার্ট এ্যাটাক একবারও হয়নি কিন্তু ঝুকির মধ্যে রয়েছে এ রকম প্রত্যেকেরই ইসিজি, ইটিটি এবং এনজিওগ্রাম করে নেয়া উচিত।
চেষ্টা আমাদের কিন্তু নিরাময় সম্পূর্ণরূপেই আল্লাহর হাতে।
....ডা. জুবায়ের হোসেন

ORIGINAL SOURCE:
Read more ...

Saturday, July 25, 2009

কিভাবে Free Ebook/Thesis/Article/Journal Download করবেন?

বিভিন্ন বংলা সাইট এ এর আগে আমি অকেক ইউনিভার্সিটি এর Password দেয়ছিলাম।যাই হোক আজ আমি কিভাবে Free Ebook/Thesis/Article/Journal Download করবেন তার পদ্ধতি জানাব।আশা করছি বিবেকবান Moderator গণ দেশের কোটি কোটি Students/ Teachers/ Researchers দের কথা মাথায় রেখে আমার এই পোস্ট টা মুছে ফেলবেন না।

মনে করেন আপনাকে আপনার বন্ধু তার ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি থেকে বই ইনে আপনাকে পড়তে দিল।আপনি যদি তাকে অবৈধ না ভাবেন বা নিলক্ষেত থেকে ফটকপি বই পড়েন তবে আমার এই পোস্টটা আপনার জন্য।যারা এসব support করেন না তাদের জন্য আমার এই পোস্ট না।

১-www.abcdfree.com
২-http://bbs.techyou.org/
৩-www.passfans.com/forum


Thesis/Article/Journal Download করার জন্য এই ৩টা সাইট হল সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট।এদের মাঝে http://www.abcdfree.com হল সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কাজের।এই ৩টা সাইট ভালো করে দেখে আমি http://www.abcdfree.com সাইটের সাথে যুক্ত হই ৩-১-২০০৯ তারিখে এবং প্রচুর পরিশ্রমের পর বাংলাদেশের একমাত্র Moderator হওয়ার যোগ্যতা অরজন করি।

আমাদের সাইট এ বাংলাদেশের User ১০ জনের কম।অথচ এই ১টা সাইট দেশের কোটি কোটি Students/ Teachers/ Researchers এর জীবন বদলে দিতে পারে।এই সাইটে=

# Newbie---Member---Conqueror---Lord------King------Forum Legend
# Money:0-50----50-200-----200-500--500-1000--1000-3000---3000---

এরকম একটা জটিল সমীকরন আছে।আপনার ভাল পোস্ট এর জন্য আমরা Moderator গন আপনাকে +10/+15 দিব আবার আপনি আপনার পোস্ট এর সাথে Requirement হিসেবে Money যুক্ত করতে পারেন।যত Money বাড়বে তত আপনার Status Upgrade হবে।ভালো সব পস্ট এর সাথে Permission Level এর Requirement থাকে।তাই আপনাকে প্রচুর Contribute করে Money+Level Upgrade করতে হবে।

আপনারা সবাই ত জানেন http://www.gigapedia.com হল ১ নাম্বার Free Ebooks+Video Tutorials+Documentaries সাইট।ওটা একটা Underground Site যা Google Search এ আসে না এবং Mouth to Mouth বা মুখে মুখে শুনে মানুষ তাতে Registered হয়ে Best Sellers Medical/ Engineering/ Commuter Science এরকম বিভিন্ন ধরনের Ebooks Download করে।

http://www.gigapedia.com নেই এমন বইও http://www.abcdfree.com সাইটে অনেক সময় পাওয়া যায়।আমাদের Request Section এ আপনি যে কোন Article/Thesis/Research Paper এর পুরো লঙ্ক দিএ Request করলে 99% ক্ষেত্রেই কেউ না কেউ তা Upload করে আপনাকে সাহায্য করবে।

কোন সমস্যা হলে জানাবেন। আমার প্রফাইল দিলাম।


ভাল থাকবেন

problogger99@gmail.com

মুল লেখাঃ

Read more ...