Welcome to the Opel's Galaxy

"Love is like a piano...at first you have to play it by its rules....then you must forget the rules and play it with your heart...."

Friday, October 10, 2008

বিনামূল্যে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ


প্রতিনিয়ত বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে ইন্টারনেটে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের পরিমাণ। নামি-বেনামী অসংখ্য ভাইরাস ও স্পাইওয়্যার নামক ঘাতক প্রোগ্রামের দ্বারা প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে বিশ্বের হাজার হাজার কম্পিউটার এবং কম্পিউটারে সংরক্ষিত মূল্যবান তথ্য। এতে ব্যবহারকারীরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও হ্যাকার নামে পরিচিত একশ্রেণীর অসাধু কম্পিউটার ব্যবহারকারী ইন্টারনেটের সাহায্যে আত্মসাৎ করছে অনলাইনে সংরক্ষিত ব্যাংক একাউন্ট ও ক্রেডিট কার্ডের গোপন নাম্বার, নেট ব্যবহারকারীদের ই-মেইল এ্যকাউন্ট ও মেসেঞ্জার আইডি, গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ইত্যাদি এবং এভাবে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যপক ক্ষতি করছে এই হ্যাকাররা। এছাড়াও এরা অনলাইন কেনাবেচার সাইট থেকে ব্যালেন্স চুরি করে নেয়, ছোটবড় বিভিন্ন কোম্পানীর ডাটাবেজ মুছে দেয়, ওয়েব সাইটের এফটিপি একাউন্ট হ্যাক করে মুছে দেয় সব ফাইল। ফলস্বরূপ ওইসব কোম্পানী ব্যপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ও হ্যাকারদের ঠেকাতে তৈরী হয়েছে নরটন, ম্যাকাফির মত নামি দামী সব অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার কোম্পানী এবং তাদের তৈরীকৃত সফ্‌টওয়্যারের সাহায্যে নিশ্চিত করছে সকল শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারের বিক্রয়মূল্য সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়সীমার বাইরে থাকে বিধায় সাধারণ গ্রাহকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হন। অনলাইন হুমকির সবচেয়ে বড় শিকার বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশসমূহের জনগণ যাদের এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার কেনার সামর্থ্য নেই। তাই দেখা যায়... কেউ একটি নতুন কম্পিউটার কেনার কিছুদিনের মাঝেই কম্পিউটারটিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয় এবং একসময় কম্পিউটারটি অকেজো হয়ে পরে। সাধারণ গ্রাহকদের নিরাপত্তার এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে কিছু নিবেদিতপ্রাণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার তাদের তৈরীকৃত কিছু নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার সকল শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এখানে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সেরা কিছু অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারের বর্ণনা দিয়ে এদের প্রাপ্তিস্থান উল্লেখ করা হলঃ

কমোডো ফায়ারওয়াল প্রোঃ অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফায়ারওয়াল। এটি ইন্টারনেট এর ইনকামিং ও আউটগোইং ট্রাফিক ফিল্টার করে হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কম্পিউটারে কোনপ্রকার ক্ষতিকারক সফ্‌টওয়্যার(ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি) প্রবেশে বাধা দেয়। এছাড়াও এটি কম্পিউটারে ইন্সটলকৃত প্রোগ্রামসমূহ মনিটর করে কোন সন্দেহজনক কর্মকান্ড দেখলে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে এবং প্রয়োজনবোধে ঝুঁকিপূর্ণ কোন কমান্ড এক্সেকিউশন প্রতিরোধ করে। ফলে কম্পিউটার ব্যপক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
সর্বাধিক ব্যবহৃত উইন্ডোজ ঘরানার অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ হিসাবে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল সচল থাকে। কিন্তু এই ফায়ারওয়াল শুধু ইনকামিং হ্যাকারদের প্রবেশে বাধা দেয়, কম্পিউটারের অভ্যন্তরে অবস্থিত স্পাইওয়্যারসমূহের ইন্টারনেট প্রবেশে কোনরকম বাধা দেয় না। ফলে নিরাপত্তার ফাঁক থেকেই যায়। উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালের এই সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করতে বিভিন্ন নামকরা কম্পিউটার সিকিউরিটি কোম্পানী সর্বাধিক নিরাপত্তার জন্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ফায়ারওয়াল তৈরী করে থাকে।

বিনামূল্যে প্রাপ্ত ফায়ারওয়্যালগুলোর মধ্যে সেরা হচ্ছে জোন এলার্ম এবং কমোডো ফায়ারওয়্যাল প্রো। জোন এলার্মের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী হলেও এটি অধিক পরিমাণ সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে... ফলে এটি ব্যবহারের কারণে কম্পিউটার কিছুটা স্লো হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে কমোডো ফায়ারওয়াল প্রো জোন এলার্ম এর মতই শক্তিশালী নিরাপত্তা সম্পন্ন এবং এটি অনেক কম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে। কম্পিউটারে মাত্র ১২৮ মেগাবাইট Ram থাকলেই এটি চালানো সম্ভব এবং এটি ব্যবহারে কম্পিউটার একটুও স্লো হয় না। এটি অনলাইন এবং ডেস্কটপ ফায়ারওয়্যাল দুধরণের কাজই করতে সক্ষম, তবে ব্যবহারকারি চাইলে ডেস্কটপ ফায়ারওয়্যালটি বন্ধ রাখতে পারেন কারন এটি ঘনঘন বিভিন্ন পপ-আপ উইন্ডো প্রদর্শন করে যা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর।
কমোডো ফায়ারওয়্যাল প্রো ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে...

কমোডো ফায়ারওয়্যাল সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ
১। কমোডো ফায়ারওয়্যাল ইন্সটলের পর কম্পিউটার রিস্টার্ট করে প্রথমেই নেটওয়ার্ক ডিফেন্স ট্রেইনিং মোডে সেট করুন এবং প্রো-এ্যাক্টিভ ডিফেন্স ডিজেবল করে দিন। আপনার কম্পিউটারে আলাদা এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থাকলে প্রো-এ্যাক্টিভ ডিফেন্সের কোন প্রয়োজন নেই।
২। এরপর Miscellaneous ট্যাবের Settings মেনুতে গিয়ে Show the balloon messages অপশনটি বন্ধ করে দিন। তাহলে আর কোন বিরক্তিকর পপ-আপ প্রদর্শিত হবে না এবং কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই কমোডো ফায়ারওয়্যাল ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। কমোডো ফায়ারওয়্যাল ইন্সটলের পর প্রথমবার ইন্টারনেটে সংযুক্ত হলে New Network Found সংক্রান্ত একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে। এখানে Don’t detect new networks automatically অপশনটি নির্বাচন করুন।
কমোডো ফায়ারওয়াল প্রো এর স্ক্রিণশটঃ
ছবি

আভাস্ট এন্টিভাইরাসঃ ভাইরাস হচ্ছে একধরণের এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম অথবা নির্দেশাবলী যা কোন কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অবস্থানকালে মারাত্মক ঝুঁকিসম্পন্ন কমান্ড এক্সেকিউট করে হার্ডডিস্কে অবস্থিত জরুরী তথ্য অথবা সিস্টেম ফাইল মুছে দেয়। এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামসমূহের মৌলিক কাজ হচ্ছে সমগ্র হার্ডড্রাইভ অথবা হার্ডড্রাইভের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা(সিস্টেম ডিস্ক) থেকে ভাইরাসসমূহ খুঁজে বের করা এবং এদের নির্মূল করা। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিচিত্র ধরণের নিত্যনতুন ভাইরাস নির্মূলের জন্য বর্তমানে এ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামসমূহের কর্মক্ষমতাও আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত এবং শক্তিশালী রূপ নিয়েছে। একটি আধুনিক এ্যান্টিভাইরাসের বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে রিয়াল টাইম প্রটেকশন(যা হার্ডডিস্কে অবস্থিত কোন ফাইল ব্যবহৃত হওয়ামাত্র স্ক্যান করে দেখে), ভাইরাস রিকভারি ডাটাবেজ(ভাইরাস আক্রমনের পর কম্পিউটারকে পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য), লাইভ আপডেট(সর্বশেষ চিহ্নিত ভাইরাসমূহের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ) ইত্যাদি। বিনামূল্যে প্রাপ্ত এ্যান্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যারসমূহের মধ্যে এভিজি এ্যান্টিভাইরাস, এ্যান্টি ভিআইআর এবং আভাস্ট হোম এডিশন উল্লেখযোগ্য। এরমধ্যে আভাস্ট এন্টিভাইরাসই সবচেয়ে কার্যকরী কারণ এটি সবচেয়ে কম সিস্টেম রিসোর্স(প্রসেসর ও র‌্যাম) ব্যবহার করে এবং খুব দ্রুত ও নির্ভুলভাবে স্ক্যান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আভাস্টের মূল কম্পোনেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড শিল্ড(রিয়াল টাইম প্রটেকশন), ওয়েব শিল্ড(ছোটখাট একটি ফায়ারওয়াল), আই.এম.(ইন্সট্যান্ট মেসেজিং) প্রটেকশন, ইন্টারনেট মেইল(আউটলুক এক্সপ্রেস, এম.এস. আউটলুক, মোজিলা থান্ডারবার্ড ইত্যাদি) প্রটেকশন, এবং পি.টু.পি.(Peer2Peer) ফাইল শেয়ারিং শিল্ড। এছাড়াও এতে রয়েছে বুট টাইম স্ক্যানার যা সিস্টেম স্টার্টআপ এর সময় হার্ডডিস্ক ড্রাইভ স্ক্যান করে। যেহেতু স্টার্টআপের সময় অন্য কোন প্রোগ্রাম চালু থাকে না তাই এই স্ক্যান হয় অনেক দ্রুত এবং কার্যকরী। ইন্সটলেশনের পরপরই এটি একটি ভাইরাস রিকভারী ডাটাবেজ তৈরী করে নেয় যাতে ভাইরাস আক্রমণের পর ক্ষতিগ্রস্থ কম্পিউটারকে এর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
আভাস্ট এন্টিভাইরাস বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
ডাউনলোডের পর একটি ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের কোডের জন্য আপনাকে এই পেজ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ(ব্যবহারকারীর নাম, মেইল এ্যাড্রেস) ইত্যাদি প্রবেশ করিয়ে রেজিস্টারের পর আপনার প্রদত্ত ই-মেইল ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন কোডটি পৌঁছে যাবে। এরপর উইন্ডোজ টাস্কবারে অবস্থিত আভাস্ট আইকনটিতে রাইট ক্লিক করে About Avast মেনুতে গিয়ে নতুন লাইসেন্স-কী টি বসিয়ে নিন।
আভাস্ট এন্টিভাইরাস এর একটি স্ক্রিণশটঃ
ছবি

স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেসট্রয়ঃ ভাইরাস ছাড়াও বর্তমানে আরেকধরণের ক্ষতিকারক সফ্‌টওয়্যার দেখা যায় যা ব্যবহারকারীর অগোচরে কম্পিউটারে অবস্থিত তথ্যসমূহ চুরী করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন হ্যাকার বা ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়াও এক ধরণের স্পাইওয়্যার ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং Habit মনিটর করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয় যা ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ করে। স্পাইওয়্যারজনিত আরো কিছু সমস্যা হল বিভিন্ন ধরণের পপ-আপ এ্যাড, অযৌক্তিক এরর মেসেজ ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু কিছু স্পাইওয়্যার বিপুল পরিমাণ সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে কম্পিউটারের গতি মন্থর করে দেয়। স্পাইওয়্যার সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন এন্টি-স্পাইওয়্যার সফ্‌টওয়্যার রয়েছে। এর মধ্যে অত্যন্ত কার্যকর ও বিনামূল্যে প্রাপ্ত একটি সফ্‌টওয়্যার হল স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয়। এর প্রধান বৈশিষ্টগুলো হল নিয়মিত হালনাগাদ(আপডেট), নিরাপত্তাজনিত ফাঁকগুলো নিশ্ছিদ্রকরণ(Immunization), টি-টাইমার প্রটেকশন(উইন্ডোজ ও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডিফল্ট সেটিংগুলোকে স্পাইওয়্যারজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা) ইত্যাদি। এই সফ্‌টওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেসট্রয় এর একটি স্ক্রিণশটঃ
ছবি

সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কিছু সাবধানতাঃ
১। সন্দেহজনক কোন ফাইল ডাউনলোড থেকে বিরত থাকুন... বিশেষ করে .exe এক্সটেনশন এর ফাইল ডাউনলোড করার পূর্বে দেখে নিন ডাউনলোড সোর্সটি নিরাপদ কিনা।
২। অপরিচিত কোন ওয়েবসাইটে বিশেষ প্রয়োজন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ব্যতীত প্রবেশ করবেন না। অপরিচিত কোন সাইটে প্রবেশের পূর্বে গুগলে ওই সাইট সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখুন সাইটটি নিরাপদ ও ভাইরাসমুক্ত কিনা।
৩। কম্পিউটারে কোন সিডি বা বহনযোগ্য কোন হার্ডওয়্যার(ফ্লপি, পেন ড্রাইভ, মেমোরী কার্ড) ইত্যাদি প্রবেশ করানোর সাথে সাথে এন্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করুন। স্ক্যান না করে কখনোই বাইরের কোন ডাটা কম্পিউটারে প্রবেশ করানো উচিৎ নয় কারন এতে ভাইরাস, স্পাইওয়্যারসহ নানা ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে পারে।
৪। সর্বক্ষণ উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল বা আলাদাভাবে ইন্সটলকৃত কোন ফায়ারওয়াল চালু রাখুন। ফায়ারওয়াল বন্ধ রাখা মানে হ্যাকারদের প্রবেশ উন্মুক্ত করে দেয়া।
৫। এ্যান্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত হালনাগাদ(আপডেট) করুন। এর ফলে কম্পিউটার নিত্যনতুন অনলাইন হুমকির হাত থেকে নিরাপদ থাকবে। অনেকের কাছে উইন্ডোজ অটোমেটিক আপডেট বিরক্তিকর মনেহয় এবং এটি বেশ কিছু ব্যান্ডউইড্‌থ রিজার্ভ করে রাখে। মাইক্রোসফ্‌টের এই সাইট থেকে পছন্দমত উইন্ডোজের সর্বশেষ আপডেট ইন্সটল করে নিতে পারেন।
৬। শিশুকিশোরের অনলাইন নিরাপত্তার জন্য ওয়েব কনটেন্ট ফিল্টারিং সফ্‌টওয়্যার ব্যবহার করুন। এই সফ্‌টওয়্যার পেতে আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন। এটি বিভিন্ন পর্ণ সাইট ও অন্যান্য ক্ষতিকারক সাইট থেকে শিশুকিশোরদের নিরাপদ রাখবে।
(প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন মানচুমাহারা এবং তানভীর জামান)

আশা করি এই সফ্‌টওয়্যার ও সাবধানতাগুলো সবার কাজে আসবে।
এছাড়াও কারো কোন গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি টিপ্‌স জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ছবি

আপডেটঃ ফায়ারওয়্যাল অংশে জোন এলার্ম এর পরিবর্তে কমোডো ফায়ারওয়্যাল এর বর্ণনা দেয়া দেয়া হল, এবং আভাস্ট ও স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয় এর ডাউনলোড লিঙ্ক পরিবর্তন করে নতুন ভার্সনের লিঙ্ক দেয়া হল। Read more ...

কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ও তাদের প্রাপ্তিস্থান


ইন্টারনেটের বিশাল-বিস্তৃত জগতে প্রবেশের জন্য আমরা যে সফ্‌টওয়্যারটি সর্বাধিক ব্যবহার করে থাকি সেটি হচ্ছে ওয়েব ব্রাউজার। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন সুবিধা, আর এসব সুবিধা সহজে উপভোগের জন্য তৈরী হয়েছে অসংখ্য ওয়েব ব্রাউজার। কিন্তু আমাদের দেশের অনেকেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ছাড়া আর কোন ব্রাউজারের সাথে পরিচিত নন... ফলে তারা এসব ব্রাউজারের বিপুল পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখানে বিশ্বসেরা কয়েকটি ওয়েব ব্রাউজার ও তাদের প্রাপ্তিস্থান(ডাউনলোড লিঙ্ক) উল্লেখ করছি...

মোজিলা ফায়ারফক্সঃ বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও দ্রুততম ওয়েব ব্রাউজার হচ্ছে মোজিলা ফায়ারফক্স। ফায়ারফক্স এর মূল আকর্ষণ এর বিপুল এ্যাড-অন ও থিম এর সম্ভার, যার সাহায্যে ব্যবহারকারী একে পছন্দমত সাজিয়ে নিতে পারেন। ফায়ারফক্স ব্রাউজারের রয়েছে নিজস্ব ব্রাউজিং ইঞ্জিন যা প্রচলিত ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর চাইতে অনেক দ্রুত, নিরাপদ ও ব্যবহারবান্ধব। এছাড়াও এতে রয়েছে ট্যাব ব্রাউজিং সুবিধা যার মাধ্যমে একই উইন্ডোতে একাধিক ওয়েব পেজ খোলা রাখা যায়, ফলে টাস্কবার থাকে ঝামেলামুক্ত এবং এর ফলে অনেক কম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহৃত হয়। কাজেই যারা এখনো ফায়ারফক্স ব্যবহার করেননি তারা আর দেরী না করে আজই ডাউনলোড করুন মোজিলা ফায়ারফক্স আর বদলে ফেলুন আপনার ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা।
মোজিলা ফায়ারফক্স ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download Firefox 2.0.0.10
মোজিলা ফায়ারফক্স এর স্ক্রিণশটঃ Mozilla Firefox Preview

অপেরাঃ ফায়ারফক্স এর পরই আরেকটি জনপ্রিয় ব্রাউজার হচ্ছে অপেরা। এর মূল ফিচারগুলো হল ট্যাব ব্রাউজিং, মাউস গেসচার(যার মাধ্যমে মাউস পয়েন্টার ড্র্যাগ করে বেশ কিছু কমান্ড প্রদান করা যায়), স্পিড ডায়াল(যার সাহায্যে হোমপেজে বিভিন্ন ওয়েবপেজের শর্টকাট ও ছোট আকারের প্রিভিউ জমা করে রাখা যায়), সাইডবার, উন্নত ডাউনলোড ম্যানেজার, সেশন ম্যানেজার ইত্যাদি। এছাড়াও এটি অনেক কম মেমোরী ও প্রসেসর ব্যবহার করে, ফলে অনেক ধীরগতির কম্পিউটারেও সাবলীলভাবে চালানো যায়।
অপেরা ব্রাউজার এর ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download Opera 9.24
অপেরা ব্রাউজার এর স্ক্রিণশটঃ Opera browser Preview

নেটস্কেপ নেভিগেটরঃ নেটস্কেপ হচ্ছে সর্বপ্রথম জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার। শুরুতে এটি প্রচুর জনপ্রিয় থাকলেও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, ফায়ারফক্স ও অন্যান্য অত্যাধুনিক ব্রাউজার আবিষ্কারের পর এর জনপ্রিয়তা আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে। তবে নেটস্কেপ এর নতুন সংস্করণ নেটস্কেপ ৯ মোজিলা ইঞ্জিন এর উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে, তাই এতে ফায়ারফক্স ব্রাউজারের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও এ্যাড-অন সহ ফায়ারফক্সের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা উপভোগ করা যাবে। এছাড়াও এতে বাড়তি হিসাবে থাকছে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের আবহাওয়া জানার জন্য ওয়েদারবাগ নামের একটি এক্সটেনশন, টেক্সটবক্স রিসাইজার, মিনি ব্রাউজার(যার সাহায্যে একই উইন্ডোতে পাশাপাশি দুটি অংশে ব্রাউজ করা যায়)।
নেটস্কেপ নেভিগেটর ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download Netscape Navigator 9.0.0.4
নেটস্কেপ নেভিগেটর এর স্ক্রিণশটঃ Netscape Navigator Preview

সাফারিঃ সাফারি মেকিনটোশ অপারেটিং সিস্টেমের একটি জনপ্রিয় ব্রাউজার। এটি অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন ও ব্যবহারবান্ধব এবং এতে অতিরিক্ত কোন টুলবার নেই ফলে পুরো স্ক্রিণজুড়ে ওয়েব পেজ দেখা যায়। সম্প্রতি ম্যাক ও.এস. এর পাশাপাশি উইন্ডোজ প্লাটফর্মের জন্যও সাফারি ব্রাউজার তৈরী হয়েছে, কিন্তু এটি এখনো পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণে আছে। তবে খুব শীঘ্রই এর পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ পাওয়া যাবে।
সাফারি ব্রাউজার এর ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download Safari 3.0.4 beta
সাফারি ব্রাউজার এর স্ক্রিণশটঃ Safari browser Preview

ফ্লকঃ এটি মোজিলা ফায়ারফক্স ইঞ্জিনের একটি আকর্ষণীয় ব্রাউজার। যারা ইন্টারনেটে ব্লগ লিখেন বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের(ফেসবুক, ইউটিউব, ফ্লিকার ইত্যাদি) সাথে জড়িত তাদের জন্য এই ব্রাউজারে রয়েছে চমৎকার কিছু টুল। এছাড়াও এর বিশেষ সুবিধা হল এটি ফায়ারফক্স এর প্রায় সব এক্সটেনশনই সমর্থন করে। তাই ব্যবহারকারী এই ব্রাউজারে ফায়ারফক্স এর সবরকম সুবিধাই পাবেন। ফ্লক ব্রাউজার এর আকর্ষণীয় ইন্টারফেস সবারই পছন্দ হবে, তবে এতে ফায়ারফক্স এর সব থিম সমর্থন করেনা।
ফ্লক ব্রাউজার এর ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download Flock 1.0.1
ফ্লক ব্রাউজার এর স্ক্রিণশটঃ Flock browser Preview

ম্যাক্সথনঃ এই ব্রাউজারটি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইঞ্জিন ব্যবহার করে কিন্তু ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর চেয়ে অনেক বেশী সুবিধা রয়েছে এতে। এছাড়াও এতে স্পিড বাড়ানোর জন্য বিশেষ কিছু প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে যার ফলে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর চেয়ে গতিও অনেক বেশি। এর উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাউস গেসচার(যার মাধ্যমে মাউস পয়েন্টার ড্র্যাগ করে বেশ কিছু কমান্ড প্রদান করা যায়), ট্যাব ব্রাউজিং, এ্যাড ব্লকার, কনটেন্ট নিয়ন্ত্রক(যার সাহায্যে ছবি, শব্দ, ফ্ল্যাশ, স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি ব্যবহারকারী তার পছন্দমত ব্লক করে দিতে পারেন)। ধীরগতির কম্পিউটারের জন্য এতে রয়েছে সিপিইউ সেভিং মোড যার সাহায্যে এর র‌্যাম ও প্রসেসর এর ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
ম্যাক্সথন ব্রাউজার এর ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download Maxthon 2.0.5.7845
ম্যাক্সথন ব্রাউজার এর স্ক্রিণশটঃ Maxthon browser Preview

আভান্টঃ ম্যাক্সথন এর মত ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইঞ্জিনের আরেকটি ব্রাউজার হচ্ছে আভান্ট। এর সুযোগ-সুবিধা অনেকটা ম্যাক্সথন ব্রাউজার এর মতই। ম্যাক্সথনের মত এতেও মাউস গেসচার, ট্যাব ব্রাউজিং, এ্যাড ব্লকার সহ অন্যান্য অনেক সুবিধা রয়েছে।
আভান্ট ব্রাউজার ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download Avant 11.5 build 21
আভান্ট ব্রাউজার এর স্ক্রিণশটঃ Avant browser Preview

এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন আরো অসংখ্য ব্রাউজার বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। কারো কোন পছন্দের ব্রাউজার থাকলে এদের নাম, প্রাপ্তিস্থান এবং সুবিধাগুলো আমাদের জানান। আর নিত্যনতুন সব সুবিধা পেতে এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবসময় ব্রাউজারগুলোর সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করুন। কোন ব্রাউজারের সর্বশেষ ভার্সনে হালনাগাদ করতে ব্রাউজারটির Help মেনু থেকে Check for Updates –এ ক্লিক করুন। Read more ...

Thursday, October 9, 2008

হয়ে যান উইন্ডোসের হাফেজ


আমরা প্রায় সবাই উইন্ডোস ব্যবহার করি। টপাটপ গান চালাতে আর ধপাধপ ব্রাউজ করতে আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু আমরা কত জন উইন্ডোসের বিভিন্ন বেসিক টেকনোলজি গুলো জানি। আবার উইন্ডোসের বেশ কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস আছে যে গুলো জানা থাকলে ছোটখাট উইন্ডোসিও সমস্যার সমাধান নিজেই সমাধান করে ফেলা যায়। আর উইন্ডোসের বিভিন্ন টুইকিং গুলো জানা থাকলে উইন্ডোসের পারফরমেন্স নিজের মত করে পাওয়া যায়।

TweakGuides.com উইন্ডোস এক্সপি আর ভিস্তার উপর ফাটাফাটি দুটি টুইকিং গাইড তৈরি করেছে যাতে রয়েছে উইন্ডোস সম্বন্ধীয় প্রায় সকল ধরেনের টিপস এন্ড ট্রিকস ও টুইকিং। এই টুকিং গাইডটির যে বিষয় টি আমার ভাল লেগেছে তা হল এখানে বেশ জটিল টুইকিং গুলোও বেশ ব্যাখা দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাইডটির প্রথম দিকে উন্ডোসের বিভিন্ন বেসিক টেকনোলজি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর পুরো গাইড জুড়ে এক এর পর এক মজার সব টিপস এন্ড ট্রিকস ও টুইক তো আছেই। উইন্ডোস নিয়ে যারা প্রায়ই খুটখাট করেন তারা পড়ে দারুন মজা পাবেন। তাই দেরি না করে এখই এই লিংকে চলে যান, এক্সপি আর ভিস্তার জন্য দুটি আলাদা আলাদা ভার্সন পেয়ে যাবেন, ডাউনলোড করুন, পড়ুন, চর্চা করুন আর হয়ে যান উইন্ডোসের হাফেজ।

Read more ...

দ্রুত নেট সার্ফিং : সময়োপযোগী কিছু টিপস


আমাদের দেশের নেট স্পীড সবসমই অন্নান্য উন্নয়নশীল দেশের তূলনায় অনেকখানি স্লো। তাই স্লো নেট সার্ফিং এর অভিজ্ঞতা মোটামুটি আমাদের সবারই আছে। আর যারা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে নেট ব্রাউজ করে থাকেন তাদের দূর্গতির কথা আজ আর না ই বললাম।

আমরা অনেকেই নেটে ঘন্টার পর পর ঘন্টা কাজ করতে হয়রান। এক ঘন্টার কাজ কখনো কখনো তিন ঘন্টা লেগে গেলে এখন আর আমরা কেউ অবাক হই না। আমরা অভ্যস্ত হয়ে পরেছি কিন্তু স্লো ব্যান্ডউইথ এর মুখোমুখি হলে মনে মনে বিচ্ছিরি গালাগাল করতে কোন কার্পন্য বোধ করিনা।
সময় এখন আর গালাগাল করার নয় বরং যেটুকু ব্যান্ডউইথ আপনি পাবেন তার ষোল আনাই উসুল করে নেয়ার। নিচের কয়েকটি স্টেপ অনুসরন করে আমরা সহজেই আমাদের স্বল্প ব্যান্ডউইথ এর পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে পারি ……….

১. সার্ফিং এর ক্ষেত্র একটি ভাল ব্রাউজারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। একটি ভাল ব্রাউজারের মাধ্যমেই আপনি স্মুথ সার্ফিং এর মজা নিতে পারবেন। আর এই ক্ষত্রে মজিলা ফায়ারফক্স সবচেয়ে এগিয়ে। কারন মিজলা তার কম্প্রেশান টেকনিকের মাধ্যমে দ্রুত ওয়েব পেজ কে ডাউনলোড করে থাকে। মজিলার ওয়েবপেজ ডাউনলোডের হার অন্নান্য ব্রাউজারের তূলনায় অনেক বেশী।

২. ইমেজ এবং ফ্লাশ ভিত্তিক অ্যাডভার্টাইজ গুলো আপনার অনেক ব্যান্ডউইথ এর অপচয় করে থাকে। মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা Adblocker এবং Flashblocker এই দুটি এক্সটেনশানের মাধ্যমে এই সমস্ত ইমেজ ও ফ্ল্যাশভিত্তিক অ্যাড গুলোকে ব্লক করে দিতে পারেন। এতে আপনার ব্যান্ডউইথ অনেকখানি বেচে যাবে।

৩. আপনার ব্রাউজারের সেটিংসে গিয়ে ইমেজ অপশনটি ইন্যাকটিভ করে দিন (যখন আপনি ছবি দেখার চেয়ে টেক্সট দেখার বেশি প্রয়োজন বোধ করেন) এক্ষত্রে মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা Imglikeopera এক্সটেনশানটি ব্যবহার করে নেট সার্ফিং এর সময় অপ্রয়োজনীয় ইমেজ গুলোকে ব্লক করে রাখতে পারেন। এতে ওয়েব পেজ রিমোট সার্ভার থেকে ছবি ইমেজ লোড না করে আপনার লোকাল কম্পিউটার থেকে ইমেজ লোড করতে সহয়তা করবে এবং আপনি স্লো কানেকশান থাকা স্বত্তেয় মেটামুটি অনেকটা দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবেন।

৪. যখন আপনি কাউকে হাই রেজুলেশান এর ইমেজ পাঠাবেন তখন আপনি বিভিন্ন কম্প্রেশান টুল যেমন Microsoft Image Resizer ব্যবহার করে ইমেজ গুলো কে কম্প্রেস করে নিন।

৫. আপনার পিসি তে ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলোর অটো আপডেশান চালু করে রাখতে পারেন। সাধারণত অ্যান্টিভাইরাসের অটো আপডেশান অন করে রাখা হয় ( যদি আপনি অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করেন)। তবে উইন্ডোজ আপডেটের ক্ষেত্রে শিডিউল করে রাখাটা অত্যন্ত জরুরী কারন মাইক্রোসফট প্রায় প্রতিদিন তার আপডেট রিলিজ করে থাকে, বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সাধারণত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রিলিজ হয়ে থাকে।

৬. ইউটিউব এবং একই রকম অডিও এবং ভিডিও স্ট্রিমিং ওয়েবসাইটগুলো সাধারনত ব্যান্ডউইথ খেকো সাইট। তাই গুরুত্বপূর্ণ নেট সার্ফিং এর সময় এই সমস্ত সাইট গুলোতে যাওয়ার কথা চিন্তাও করা যাবেনা।

৭. যখন আপনি কোন হাই রেজুলিউশানের ইমেজ ডাউনলোড করবেন তখন আপনি ডাউনলোড করার আগে ইমেজ গুলোকে কম্প্র্রেস করে নিন। ডাউনলোডের পূর্বে ইমেজ কম্প্রশানের জন্য আপনি Onspeed ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

৮. Webaroo (www.webaroo.com) হচ্ছে আরেকটি চমৎকার টুল যার মাধমে আপনি আপনার ব্যান্ডউইথের পরিপূর্ণ ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে পারবেন। এটি একটি অফলাইন ব্রাউজিং প্রোগ্রাম যা সাধারনত ওয়েবপেজ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পেজ গুলোকে আপনার হার্ডড্রাইভে ডাউনলোড করে থাকে এবং এতে আপনি পরে পরিপূর্ণভাবে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। Webaroo’র লেটেস্ট ভার্সন Webaroo 2 যার মাধ্যমে আপনি আপনি youtube, metacafe, google video flickr photo থেকে খুব সহজেই ভিডিও এবং ছবি ডাউনলোড ও শেয়ার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি বিপুল পরিমান feed এ ও সাব্সক্রাইব করতে পারবেন।

তাই আর দেরী না করে ব্যান্ডউইথের ষোলআনা স্পীড উসুল করুন।

Read more ...

পিসি উইজার্ডের মাধ্যমে জেনে নিন কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য


আপনার কম্পিউটারের র‌্যাম কত বা রেমের বাস স্পিড কত, তা খুজে বেড় করতে পারবেন পিসি উইজার্ড ২০০৮ সফটওয়্যারের সাহায্যে। এই সফটওয়্যারের সাহায়্যে কম্পিউটারে যুক্ত থাকা সমস্ত হার্ডওয়্যারের (প্রসেসরের, রে‌ম, মাদারবোর্ড, এজিপি ইত্যাদি) পারফরমেন্স এবং প্রসেসরের, রে‌মের ক্যাশ কত তা দেখা যাবে। এছাড়াও সিস্টেম এবং সফটওয়্যারের সকল ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। মোট কথা আপনার কম্পিউটারের যত ধরনের তথ্য জানার প্রয়োজন তা এই সফটওয়্যার থেকে জানা যাবে। ২.০ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি www.cpuid.com থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করার পরে তা কপি করে পোর্টেবল হিসাবেও ব্যবহার করা যাবে। Read more ...

রিমোট ডেস্কটপের মাধ্যমে লোকাল নেটওয়ার্কের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ

কয়েকটি কম্পিউটার লোকাল নেটওয়ার্কের দ্বারা সংযুক্ত থাকলে উইন্ডোজের বিল্টইন রিমোট ডেস্কটপের সাহায্যে অন্য যেকোন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এজন্য অবশ্য উক্ত কম্পিউটারকে রিমোট ডেস্কটপ সক্রিয় থাকতে হবে।

রিমোট ডেস্কটপ সক্রিয় করতে মাই কম্পিউটারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন অথবা Control Panel থেকে System এ ক্লিক করুন তাহলে System Properties আসবে। এবার Remote ট্যাব থেকে Allow users to connect remotely to this computer চেক করুন। তাহলে এই কম্পিউটারের সকল এ্যাডমিনিষ্টেটর ইউজার স্বাভাবিকভাবে রিমোট ডেস্কটপের মাধ্যমে ঢুকতে পারবে। আর আপনি যদি অনান্য কোন ইউজারকে রিমোট ডেস্কটপ ব্যবহারের অনুমতি দিতে চান তাহলে Select Remote Users… বাটনে ক্লিক করে Add… বাটনে ক্লিক করুন। এবার Advanced বাটনে ক্লিক করে Select Users ডায়ালগ বক্স থেকে Find Now বাটনে ক্লিক করুন এবং নিচে থেকে পছন্দের ইউজার নির্বাচন করে সবগুলো উইন্ডো Ok করে শেষ করুন।

এবার নেটওয়ার্কের যে কোন কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ঢোকার জন্য Start Menu\Programs\Accessories\Communications এর Remote Desktop Connection এ ক্লিক করুন (অথবা রানে গিয়ে mstsc লিখে এন্টার করুন) তাহলে Remote Desktop Connection উইন্ডো আসবে। এবার আপনি যে কম্পিউটারে ঢুকতে চান সেই কম্পিউটারের আইপি এড্রেস লিখে Connect বাটনে ক্লিক (এন্টার চাপুন) করুন। তাহলে উক্ত রিমোট কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। (রিমোট কম্পিউটার যদি বন্ধ থাকে বা রিমোট ডেস্কটপ সক্রিয় না থাকে তাহলে Remote Desktop Disconnection ম্যাসেজ আসবে।) আর সব ঠিক মত থাকলে Log On to Windows আসবে। এখানে আপনি ইউজারের নাম এবং পাসওয়ার্ড লিখে Ok বটিনে ক্লিক (এন্টার চাপলে) করলে লগইন হবে। এখন আপনি স্বাভাবিকভাবে উক্ত কম্পিউটারের সকল কাজ (এমনকি বন্ধও) করতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার নিজের কম্পিউটারের ড্রাইভগুলোকে রিমোট কম্পিউটারে শেয়ার হিসাবে দেখতে চান তাহলে Remote Desktop Connection উইন্ডো থেকে Options>> বাটনে ক্লিক করে Local Resource থেকে Disk drives এ চেক করুন।

মূল লেখা এখানে

Read more ...

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ

আপনার বন্ধু থাকে প্রবাসে আর আপনি বাংলাদেশে। আপনার বন্ধু কম্পিউটারে খুব বেশী দক্ষ না। আপনি আপনার বন্ধুকে কিছু শেখাতে চান বা তার কম্পিউটারের কিছু কাজ করে দিতে চান। কিন্তু দুজন হাজার কিলোমিটার দুরে থেকে কিভাবে এটা সম্ভব। টিমভিউয়ার সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুর কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন, ফলে আপনি তাকে যেমন কিছু শেখাতে পারবেন তেমনই তার বিভিন্ন কাজও করে দিতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই উভই কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ এবং টিমভিউয়ার সফটওয়্যার ইনষ্টল থাকতে হবে।

এজন্য উভয়ই www.teamviewer.com থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনষ্টল করুন। এবার উভয়ই সফটওয়্যারটি চালু করুন, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে Your Details অংশে ID এবং Password আসবে। যেহেতু আপনি আপনার বন্ধুর কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করবেন তাই আপনার বন্ধুর কাছ থেকে এসএমএস, ফোন, মোবাইল, ম্যাসেজ (চ্যাট) বা ইমেইলের মাধ্যমে তার টিমভিউয়ারের ID এবং Password জেনে নিন। এখন আপনার টিমভিউয়ারের (Remote Support নির্বাচন রেখে) Partner Details এর ID অংশে আপনার বন্ধুর দেওয়া আইডি লিখে Connect Partner বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের টিমভিউয়ার পরীক্ষা করবে। এবপরে পাসওয়ার্ড চাইলে আপনার বন্ধুর দেওয়া পাসওয়ার্ড লিখে Log On বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার বন্ধুর দেওয়া আইডির টাইটেলে একটা উইন্ডো আসবে, যা আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের ডেক্সটপ। এখন আপনি উক্ত ডেস্কটপের মাধ্যমে আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ (ফাইল/ফোল্ডার তৈরী, ডিলিট করা, টাইপ করা, সফটওয়্যার ইনষ্টল করা, ডাউনলোড করা, গান দেখা ইত্যাদি) করতে পারবেন। মোট কথা ইন্টারনেটর সংযোগ অক্ষুন্ন রেখে কম্পিউটার লগঅফ/সার্টডাউন ছাড়া বাকি সবই করতে পারবেণ। এছাড়াও Filetransfer থেকে সংযোগ নিলে আপনার নিজের কম্পিউটারের ফাইল আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল/ফোল্ডার আদান প্রদান করতে পারবেন।

Read more ...