Welcome to the Opel's Galaxy

"Love is like a piano...at first you have to play it by its rules....then you must forget the rules and play it with your heart...."

Monday, October 20, 2008

বাংলাদেশে এক্টিভিস্ট হওয়া কি আদৌ সম্ভব (চার পর্ব একসঙ্গে)

পর্ব ১
উইকিপিডিয়ার সংজ্ঞানুসারে এক্টিভিজম হলো সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার জন্য স্বপ্রণোদিত কার্যক্রম। (http://en.wikipedia.org/wiki/Activism) তবে এক্টিভিজমের বিষয়টি এত ব্যাপক যে এই সংজ্ঞা তাকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। আমার উপলব্ধি অনুসারে এক্টিভিস্টরা একইসঙ্গে জ্ঞানী ও কর্মী, এমনকি সংগঠকও।
বিষয় বা ক্ষেত্র এবং মাধ্যম, এই দুই পরিপ্রেক্ষিতে এক্টিভিজমকে বোঝা যেতে পারে। কী কী রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিবর্তন এক্টিভিস্টরা আনতে চান, তা জানা গেলেই, এক্টিভিজমের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। এক্টিভিজম মানেই প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ। এখন এই প্রতিরোধের ক্ষেত্রগুলো হতে পারে সাম্রাজ্যবাদ, জি-এইটের স্বার্থানুকূল পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন, এগ্রেসিভ কর্পোরেট কালচার, বিজ্ঞাপননির্ভর ভোগবাদিতা, মৌলবাদী জঙ্গিপনা, ঢালাও বেসরকারীকরণ, উন্নয়নের নামে পরিবেশধ্বংস, পুরুষতান্ত্রিকতা এবং সর্বোপরি যেকোনো ধরনের পীড়ন ও শোষণ। আর এই এক্টিভিজমের মাধ্যম হতে পারে বিচিত্র -- গৃহকোণে বসে লেখালেখি-ব্লগিং থেকে শুরু করে রাজপথে প্রতিবাদ পর্যন্ত। এক হিসেবে এক্টিভিজম বামপন্থী ঘরানার কাজ হলেও, অ-বামপন্থী লিবারেল বা সচেতন গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন নিযুত মানুষ বিশ্বব্যাপী নানা মাত্রার এক্টিভিজমের সঙ্গে যুক্ত। এককথায় বলা যায় এক্টিভিজমের লক্ষ্য হলো মানবমুক্তি।
বাংলাদেশ একটি এক্টিভিজমপ্রবণ দেশ, বাঙালিও সাধারণভাবে একটিভলি এক্টিভিস্ট। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র জন্মের আগ পর্যন্ত বাঙালিরা মূলত রাজনৈতিক এক্টিভিজমের সঙ্গে যুক্ত ছিল, স্বাধীন দেশে এক্টিভিজমের বিচিত্র ক্ষেত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো সাম্প্রতিক বাংলাদেশে বাস করে কি আদৌ এক্টিভিস্ট হওয়া সম্ভব -- আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে সৎ ও খাঁটি এক্টিভিস্ট হওয়া? আমার উপলব্ধি, সম্ভবত, না।
আমার ব্যক্তিগত নিরবতার কথাটিই বলা যায়। আমি ১৯৯৯-২০০২ এই সময়কালে তিন বছরের বেশি সময়কালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলাম। ঐ বিভাগের সেলিম রেজা নিউটন, (ব্লগার) আ-আল মামুন, কাবেরী গায়েন এবং অন্য বিভাগের কয়েকজন সমমনা সহকর্মীর সান্নিধ্যে আমিও একরকম এক্টিভিজমে যুক্ত হই, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বের নানা বিষয় নিয়ে পাঠ, আলোচনা, লেখালেখি, প্রকাশনা থেকে শুরু করে রাজপথে প্রতিরোধ সবই করি। সেই কয়েকটা উজ্জ্বল বছর ছিল আমার দীক্ষাগ্রহণের সময়, বন্ধুদের কাছ থেকে কিংবা নিজে নিজে।
২০০২ সালের মার্চে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসি।
সবাই তো সব বিষয়ে এক্টিভিস্ট হয়না। আমার পেশাগত ও আগ্রহের জায়গা থেকে যেকয়েকটি বিষয়ে আমার এক্টিভিজম পরিব্যাপ্ত রাখতে চাইতাম তা হলো:
১. আমি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছিলাম
২. আমি সাম্রাজ্যবাদের নমনীয় রূপ এনজিওদের কার্যক্রমের বিরোধী ছিলাম
৩. আমি বিশ্বায়নবিরোধী ছিলাম (সেহিসেবে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফবিরোধী)
৪. আমি শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধী ছিলাম (সেহিসেবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার বিরোধী ছিলাম)
৫. আমি মৌলবাদী জঙ্গিপনার বিরোধী ছিলাম।
৬. আমি মিডিয়ার তৎপরতাকে ক্রিটিকালি দেখতাম
৭. আমি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির বিরোধী ছিলাম
... ইত্যাদি
ঢাকায় চলে আসার পরে আমি দেখলাম বেতন পাই সাকুল্যে প্রায় ১০ হাজার টাকা, একটা সাধারণ ভদ্রস্থ বাসা ভাড়া করলাম, ভাড়া সাড়ে ছয় হাজার। ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়-পরিবারের সঙ্গে সাবলেটে থাকতাম। স্ত্রী সবে চাকরিতে ঢুকেছেন, বেতন অতি সামান্য। কিন্তু কিছুকালের মধ্যেই আমরা বাবা-মা হলাম, স্ত্রী চাকরি ছাড়লেন তার অতি-কাক্সিক্ষত সন্তানকে পৃথিবীতে ঠিকঠাকমতো আনার জন্য। সংসার বড়ো হতে থাকলো। আয় বাড়াতে হবে। নানা জনের সঙ্গে পরামর্শ করলাম, পার্টটাইম কী করা যায়? উত্তর এলো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, এনজিও, কনসাল্টেন্সি। কেউ কেউ বিশ্বব্যাংকের অনুবাদের কাজও দিতে চাইলেন। সবগুলোই আমার দিক থেকে চিহ্নিত সংস্থা, আমার এক্টিভিজমের লক্ষ্য।
সিদ্ধান্তহীন আমি উদভ্রান্তের মতো ঘুরি। পকেটে পয়সা নেই, ঘরে সন্তানের জন্য ব্যয়বহুল শিশুখাদ্য নেই, বাসাভাড়া বাকি, উপরি হিসেবে আছে আমার নীতিবাগিশতার প্রতি স্ত্রীর কটাক্ষ।

পর্ব ২
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিমণ্ডলে কী সুবিধে পাওয়া যেতো? একটা নিম্নভাড়ার বাসা, যা হাউসটিউটরশিপের বরাতে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি ছাড়া সেটা পাওয়া সম্ভব নয়। এই রাজনীতি না করা বা তার বিরোধিতা করাও আমার এক্টিভিজমের লক্ষ্য। যদি একটু দ্রুত প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হওয়া যেত, বেতন বাড়তো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আমার অস্থায়ী প্রভাষকের পদটা স্থায়ী হতেই পাক্কা তিন বছর লেগে গেল (এটা একটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি, তিন বছর সেবা দিলে অস্থায়ী পদ এমনিতেই স্থায়ী হয়ে যায়। বিভাগ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সত্যি হলো, একটা উদ্যোগকে ঝুলিয়ে/ফেলে রাখা হয়েছে)।
অগত্যা কী আর করা! সম্ভাব্য উপায়গুলো থেকে বিশ্বব্যাংকের অনুবাদকর্ম ও লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বাদ দিলাম। প্রভূত মানসিক পীড়নের মধ্য দিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও এনজিওকে বরণ করলাম। টুকটাক কাজ করলাম, তাও নিয়মিত কিছু না। বড়ো ডিগ্রি বা পদ না-থাকায় এসবের পেমেন্টও কম হয়ে থাকে। আর মতিউর রহমানের আহ্বানে প্রথম আলোয় কনসাল্টেন্সিগোছের একটা কাজ করলাম কিছুদিন; অথচ আমার মিডিয়া-এক্টিভিজমের লক্ষ্যই ছিল প্রথম আলো-ডেইলি স্টার। এভাবেই বেঁচে রইলাম, স্ত্রী-সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখলাম। কিন্তু মর্যাদাকর বেঁচে থাকা তা নয়। কেবলই গ্রাসাচ্ছাদন তা -- গৃহে বৈভব নেই, আত্মীয় পরিমণ্ডলে সম্মান নেই (পদের সম্মান আছে বটে, কিন্তু দীর্ঘদিন তাদের জন্য কিছুই করতে না-পারাটা তাকে ম্লান করে দেয়), বন্ধুমহলে আছে সহানুভূতিশীল করুণা।
কিন্তু এই আপস আমার এক্টিভিজমের লক্ষ্যের তালিকা ছোট করে দিল। এনজিওর সুবিধাভোগী হয়ে তো আর এনজিওর বিরুদ্ধে কথা বলা যায়না। আর সবচেয়ে ক্ষতি হলো প্রতিবাদের যে তেজ ছিল আমার, তা অনেকটা মিইয়ে এলো। যে একবার আপস করা শুরু করে, তার সামগ্রিক তেজের তীব্রতাই কমে আসে। তবে এর মধ্য দিয়েই চেষ্টা চললো তালিকায় আর যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার। কিন্তু আগের সেই উদ্যম আর খুঁজে পাইনা।
পাশাপাশি কয়েক জায়গায় আপসের কারণে সৃষ্ট মানসিক পীড়ন আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। অবশ্য বাংলাদেশে অনেককেই দেখা যায় জলে ও ডাঙায় সমান সক্রিয়, তারা এক্টিভিস্ট হিসেবে সৎ নয় বলে মনে করি। অনেক নামজাদা ও শ্রদ্ধেয় সাংবাদিককে দেখি মিডিয়ার হঠকারিতার সমর্থন গাইতে, সবচেয়ে বড়ো বিজ্ঞাপননির্মাতা হলেন সবচেয়ে বিপ্লবী চলচ্চিত্রকার বা থিয়েটারকর্মী। জানিনা মানসিক পীড়ন বা অন্তর্দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যে আদৌ কাজ করে কিনা।
আমাকে এই আপস করতে হলো কেবল খেয়েপরে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু খোদ পুঁজিবাদী বা সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতে এক্টিভিস্টদের কেবল খাওয়া পরার জন্য এই আপস করতে হয়না। তাদের নানা ধরনের সোশ্যাল সিকিউরিটির ব্যবস্থা আছে, ভাতা আছে। একটা ধনবাদী দেশে একজন বেকারভাতা পেয়ে দিব্যি এক্টিভিজম চালিয়ে যেতে পারে। সিয়াটাল হোক আর হংকং হোক, প্লেনে উড়ে গিয়ে পশ্চিমা এক্টিভিস্টরা ডব্লিউটিওবিরোধী এক্টিভিজম করেন। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশে রাষ্ট্র কিছুই দেয়না। নাগরিকদের নিজের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হয়। বেতন এত কম যে টিকে থাকতে হয় বাড়তি কাজ করে, নয়তো ঘুষ খেয়ে। আর সম্মানজনক বাড়তি কাজ সবসময় জোটেও না।

পর্ব ৩
আমার ব্যক্তিগত প্রসঙ্গটি এখানে পাড়লাম কেবলই আলোাচনার সুবিধার্থে, ব্যক্তিজীবন বা সাংসারিক করুণদশা, কোনোটাই জানাতে নয়। আলোচনার খাতিরেই আমি এবার বাংলাদেশের কয়েকজন এক্টিভিস্টের নাম নিতে চাইবো। এরা হলেন ফরহাদ মজহার, শহীদুল আলম, রেহনুমা আহমেদ, আনু মুহাম্মদ, সলিমুল্লাহ খান প্রমুখ। এধরনের মাত্র কয়েকজনের নামোচ্চারণের মাধ্যমে অন্যদের খাটো করতে চাইনা, তবে এরা দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের এক্টিভিজমের সঙ্গে যুক্ত, এবং এদের কমবেশি সবাই চেনেন, এবং এদের নামের মাধ্যমে আমি আসলে আমার যুক্তি তুলে ধরতে চাই।
কবি ও লেখক ফরহাদ মজহার তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের সঙ্গে নয়াকৃষিসহ নানা ধরনের এ্যাক্টিভিজমে যুক্ত। তার শিষ্যের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু তার মতাদর্শিক শিফট অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষত সাম্প্রতিক বাংলাদেশে প্যান ইসলামিক উন্মাদনার তাত্ত্বিক ভিত্তি তার লেখালেখি থেকেই দাঁড়িয়েছে। শহীদুল আলম বিখ্যাত ফটোগ্রাফার, ফটোগ্রাফি ও ব্লগের মাধ্যমে (http://www.shahidul.wordpress.com) তার এক্টিভিজম সর্বজনবিদিত। তবে পাঠশালা এবং দৃকের বিভিন্ন কার্যক্রমে ইউরোপনির্ভরতার কারণে তিনি কতটা স্বাধীনভাবে এক্টিভিজম চালিয়ে যেতে পারছেন তা নিয়ে আমি সন্দিহান। নৃবিজ্ঞানী-শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ তার শিক্ষকতা ও এক্টিভিজমের মাধ্যমে অনেক তরুণ এক্টিভিস্ট তৈরি করেছেন। ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় তিনি মানবমুক্তির জন্য লিখে চলেছেন। অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে লিখছেন, কিন্তু তার কথা নীতিনির্ধারকরা শোনেননা। বাংলাদেশের সেলিব্রেটেড অর্থনীতিবিদ হলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বা দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। আনু মুহাম্মদ সক্রিয় রাজনীতিবিদ -- ফুলবাড়িসহ অন্যান্য জনগণের আন্দোলনে তার ভূমিকা অবিসংবাদিত। সলিমুল্লাহ খান মূলত তাত্ত্বিক, তবে মাঠেও তাকে পাওয়া যায়। আফগানিস্তান-ইরাক আক্রমণের সময় সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতায় এবং 'আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা'র সেমিনারসমূহে ফরহাদ-সলিমুল্লাহর যৌথতা বেশ নজরকাড়া ছিল, তবে সেই যৌথতা সম্ভবত আর বলবৎ নেই। এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি কেন্দ্রকে (কাক) ঘিরে সলিমুল্লাহ খানের এক্টিভিজম বর্তমানে চালু আছে।
এই এক্টিভিস্টদের মধ্যে আনু মুহাম্মদ ও রেহনুমা আহমেদ আমার বিশেষ প্রিয়। বাকিদের জ্ঞান ও কর্মে আমার শ্রদ্ধা থাকলেও নানা কারণেই একান্ত প্রিয় নন। তার কারণ নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ কম। শুধু বলা যায় এই দুইজন এক্টিভিস্ট নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এবং এদের কারণেই মনে হতে পারে বাংলাদেশে খাঁটি এক্টিভিস্ট তাহলে পাওয়া সম্ভব।
তবে শুধু এই তথ্য দিয়েই এই সম্ভাবনাকে নাকচ করতে চাচ্ছি যে, দুজনেরই পিতৃপ্রদত্ত বা অন্যান্য উৎসের নানা সমর্থন আছে, থাকাখাওয়া বা জাগতিক অর্জন তাদের মৌলিক সমস্যা নয়। রেহনুমা আহমেদের পক্ষে জাবির অধ্যাপনার চাকরি একদিন হঠাৎ ছেড়ে দেয়া তাই সম্ভব হয়ে ওঠে। দাঁড়ানোর জমিন শক্ত থাকায় খাঁটি এক্টিভিস্ট হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে।
যা আমার বা আপনার পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়।

শেষ পর্ব

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বিদ্যমান বাংলাদেশ-পরিস্থিতিতে এক্টিভিজমের কী দশা হবে তাহলে? মানবমুক্তির জন্য লড়াইয়ের পথ কি রুদ্ধই থাকবে? আপসের চোরাস্রোতে কি বরাবরই এক্টিভিস্টরা হারিয়ে যাবেন?

হারিয়ে যাওয়া অবশ্যই কাজের কথা নয়। এটা আমার জন্যও প্রযোজ্য, সত্যি বলতে আমি একেবারে হারিয়ে যাইওনি। এখন যেহেতু বিদেশে আছি, তাই ব্লগই আমার এক্টিভিজমের মাধ্যম। দেশে ফিরে গেলে পুরনো উপায়গুলোতে আবার যুক্ত হয়ে যাবো। আমার মনে হয় সৎ এক্টিভিস্ট হবার বা থাকার ইচ্ছেটাই একমাত্র রক্ষাকবচ এক্ষেত্রে। আপসের কারণে এক্টিভিজমের তালিকা ছোট হতে থাকুক, কিন্তু ইচ্ছেটা থাকুক, সক্রিয়তা বলবৎ থাকুক। ডিলেমায় দুলতে হবে, তবুও এক্টিভিজম চালু থাকুক। যিনি পেশাগত কারণেই এনজিওতে আছেন, তার তালিকা থেকে এনজিওবিরোধিতা অবশ্যই বাদ যাবে, কিন্তু অন্য ক্ষেত্রগুলোতে তিনি অবদান রাখতে পারেন। বিজ্ঞাপননির্মাতা বা সেলফোন কোম্পানির এক্সিকিউটিভের পক্ষে কর্পোরেট কালচারের বা জি-এইটের বিশ্বায়নের বিরোধিতা করা হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতায় সমস্যা নেই। তবে এগুলো একেকটি একেকটির সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে-পেঁচিয়ে থাকে যে, একটি আরেকটির এমন পরিপূরক যে, একটাকে আক্রমণ করতে গেলে আরেকটি প্রতি-আক্রমণ করতে উদ্যত হয়।একটা উদাহরণ দিই।
২০০৪ সালে আমি আর আ-আল মামুন যৌথভাবে একটি বইয়ের সম্পাদনা করি, শিরোনাম 'কর্পোরেট মিডিয়ার যুদ্ধ ও তথ্য বাণিজ্য: ইরাক, আফগানিস্তান, প্যালেস্টাইন'। আমার বিভাগের সাবেক এক ছাত্র, যিনি লন্ডন থেকে উচ্চতর সব ডিগ্রি অর্জন করেছেন, শিক্ষক হবার যোগ্যতা থাকার পরেও যিনি ঢাকা, রাজশাহী বা চট্টগ্রামের কোনো বিভাগেই যোগদান করতে পারেননি, তবে ইউনিসেফের কমিউনিকেশন সেকশনে তিনি কর্মরত ছিলেন। আমি দূর থেকে তাকে শ্রদ্ধা করতাম। তাকে বইটা উপহার দিই, তিনি বইটা নিয়ে খুব উৎসাহ দেখালেন। একটা কাজের কাজ হয়েছে বলে মতপ্রকাশ করলেন। আমি তাকে আমন্ত্রণ জানাই বইটার প্রকাশনা-উৎসবে আলোচক হবার জন্য। তিনি সানন্দে রাজি হন, যেন সম্মানিত বোধ করছেন, এরকম ছিল তার অভিব্যক্তি। কিন্তু প্রকাশনা-উৎসবের সময় ঘনিয়ে আসতে আসতে তিনি একদিন ইমেইলে জানালেন যে তার পক্ষে ঐ আলোচনায় আলোচক হওয়া সম্ভব নয়। তার বস নিষেধ করেছেন। বস মানে কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান, কোনো একজন পশ্চিমা সাদা চামড়ার মানুষ।
বিষয়টা তলিয়ে দেখলে কী পাই? ইরাক-আফগানিস্তান আক্রমণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে। এই অন্যায় আগ্রাসনে সমর্থন দিয়েছে পশ্চিমা মিডিয়া। সেই মিডিয়ার তৎপরতার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে চেয়েছে যে বই, সেই বইকে নিয়ে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আগ্রহী জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংগঠনের একজন বাঙালি অফিসারকে আসতে দিলেন না যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা অন্য কোনো পশ্চিমা দেশের একজন বস। এটি বসের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে, আবার সাংগঠনিক নীতিমালার অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও হতে পারে। যে উপায়েই সিদ্ধান্তটা আসুক, এইটা একটা সিদ্ধান্ত এবং এর অনেক মানে আছে।
এধরনের বাধা এক্টিভিজমের জন্য সবসময়ই আসবে, কিন্তু এসবের মধ্য দিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। এই তথ্য এখানে অপ্রাসঙ্গিক নয় যে আমার সেই শ্রদ্ধেয় জন বর্তমানে ইউনিসেফ ছেড়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ঢাকা অফিসের কমিউনিকেশন বিভাগে কাজ করছেন। আমাদের সবার এক্টিভজমই যদি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চাকুরে হবার মধ্য দিয়ে শেষ হয়, তবে তার ফলাফল হবে মারাত্মক। আশা করি এই নিয়তি সবার জন্য প্রযোজ্য হবেনা।
তবে বিপজ্জনক হলো গাছের ওপরে এবং তলায় একইসঙ্গে বিরাজ করা। এই প্রবণতা বিভ্রান্তিকর, প্রকৃত এক্টিভিজমের জন্য বাধাস্বরূপ। নারীবাদী নেত্রী হয়ে 'ফেয়ার এন্ড লাভলী ফাউন্ডেশন'-এর উপদেষ্টা প্যানেলে অবদান রাখা হলো পরিস্কার হিপোক্রিসি -- মিডিয়ায় যেমন মঙ্গলবারে 'নকশা', বুধবারে 'নারীমঞ্চ' থাকে; একটায় রূপচর্চার টিপস, আরেকটায় নারী-অধিকারের টিপস।

সবকিছুর মতো এক্টিভিজমের ক্ষেত্রেও সততা একটি পূর্বশর্ত।

মূল লেখাঃ Read more ...

বঙ্গভঙ্গ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট


পূর্ববঙ্গ তথা আমাদের আজকের এই বাংলাদেশের বিবেক আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর যাত্রা শুরু ১৯২১ সালে। ঢাবির এই ৮৭ বছরের ইতিহাস যেমন ঘটনাবহুল তেমনি এর প্রতিষ্ঠা পূর্ব ঘটনাবলীও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

ভারতের শাসন ভার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাত থেকে বৃটিশ রাজের হাতে হস্তান্তর হয় ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের পর থেকে। এ বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল বৃটিশ ভারতের বাংলা থেকে। ভারতীয় জাতিগুলির মধ্যে বাঙালিরা ছিল সবথেকে সুচিহ্নিত জাতীয় স্বকীয়তার অধিকারী এবং তারা ভারতের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সূত্রপাত ও বিকাশে উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম ছিল। বাঙালিরা চিরকাল পরাধীনতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছিল। বাংলার বিদেশী শাসন কখনই সুস্থির হয়নি। ফলে বৃটিশরা এক্ষেত্রে তাদের বিভেদনীতি প্রয়োগের কূটকৌশল গ্রহণ করে।

দুই বাংলায় বিভেদ সৃষ্টির উপকরণ বৃটিশদের হাতেই ছিল। এর প্রথমটি ছিল ধর্ম ও দ্বিতীয়টি ছিল পূর্ব বাংলার আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা। পূর্ব বাংলার অধিকাংশ মানুষ মুসলমান, এবং পশ্চিম বঙ্গের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু। অন্যদিকে বাংলার সব থেকে উৎপাদনক্ষম অংশ হওয়া স্বত্তেও পূর্ব বাংলা শিল্প-বানিজ্য, শিক্ষা, প্রভৃতিতে পশ্চিম বাংলা থেকে অনেক পিছিয়েছিল। কলকাতায় বিলাসবহুল জীবপন যাপন করা জমিদার সম্প্রদায়ের বেশির ভাগের জমিদারীই ছিল পূর্ব বাংলায়। পূর্ব বাংলার প্রধান শহর ঢাকা, পশ্চিম বঙ্গের কলকাতার তুলনায় কিছুই ছিল না। অথচ, ঢাকা শহর যখন মুঘল সম্রাজ্যের বাংলা সুবার রাজধানী কলকাতা তখন নিছক কতিপয় গ্রামের সমষ্টি।


বৃটিশদের সাথে বিশেষ সম্পর্কের সুবাদে ও ইংরেজী শিক্ষার বদৌলতে বাংলার হিন্দুরা সমাজজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। রাজধানী কলকাতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রভাব পোক্ত হয়। এর অন্যতম কারন পশ্চিমবঙ্গ ছিল হিন্দু অধ্যুষিত অন্য দিকে পূর্ব বঙ্গ ছিল মুসলমান অধ্যুষিত। জনসংখ্যার দিক দিয়ে সমগ্র বাংলায় মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ট ছিল। সেই অনুপাতে পূর্ব বঙ্গের শিক্ষার অবস্থা ছিল বেহাল। গরীব পূর্ববাংলার জনগনের উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে হত কলকাতা। পূর্ববঙ্গের সকল কলেজের মঞ্জুরির ক্ষমতা ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে এবং পরীক্ষার উত্তরপত্র তারাই মূল্যায়ন করত। কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের নম্বর প্রদানে প্রায়ই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠত।


এদিকে এ সময়ে বাংলা সাহিত্যে যে জোয়ার আসে, তার মূলে ছিলেন কলকাতা নিবাসী হিন্দু লেখক সাহিত্যিকরা। যদিও তারা তাদের লেখনিকে সমগ্র বাংলার মানুষের সমাজ জীবনের প্রতিফলন বলে প্রচার করতেন, কিন্তু তাতে শুধুমাত্র হিন্দুদের কথাই ফুটে উঠত। বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক একবার তাই বলেছিলেন, “তৎকালীন সাহিত্য গুলোতে যত গুলো চরিত্র আছে তাদের নাম পাশাপাশি রেখে পরিসংখ্যান করলেই দেখা যাবে রাম শাম যদু মধুদের সংখ্যা কত আর রহিম করিমের চরিত্রের সংখ্যা কত। অথচ, বাংলার সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ মুসলমান ছিলেন। অর্থাৎ, বাংলা সাহিত্যেও পূর্ববাংলা তার স্থান পায় নি।


এহেন পরিস্থিতিতে বৃটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেয়। তারা তাদের উদ্দেশ্য হিসেবে প্রচার করে “প্রশাসনিক সুবিধা ও পূর্ববঙ্গের আর্থসামাজিক উন্নয়ন”। পিছিয়ে পড়া পূর্ববঙ্গবাসীর কাছে এ ঘোষণা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কারন, নতুন প্রদেশ হলে ঢাকা হবে তার রাজধানী ফলে শুধু মাত্র এই কারনে পূর্ব বঙ্গ আগের থেকে অনেক বেশি সুবিধা লাভ করবে। অন্যদিকে, কলকাতার এলিট সমাজের প্রায় সকলেই এর বিরুদ্ধে যায়। এই এলিটদের অধিকাংশই ছিলেন জমিদাররা যাদের জমিদারী ছিল পূর্ববঙ্গে। বঙ্গভঙ্গ হলে পূর্ব বঙ্গকে আর শোষণ করা সম্ভব হবে না এটা তাদের কাছে পরিস্কার ছিল।


তৎকালীন শিক্ষিত সমাজে পূর্ব বঙ্গের মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী কেউ ছিল না বললেই চলে। এখানকার কতিপয় নেতারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্দে নিজেদের দলকে সৈণ্যহীন পান। ফলে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয় এবং পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকা আবারো তার রাজধানীর গৌরব হারায়। ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, টাঙ্গাইলের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী, এ কে ফজলুল হক প্রমুখ ছিলেন পূর্ব বাংলার প্রধান নেতা। এরা একপর্যায়ে ভাইসরয়ের সাথে দেখা করেন, ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য। বলাবাহুল্য, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান শিক্ষিত হবার সুযোগ পেত, সেই সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোড়লদের প্রভাব থেকে পূর্ব বাংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো মুক্তি পেত। ১৯১২ সালে লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা সফর করেন এবং ঢাকাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ফলে এর পেছনে লেগে পড়ে সেই পশ্চিমবাংলার লবি। ড. রাশবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল লর্ড হার্ডিঞ্জের সাথে দেখা করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতা করে স্মারকলিপি প্রদান করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ও রাজনীতিবিদ সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতা করেন। স্যার আশুতোষ মুখার্জির ব্যাপক প্রতিরোধের ফলে এক পর্যায়ে লর্ড হার্ডিঞ্জ তার সাথে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়। অবশেষে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন পাঁচটি নতুন অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করা হলে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেন। কিন্তু, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মঞ্জুরী ক্ষমতা প্রদান করতে দেননি। বিধায় ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের আগ পর্যন্ত পূর্ব বাংলার সব কলেজকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই থাকতে হয়েছিল।


এদিকে ১৯১৫ সালে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ মারা গেলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নবাব আলি চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার হাল ধরেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যোগে ভাটা পড়ে। ১৯১৭ সালে লন্ডনে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে নওয়াব আলি চৌধুরী অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আহ্ববান জানান। অবশেষে, সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার যাত্রা শুরু করে।


পশ্চিম বঙ্গ লবি এরপরও ক্ষান্ত দেয় না। পূর্ব বঙের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ মুসলমান হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ইসলামের ইতিহাস শিক্ষার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। ফলে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলত "মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়" অথবা "মক্কা অব দি ইস্ট"। অথচ, প্রতিষ্ঠার প্রথমে দীর্ঘকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু ছাত্ররাই ছিল সংখ্যা গরিষ্ট। তাছাড়া, অদ্ভুত হলেও সত্য হল এই যে এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজেস এর অধীনে পড়ানো হত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম আলাদা বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগ খোলা হয়। কলকাতা কেন্দ্রিক এহেন অপমানকর প্রোপাগান্ডার বিরূদ্ধে লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাল হয়ে দাড়ান, এর কিছু প্রতিতযশা হিন্দু শিক্ষক। আইনজ্ঞ অধ্যাপক নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, রসায়নবিদ জ্ঞান ঘোষ, বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার, পদার্থ বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং আরো অনেক হিন্দু শিক্ষক সাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনার উর্ধে থেকে আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তার প্রথম দিকে কণ্টকাকির্ন পথ অতিক্রমে সাহায্য করেন। অধ্যাপক নরেশচন্দ্র মজুমদার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের কাঠামো তৈরি করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের দিকে জোর দেন। এই সব শ্রেদ্ধেয় শিক্ষকরা ঢাকার হিন্দু সমাজের কাছ থেকেও বিরোধের সম্মুক্ষিণ হন। প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ভাতা ছিল অনেক বেশি এবং তারা রমনা এলাকায় বঙ্গভঙ্গের সময় গড়ে উঠা বড় বড় সরকারী ভবনে থাকতেন। ঢাকার ঈর্ষান্বিত হিন্দু সমাজ এটা সহ্য করতে অপরাগ ছিলেন।


কলকাতা নিবাসী বুর্জোয়া হিন্দু সম্প্রাদায়ের গোড়ামী বদৌলতেই,এক পর্যায়ে বৃটিশদের কূটকৌশলের জয় হয় এবং মনস্তাত্বিকভাবেই দুই বাংলা পৃথক হয়ে পড়ে। প্রাদেশিক সিমান্ত রেখার আর কোন প্রয়োজন ছিল না। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পেছনে পশ্চিমবাংলার এলিটরা যে সব যুক্তি দেখিয়েছিলেন সেগুলো যে নিছক রাজনৈতিক ছিল তা পরিস্কার হয়ে উঠে ১৯৪৭ এর দেশবিভাগের সময়। আবুল হাশিম, শরৎচন্দ্র বসু প্রমুখ নেতারা ভারত-পাকিস্তানের সাথে না গিয়ে স্বাধীন বাংলা দেশের যে প্রস্তাব রেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি, পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের অসহযোগীতার কারনে। মূলত, ব্যাপারটা ছিল এই রকম, ১৯০৫ সালে পশ্চিমবাংলার হিন্দু মধ্যবিত্তের প্রতিযোগীতায় আসতে পারে এমন কোন মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় পূর্ব বাংলায় ছিল না। দুই বাংলা এক থাকলে বিনা প্রতিরোধে পূর্ব বাংলাকে শোষণ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু ১৯৪৭ এ পরিস্থিতি ছিল উলটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পূর্ব বাংলায় গড়ে উঠেছিল একটা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী, যারা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবিত্ত শ্রেনীর নিকট গন্য হয়েছিল প্রতিপক্ষ স্বরুপ। এই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে দাড়াবার সাহসের অভাবে কলকাতার বাবুরা আলাদা থাকাকেই শ্রেয় মনে করলেন।

১৯০৫ এ যদি পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশ গঠিত হত তাতে ক্ষতি কি হত? ভারতে কত প্রদেশ রয়েছে, তাই বলে কি প্রদেশগুলো এক ভারতের অংশ নেই? সম্পূর্ণ বাংলাকেই যদি তারা এক চোখে দেখে থাকবেন, তবে কেন পশ্চিম বঙ্গের থেকে পূর্ব বাংলা এত পিছিয়ে ছিল? উত্তর একটাই, পশ্চিম আমাদের পূর্ব বাংলাকে শোষণ করেছে। সে পশ্চিমের অংশ যেমন মুঘল, বৃটিশ, পাকিস্তান তেমনি পশ্চিমবঙ্গ। এই পশ্চিমাদের অসহযোগীতায় আমরা পূর্ববাংলাবাসী যদিও পাকিস্তানের সাথে গিয়েছিলাম, তবুও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মাঝে স্বাধীনতাবোধ, দেশমাতৃকার প্রতি প্রেম ও বাংলাভাষা কেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের যে চেতনার জন্ম দেয় তারই বদৌলতে আমরা জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছি অসম্পূর্ন বঙ্গভঙ্গের সম্পূর্ণ রুপ , আমাদের বাংলাদেশ।


(বিদ্র: লেখাটিতে যে সব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তার সব পাওয়া যাবে নিচের বইগুলোত –
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর – অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম
২. যদ্যপি আমার গুরু – আহমদ ছফা
৩. বঙ্গভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি – বদরুদ্দীন উমর) Read more ...

Sunday, October 19, 2008

ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের জগতে আপনাকে স্বাগতম (অনেকগুলো সফটওয়্যারের বর্ননাসহ ডাউনলোড লিংক)



এই পোস্টে অনেকগুলো ফ্রি ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের নাম, কাজ, সুবিধাসমূহ ও ডাউনলোড লিংক দেয়া হলো:

ওয়েব ব্রাউসার:


মোজিলা ফায়ারফক্স (Mozilla Firefox): নতুন করে কিছু বলার নেই ফায়ারফক্সের ব্যাপারে। আপনারাও জানেন, আর আমিও, বর্তমানে ফায়ারফক্স ব্রাউসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ। প্রায় প্রতিটি সেটিংই পরিবর্তন করা যায়। আছে ৫০০০ এর চেয়েও বেশি এ্যাডঅন আর থিম। ফায়ারফক্সের ফিচারসমূহ এই পোস্টে বলে শেষ করা অসম্ভব।
ডাউনলোড লিংক: View this link


কে-মেলন (K-Meleon): গেকো লেআউট ইন্ঞ্জিনের (ফায়ারফক্সও এই একই লেআউট ইন্ঞ্জিন ব্যবহার করে) উপর ভিত্তি করে বানানো একটি ব্রাউসার এটি। ব্রাউসারটি সাইজে ছোট ও বেশ দ্রুত ।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ভিডিও প্লেয়ার/ভিডিও পডকাস্টিং টুল:


মিরো (Miro): প্রায় সবধরনের ভিডিও ফাইল চালাতে পারে। হাই ডেফিনিশনও সাপোর্ট আছে। অনেকগুলো অনলাইন ভিডিও চ্যানেল থেকে ভিডিও নামিয়ে দেখতে পারবেন আপনি, কোয়ালিটি অতুলনীয়।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং:


পিডজিন (Pidgin): একই সাথে চ্যাট করুন আপনার AIM, ICQ, Jabber, MSN Messenger, Yahoo!, Google,MySpaceIM ও আরো অনেক কমিনিউটির বন্ধুদের সাথে।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ইমেইল ক্লায়েন্ট:


মোজিলা থান্ডারবার্ড (Mozilla Thunderbird): খুবই ভালো একটি ডেস্কটপ মেইল ক্লায়েন্ট। যারা আউটলুক ব্যবহার করেন তারা নিঃসন্দেহে এটি ব্যবহারের পর আউটলুককে ভুলে যাবেন। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ডাউনলোড লিংক: View this link

RSS রিডার:


RSSOwl: ভালো একটি RSS রিডার।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ফাইল শেয়ারিং:


ভূজ (Vuze) [পূর্বে এ্যাজুরাস (Azureus) নামে পরিচিত ছিলো]: অসাধারন সব ফিচার সমৃদ্ধ একটি বিট-টরেন্ট ক্লায়েন্ট।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ভিডিও প্লেয়ার:


VLC মিডিয়া প্লেয়ার (VLC Media Player): চালাতে পারে না এমন কোন ভিডিও ফরম্যাট বোধোহয় VLC এর জানা নেই। অসাধারণ ভিডিও প্লেব্যাক সুবিধা, আছে ভিডিওর সাথে পৃথকভাবে সাবটাইটেল যোগ করার সুবিধা। আপনি ডিভিডি চালাতে চান আর ইন্টারনেট থেকে ম্যুভি ডাউনলোড করেই দেখতে চান, VLC আপনাকে কখনোই হতাশ করবে না।
ডাউনলোড লিংক: View this link


মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিক (Media Player Classic): ছোট কিন্তু খুব শক্তিশালী ভিডিও প্লেয়ার। ইন্সটল দেয়া লাগেনা। আছে ভিডিওর সাথে পৃথকভাবে সাবটাইটেল যোগ করার সুবিধাও। ইন্টারনেট থেকে ডিভিডি-রিপ ম্যুভি ডাউনলোড করেন এমন ইউসারদের জন্য খুবই উপযোগী।
ডাউনলোড লিংক: View this link


MPlayer: অনেকটা VLC মিডিয়া প্লেয়ারেই মতো। অনেক ভিডিও ফরম্যাট সাপোর্ট করে।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ডিভিডি রিপার/ভিডিও কনভার্টার:


মিডিয়া কোডার (Media Coder): অসাধারণ একটি সিডি/ডিভিডি রিপার। এছাড়াও আছে প্রায় সবরকম ভিডিও ও অডিও ফরম্যাটকে কনভার্ট করার ক্ষমতা।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ওয়ার্ড প্রসেসিং/অফিস সফটওয়্যার:


ওপেন অফিস ডট অর্গ (OpenOffice.org): মাইক্রোসফট অফিসের চমৎকার বিকল্প এই ওপেনসোর্স সফটওয়্যারটি। আছে মাইক্রোসফট অফিসের মতোই ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ডকুমেন্ট তৈরির সুবিধা। মাইত্রোসফট অফিসে বানানো ফাইলও সাপোর্ট করে।
ডাউনলোড লিংক: View this link


এ্যাবি ওয়ার্ড (AbiWord): অনেকটা উইন্ডোজ এক্সপির সাথে যে ওয়ার্ডপ্যাড সফটওয়্যারটি আমরা পাই তার মতোই ফিচার এ্যাবি ওয়ার্ড। আছে ওয়ার্ড ফাইল ও ওপেন ডকুমেন্ট ফরম্যাটের ফাইল এডিটের সুবিধা।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ডিভিডি রিপার:


হ্যান্ডব্রেক (Handbrake): ডিভিডি থেকে MP4 ফরম্যাটে রিপ বা কনভার্ট করার সফটওয়্যার।
ডাউনলোড লিংক: View this link

অডিও রেকর্ডিং ও রেকডিং টুল:


অডাসিটি (Audacity): ছোট সফটওয়্যার, কিন্তু সাইজ দিয়ে এক মাপবেন না যেন জনাব.......হুঁ হুঁ.......। আছে অসাধারণ সব ফিচার যা এমন ছোট সফটওয়্যারের কাছ থেকে আশাতীত। আছে অনেক সাউন্ড এ্যাফেক্ট আর সাউন্ড টুইকিং (Tweaking) ফিচার।
ডাউনলোড লিংক: View this link

গ্রাফিক্স/ফটো এডিটিং:


গিম্প (GIMP): অনেকের কাছে হয়তো নামটা নতুন কিন্তু বর্তমানে গিম্পকে বলা হয় এ্যাডোবি ফটোশপের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দী (অবশ্যই অপর প্রতিদ্বন্দীটির নাম কোরেল পেইন্টশপ)। মাত্র ১৫ মেগাবাইটের একটা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার যে এতোটা শক্তিশালী হতে পারে তা আমার কল্পনাতীত ছিলো। যারা এ্যাডভান্সড গ্রাফিক্স ইউসার তারা এই সফটওয়্যার দিয়ে প্রায় সব কিছুই করতে পারবেন যা তারা এ্যাডোবি ফটোশপ বা কোরেল পেইন্টশপ প্রো দিয়ে করেন।
ডাউনলোড লিন্ক: View this link


ইন্কস্পেস (Inkspace): এ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরের ওপেনসোর্স বিকল্প এই সফটওয়্যারটি।
ডাউনলোড লিন্ক: View this link


পেইন্ট ডট নেট (Paint.NET): এই সফটওয়্যারটিকে অনেকটা উইন্ডোজ এক্সপির সাথে পেইন্ট নামক যে সফটওয়্যারটি আমরা পাই তারই মতো তবে যদি প্রশ্ন ওঠে ফিচার ও সুযোগ সুবিধার তবে অবশ্যই পেইন্ট ডট নেট অনেক এগিয়ে। এতে একাধিক লেয়ার নিয়ে কাজ করার সুবিধা পর্যন্ত আছে যা এ ধরনের সফটওয়্যারে বিরল। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে হলে আপনার পিসিতে অবশ্যই Microsoft .NET Framework 2.0 অথবা এর উচ্চতর ভার্শন ইন্সটলড থাকতে হবে (Microsoft .NET Framework 3.5 SP1 recommended)
ডাউনলোড লিন্ক: View this link

ফাইল ট্রান্সফারিং প্রোটোকল/FTP টুল:


ফাইলজিলা (Filezilla): খুবই ভালো ও বহুল ব্যবহৃত একটি FTP টুল এটি।
ডাউনলোড লিংক: View this link

আর্কাইভিং সফটওয়্যার:


সেভেন জিপ (7-zip): চমৎকার একটি আর্কাইভিং টুল যা উইন জিপ/উইন রার এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ডাউনলোড লিংক: View this link


পি-জিপ (PeaZip): শক্তিশালী একটি আর্কাইভিং টুল। 7Z, ARC, BZ2, GZ, PAQ/LPAQ, PEA, QUAD/BALZ, TAR, UPX, ZIP, ACE, ARJ, CAB, DMG, ISO, LHA, RAR, UDF সহ প্রায় সবধরনের আর্কাইভ ফরম্যাট সাপোর্ট করে।
ডাউনলোড লিংক: View this link

3D গ্রাফিক্স ও মডেলিং:


ব্লেন্ডার (Blender): একটি শক্তিশালী 3D মডেলিং সফটওয়্যার।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ডেভোলপার টুল:


নোটপ্যাড++ (Notepad++): এটাকে উইন্ডোজ এক্সপির নোটপ্যাডের বর্ধিত রূপ বলা যেতে পারে।
ডাউনলোড লিংক: View this link

সিমুলেশন সফটওয়্যার:


স্টেলারিয়াম (Stellarium): ভাচুয়াল প্ল্যানেটেরিয়াম সফটওয়্যার।
ডাউনলোড লিংক: View this link


সেলেস্টিয়া (Celestia): আরো একটি ভাচুয়াল প্ল্যানেটেরিয়াম সফটওয়্যার।
ডাউনলোড লিংক: View this link

ম্যাপিং টুল:


নাসা ওয়ার্ল্ড উইন্ড (Nasa World Wind): অনেকটা গুগল আর্থের মতো কাজ করে এই সফটওয়্যারটি তবে স্যাটেলইট ম্যাপের কোয়ালিটি গুগল আর্থের চেয়ে অনেক ভালো।
ডাউনলোড লিংক: View this link Read more ...

ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাস ২০০৯ এর অরিজিনাল লাইসেন্স কী - পুরা ফ্রি!

এন্টিভাইরাস হিসেবে ক্যাসপারস্কাই এর বেশ নাম ডাক আছে। এর পারফরম্যান্স বেশ ভাল এবং ইন্টারফেস ও দারুন। কিন্তু ক্যাসপারস্কাই ফ্রি না। ৩০ দিন ধুমিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এরপরই প্রায় ৳ ৪০০০ টাকা খরচ করে আপনাকে এর লাইসেন্স কী কিনতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সফটওয়্যার কিনে ব্যবহারের সংস্কৃতি এখনও গড়ে উঠেনি। অনেকে বুঝেই না সফটওয়্যার কেনার অর্থ কী। আর তাই কমার্সিয়াল সফটওয়্যার গুলোর ট্রায়েল ভার্সন গুলো ক্র্যাক করে ব্যবহারেই আমারা বেশি অভস্ত। কিন্তু ক্যাসপারস্কাই ক্র্যাক করে ও খুব একটা লাভ হয় না। ৩০ দিন পর আপডেট দিলেই লাইসেন্স কী ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে যায়।

kaspersky-internet-security-2009 ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাস ২০০৯ এর অরিজিনাল লাইসেন্স কী - পুরা ফ্রি!

আজকে আপনাদের ক্যাসপার স্কাই এর পুরো ১০০ দিনের লাইসেন্স কী একদম মাগনা পাওয়ার উপায় শিখিয়ে দিচ্ছি। কম্পিউটার শপার তার পাঠকদের জন্য ১০০ দিনে এই লাইসেন্স কী ফ্রী দিচ্ছে। তবে পাঠক না হয়েও ছোট একটা চালাকি করে আপনিও পেতে পারেন ১০০ দিনের পুরো অরিজিনাল বৈধ লাইসেন্স কী।
ফ্রী লাইসেন্স কী পাওয়ার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন

* প্রথমে এখান থেকে ক্যাসপার স্কাই ২০০৯ ডাউনলোড করে নিন।
* এবার কম্পিউটার শপারের এই প্রমোশনাল পাতায় যান।
* প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন।
* এবার পরের পাতায় এসে আপনাকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আর এখানেই আপনাকে চালাকিটা করেতে হবে। প্রথমেই খুব ভাল করে দেখুন ( টেক্সট বক্সের ডান পাশে ) আপনাকে enter the fifth word of the sixth step প্রশ্নটি করা হয়েছে কিনা। যদি না করে থাকে তবে back বাটনে ক্লিক করে পিছনে যান এবং আবার সাবমিট দিন যতখন পর্যন্ত এই fifth word of the sixth প্রশ্নটি পান। আর এই প্রশ্নটি আসলেই বক্সে লিখুন also এবং সাবমিট দিন।
free-kaspersky-activation-key ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাস ২০০৯ এর অরিজিনাল লাইসেন্স কী - পুরা ফ্রি!
* ব্যস আপনার মেইল বক্সে পেযে যাবেন পুরো ১০০ দিনের লাইসেন্স কী।
kis-2009-key ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাস ২০০৯ এর অরিজিনাল লাইসেন্স কী - পুরা ফ্রি!

ধর্য্য না হারিয়ে বার বার চেস্টা করুন আর ভাগ্য ভাল হলে প্রথম চান্সেই পেয়ে যেতে পারেন। দেরি কইরেন না কারণ অফারটা শেষ হইয়া গেলে পরে পস্তাইবেন। কে যানে এই রকম অফার আর পান কিনা??

এভাবেই নীতিগত দিক দিয়ে এবং টেকটিউনসের নীতিমালা অনুসারে ক্র্যাক বিতরণ ঠিক না। তাই এরকম বৈধ অফারের আরও খোঁজ দিয়ে আপনাদের উৎসাহিত ও উপকার করার ইচ্ছা রইল। তবে আপনারা মন্তব্য দিতে কার্পণ্য করবেন না।
Source Read more ...

Saturday, October 18, 2008

চীনের মহান বিপ্লবী নেতা - "চান ওয়েন থিয়েন"

১৯০০ সালের আগষ্ট মাসে সাংহাইয়ের ফুতুংয়ে চান ওয়েন থিয়েনের জন্ম । ১৯২৫ সালে তিনি চীনের কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দেন এবং একই বছর চুনসান বিশ্ববিদ্যালয় ও বিপ্লবী প্রফেসার ইন্সটিটিউটে লেখাপড়ার জন্য মস্কো যান ।

১৯৩০ সালে চান ওয়েন থিয়েন দেশে ফিরে আসেন । ১৯৩১ সালে চান ওয়েন থিয়েন চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার বিভাগের প্রধান , পার্টির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন ।

১৯৩৩ সালে চান ওয়েন থিয়েন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী ঘাঁটি এলাকায় যান । তিনি সেখানে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকীয় মন্ডলীর সম্পাদক হন ।

১৯৩৪ সালে চান ওয়েন থিয়েন লং মার্চে অংশ নেন । লং মার্চের সময় চান ওয়েন থিয়েন মাও সেতুংয়ের নির্ভুল সামরিক নীতিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছিলেন । মাও সেতুং ও ওয়াং চিয়া সিয়ানের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর চুন ই সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় চান ওয়েন থিয়েন ' বাম পন্থী সামরিক ভুলের বিরোধিতা করেছেন এবং চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও লাল ফৌজকে বাঁচানো আর পার্টির সামরিক লাইনের মৌলিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন । ইয়েআন অবস্থানকালে চান ওয়েন থিয়েন গোটা পার্টির তাত্ত্বিক প্রচার ও ক্যাডার প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৩৮ সালের পর চান ওয়েন থিয়েন চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য , সম্পাদক মন্ডলীর সম্পাদক , পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার মন্ত্রী ও মাক্সবাদ লেনিনবাদ ইন্সটিটিউটের প্রধান পদে কাজ করেছিলেন ।

তিনি চীনের জাপ- আক্রমণ বিরোধী সংগ্রামের জন্য অনেক প্রচার ও শিক্ষার কাজ করে পার্টির জন্য অনেক ক্যাডার প্রশিক্ষণ করেছেন । তার দেওয়া ' যুবকের নৈতিকতা ' আর ' আচার আচরণ সমস্যা ' প্রভৃতি ভাষণ ব্যাপক ক্যাডার ও যুবক সমাজে প্রভাব বিস্তার করেছে ।

১৯৪১ সালে ইয়েনআনে শুদ্ধিকরণ অভিযান শুরু হওয়ার পর চান ওয়েন থিয়েন এক বছর সময় নিয়ে শানসি প্রদেশের উত্তরাঞ্চল আর সানসি প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের গ্রামাঞ্চলে তদন্ত চালিয়ে অনেক তদন্ত রিপোর্ট লিখেছিলেন ।

জাপ-আক্রমণ বিরোধীযুদ্ধে জয় লাভের পর চান ওয়েন থিয়েন উত্তর-পূর্ব চীনে কাজ করতে শুরু করেন । তিনি চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির হেচিয়ান প্রাদেশিক কমিটির সম্পাদক , পার্টির উত্তর-পূর্ব ব্যুরো কমিটির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক মন্ত্রী ছিলেন । তার লেখা ' উত্তর-পূর্ব চীনের অর্থনীতির কাঠামো ও অর্থনৈতিক গঠন কাজের মৌলিক নীতি ' নামে প্রবন্ধ নয়াচীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেছে ।

১৯৫০ সালের পর চান ওয়েন থিয়েন কূটনৈতিক ফ্রন্টে কাজ করেছিলেন । তিনি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে চীনের রাষ্ট্রদূত আর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন । তিনি চীনের অনেক কূটনৈতিক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন এবং নয়া চীনের কূটনৈতিক ব্রতে বিরাট অবদান রেখেছিলেন । ১৯৭৬ সালের পয়লা জুলাই চান ওয়েন থিয়েন চিয়ান সু প্রদেশের উ সি শহরে রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন । Read more ...

মেধাহীন 'করপোরেট' মেরুকরণ, গড্ডালিকার নর্দমা, ডিজুস তারুণ্য

অপদার্থ গোবর গণেশদের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি ধরিয়ে চাকুরি পাইয়ে দিতে
'ব্যবসা প্রশাসনের' জুড়ি মেলা ভার। 'বিজ্ঞান' ও 'শিল্প সাহিত্য' অর্থে 'কলা' বিমুখতায় এদের অবদান ১৮ আনা। জীবন আর কর্মের বাস্তব 'রঙ' বুঝে ওঠার আগেই, ওরা 'সঙ' এর প্রদর্শনী আর 'ঢঙে'র আচরণ (বিহেভিয়ার) রপ্ত করে উপার্জনই তাদের পেশা ও নেশা।সহজে পাঠ যোগ্য 'হিসাব বিজ্ঞান' (আদতে এক মহাবিজ্ঞান) শিখিয়ে ক্যালকুলেটর চেপে কিছু ডেবিট-ক্রেডিট শিখে, ফুল বাবু সেজে অপিসের চেয়ারে বসে নথি পত্রে দস্তখত, আর 'এক্সকিউজ মি' টাইপ ঘিন ঘিনে বাংলিশে ন্যাকামো করাই তাদের জীবিকা। এদের ঠেলায় ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনবিদ্যার সুসার নাই, নাম মাত্র উপার্জনের দুঃখে এরা আবার 'ব্যবসা প্রশাসনে" স্নতোকত্তোর করছে, বেসরকারিতে।

'ব্যবসা প‌্রশাসনে'র সাথে 'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়' যোগ হলে তো কথাই নাই,"আলালের ঘরে দুলালদের অদ্বিতীয় ও শেষ সম্বল গাইড"। অঢেল বিত্তকে পুজি করে বিদ্যা কিনে আবার সেই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির 'সেলস একজিকিউটিভ' ফুল বাবু।

পরিচিত এক বড়দা আছেন। ইস্কাটনে আলিশান বাড়ি। বাবা মা দুজনেই পিজি'র জাদরেল ডাক্তার। নর্থ সাউথ থেকে ব্যবসা প্রশাসন পড়ে লক্ষ টাকা ছুই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী (এম্প্লোইই,অফিসার বললে ভাল শোনাত হয়ত।) । এসি ঘর ছেড়ে এসি গাড়িতে তারপর আবার এসি অপিসে। ম্যাগি নুডুলস, রেপ গান, ডিসকো পার্টি, ফি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন বদল, সাকুরা, গ্যালাক্সি, পি ককের নিয়মিত ভোক্তা, কি নেই তার জীবনে!!! এখন এতকাল পর এসে "হা হুতাশ, দুঃখ কষ্টের বিলাসী ভাব ধরে "মরে যেতে ইচ্ছে হয়, নিজেকে খুব হীন আর ক্ষুদ্র মনে হয়, এইসব আবেগ তাড়িত ভাবনা।"

ঢাকা বাসী আইডিয়াল, নটরডেম হয়ে বুয়েট-মেডিক্যাল-আই বি এ বলে কথা নয়, প্রচন্ড সুবিধাভোগী ও অর্থ বিত্তশালী সম্প্রদায় এক "অবাস্তব কষ্ট কল্পনার বিলাসিতা করবে" বিপরীতে পবিত্র শ্রমজীবী রিক্সাওয়ালা কেন ১/২ টাকা বেশি নিবে সেটার তর্ক করবে, গরীবের গলা চিপে দিবে জন্মের মত মা বাপ তুলে গাল। এইসব সমাজের ঝড়কন্যারা "মন খারাপ", "মন খারাপ","মন খারাপ"...."কিছু ভাল লাগেনা", "লাইফ সাকস", "লাইফ ডাল" বলে কাতরাতে থাকবে পুরুষ ব্লগারদের কাছ থেকে রমণী মোহন সমবেদনা, স্তুতি শোনার জন্য। সমালোচনাও যে বন্ধু সুলভ ব্যাপার সেটা এক ঘেয়ে স্তুতি শোনতে অভ্যস্তরা বুঝেনা, "ধমকের স্বর নারীর জন্য নয়", এতে অবলা নারীদের উপর শক্তি প্রদর্শনের কারণে পাল্টা দোষ আসে, নারীদরে মুখের উপর সমালোচনা করাটা "অভদ্রতা", ফলত মেয়েরা অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে "আত্মহত্যা করে" পুরুষকে আমৃত্যু বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে যায়।

অনর্থক হাসাহাসি টা পাগলামির প্রকট লক্ষণ বলে ধরে নেয়া হয়, অথচ নারী কন্ঠে পুনঃ পুনঃ হাস্যরোল কিংবা ফিচফিচে হাসি (হাসির সাথে বক্তব্যের নিকটতম সম্পর্ক না থাকলেও) শুনলে পুরুষেরা পুলক অনুভব করে নিরবে। উল্টো মন্তব্য করে মেয়েটা কত জলি, মিশুক। হিন্দী সিরিয়াল আর ছবি দেখে ভাব, ভাষা, পোশাক আমদানি করে ন্যাকা সুরে কথা আর হিস্টিয়ার মত কথায় কথায় হাসা এ প্রজাতিকে পা দিয়ে মাড়িয়ে মারতে ইচ্ছা হয় খুব।

বনানীতে এক পুরনো সহপাঠীর (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক) সাথে দেখা করতে গেলাম, দুপুরের খাবার টা জুটানোর জন্য। লিফটের ভিতর সেই বীভৎস অভিজ্ঞতা, গা ঘিন ঘিনে বাংলিশে চারপাশ পরোয়া না করে হাসাহাসি, চিৎকা। নারী পুরুষ, ভদ্রতা বাছ বিচার না করে গায়ের উপর ঢলে পড়া। মেয়েদের হাসি, কান্না প্রকাশের আতিশাজ্যটা মৃদুস্বরে সায় দিতে থাকে তাদের পুরুষ সহপাঠীরা। ফটো কপি পড়বে তাও ভাল, ১০০-১৫০ টাকা দিয়ে পাঠ্য বই কিনতে তাদের আপত্তি। মোবাইলে ১০০০+ টাকার কথা বলে ওদের সুখ।২০,০০০ টাকার ক্যামেরা মোবাইল না হলে চলেনা। ২-৪ টা সিম কার্ডে ও ওদের জৈবিক চাহিদা মিটেনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ডিসটেম্পার' নামে এক মেয়ের খ্যাতি ছিল, চুন কাম করে নিজের কৃত্রিম রূপটা প্রদর্শনী করত নিয়মিত। লিপস্টিক দেয়ার প্রয়োজন কেন, খুব নিরীহ প্রশ্নের জবাব টা হত দাঙ্গাবাজদের মত, 'নিজের কাছে ভাল লাগে তাই'। আমি বলি, আপনি তো আপনার লিপস্টিক আয়না ছাড়া দেখতে পারেন না, ওটা কেমন যেন কামুক পুরুষের বুকের রক্তের মত মনে হয়। আমি সংকীর্ণ মনা, মধ্যযুগীয় কারণ নিজের ঘরের বোন কে বিল বোর্ড সজ্জার পণ্য ছবি হতে বাধা দিই। এমকি পুরুষের ক্ষুরের বিজ্ঞাপনে নারী এসে নপুংশক দর্শন পুরুষের গাল ছুয়ে না দিলে পণ্য বিক্রয়ে ভাটা পড়ে যায়।

ঈদ, বিয়ে, জন্মদিনের মত সব সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি সদা সর্বদা অনুপস্থিত। জানা ছিলনা ওসব জায়গা কি হয়, যতদিন না ফেস বুকে দেখলাম বাঙালির কর্ম কান্ড। বঙ্গ থেকে ২০০ টাকায় কেনা পাঞ্জাবি পরে কুদর্শন, রোগাটে এক বর রূপী ছেলের পাশে বসে আছে, অভূতপূর্ব ভীষন গৌর বর্ণের সজ্জাধারী সুন্দরী। পাশে ছেলেটা আপেক্ষিকভাবে কুদর্শন সেটা মেয়েটার অতি সজ্জার কারণেই। ভীষন এ বৈষম্য আমাকে নাড়া দেয়। অলংকার থাকা ভিন্ন ব্যাপার, কিন্তু চুনকাম করে 'নারী'কে প্রদর্শনীর মডেল হিসেবে ডায়াসে বসিয়ে দেয়া, যেন কোন পুরুষ কত বেশি সুন্দরী বিয়ে করল সেটার প্রতিযোগীতা-প্রদর্শনী, পুরুষের সজ্জা আর প্রসাধন নিয়ে মাথা ঘামানোর লোক নাই। আর অন্য কোন দেশে এ বীভৎস কাজটা করা হয়না বলেই জানি।

চুল মাথায় থাকা কালে কেউ কোন দিন 'নিজের চুল' দেখেছে জানা নেই। মূল্যবান চুলের ভীষণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুকি থাকার পরেও ৮-১০ হাজার টাকায় রঙ করে, সোজা করার একটা মহামারী চলছে ব্যাপক। বেচারি নিজেই দেখতে পেলনা এ চুলে নিজেকে কেমন লাগছে। আমার মত মানসিক প্রতিবন্ধীরও বোধ আসে যে , এটা প্রকাশ্যে বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণের প্রবল একটা প্রচেষ্টা, অনেকটা ওড়না টাকে গলায় পেচিয়ে হাটার মত পাশবিকতা। পুরুষের জুতার সোল ক্ষয়িষ্ণু, ভোতা নিঃশব্দে চলার সাথী। আর মেয়েদের টা কায়দা করে বানানো হয় যেন "কট কট কট" শব্দ তুলে জন মানবকে চোখ তুলে তাকাবার আহবান করতে পারে।

পুরুষের জন্য চলছে শর্ট শার্ট নামের ব্লাউজ জাতীয় জিনিস। উবু হলেই আন্ডার ওয়্যার, পিঠ ও আংশিক পশ্চাৎদেশ দেখনো যায়। দু'কাধে ঝুলানো ব্যাগ থেকে, এক্স ফাইলসের ফাইল ব্যাগ আর এখন চলছে শিক্ষার্থীদের কাধে ঝুলে 'লেডিস মার্কা' এক কাধে লম্বা করে ঝুলানো ব্যাগ, হাটুর কাছে গিয়ে ব্যাগ-বই পুস্তক গিয়ে ঠেকে।১০০ জন কে গড্ডালিক অনুসরণে যে ফ্যাশন হয়না, সেটা বুঝার বোধ বুদ্ধি নাই। ছেলেদের 'সালোয়ার কামিজ' টাইপ "পায়জামা-পাঞ্জাবি"র সাথে এখন ওড়না সদৃশ বৃহৎ কাপড়ের ফালির উদ্ভব হয়েছে।

সহচর, সহপাঠীরা যখন 'ডিজুস সঙ' সেজে এসে বলে, "শেরিফ চল, নন্দন যাই, কক্সবাজার যাই, নিউ মার্কেট যাই, বসুন্ধরা যাই, ঐমুকের বিয়ে, তমুকের বিয়ে বার্ষিকি...."। আমার উত্তর হয় একটাই,

"তোরা দূরে গিয়ে মর!"

MAIN SOURCE
Read more ...

Friday, October 17, 2008

কানাডায় উচ্চশিক্ষা- কিছু তথ্য

শুরুতে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু প্রাথমিক ধারণা দেই।
কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ২-টা লেভেল:
১. আন্ডার গ্রাজুয়েট (ব্যাচেলর ডিগ্রি)
২. পোষ্ট গ্রাড (মাষ্টারস এবং পি এইচ ডি)

বছরকে এরা মূলত: ভাগ করে তিন সেমিস্টারে:
১। ফল (সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর): এটাকেই একাডেমিক ইয়ার-এর (শিক্ষা বর্ষের) শুরু ধরা হয়। সাধারণত সব ছাত্র ছাত্রীকে এই সেমিস্টারে ভর্তি করা হয়। ভর্তির আবেদন-এর সময় বিশ্ববিদ্যালয় অনুসারে আলাদা। সাধারণত আন্ডার গ্রাড লেভেল-এ জুন-এর দিকে এবং পোস্ট গ্রাড লেভেল-এ মার্চ-এপ্রিল-এর দিকে। উল্লেখ্য, ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করাই ভাল।
২। উইন্টার (জানুয়ারী-এপ্রিল): আন্ডার গ্রাড লেভেল-এ অনেকেই উইন্টারে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করে। পোস্ট গ্রাডে এই সেমিস্টারে খুব বেশী নতুন শিক্ষার্থী নেয়া হয় না। তারপরেও চেষ্টা করতে পারেন। ভর্তির শেষ সময় অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর-এর মধ্যে।
৩। সামার (মে- অগাষ্ট): এই সময় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর ছুটি থাকে। বিশেষ করে যারা আন্ডার গ্রাড লেভেল-এ পড়ে। পোস্টগ্রাড-দের গবেষণা অথবা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। উল্লেখ্য বেশীর ভাগ ছাত্র ছাত্রী যারা এখানে বাংলাদেশ থেকে পোস্ট গ্রাড লেভেল-এ পড়তে আসে, তারা রিসার্চ ফান্ড থেকে সাহায্য পায়- বিনিময়ে অধ্যাপক ইচ্ছামত খাটিয়ে নেন।

শিক্ষাগত মান:
কানাডার শিক্ষার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল এদের মান প্রায় সমান। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী কিন্তু স্বায়ত্ব শাসিত। যে বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রোগ্রাম অফার করে, তার ভাল অবকাঠামো আছে। তাই কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-এর রেংকিং নিয়ে অনেকের দ্বিমত, ত্রিমত আছে। তাই আমি বলব কানাডায় পড়ার জন্য রেংকিং না দেখে অন্যান্য কিছু বিষয় দেখলে অনেক লাভবান হবেন। এগুলো নিয়ে পরে বলছি। এখানে বেশির ভাগ প্রোগ্রাম সেন্ট্রাল-লি কন্ট্রল করা হয়- বোর্ড এর মাধ্যমে। প্রকৌশল বিভাগ প্রত্যেক প্রভিন্স-এ (প্রভিন্স গুলো ইউ এস এ-র স্টেট-এর মত স্বায়ত্ব শাসিত) একটি বোর্ড দিয়ে কন্ট্রল করা হয়। অন্যান্য বিষয় কম বেশী তাই।

খরচ:
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আলাদা ভাবে আলোচনা করছি।
থাকার খরচ:
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-এ থাকতে হলে ডর্মে (বাংলাদেশে হল-এর অনুরূপ) থাকতে হবে। খরচ হবে প্রতি চারমাসে ৩,০০০ থেকে ৭,০০০ ডলার পর্যন্ত- সুযোগ সুবিধার উপর ভিত্তি করে। খাওয়ার খরচ মিল প্লান-এ আলাদা ভাবে কিনতে হবে- ডর্মে থাকলে সেটা সাধারণত বাধ্যতা মূলক। ডর্মে থাকা বাঙ্গালী শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল খাওয়া। মোদ্দা কথা ডর্মে থাকা অনেক ব্যয়বহুল- কিন্তু ঝামেলা মুক্ত।
যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন তাদের খরচ একজনের জন্য এরকম হয়:
১। বাসা ভাড়া: ২৫০- ৮০০ ডলার (শেয়ার করে থাকলে কম খরচ)
২। যোগাযোগ: বাস পাস (৬০$-১৫০$) অনেক প্রভিন্স-এ শিক্ষার্থীদের বাস পাস ফ্রি। (যেমন আলবার্টা)
৩। খাওয়া: বাসায় রান্না করলে ১০০-২০০$; বাইরে খেলে: ৩০০-৬০০$
৪। ফোন এবং ইন্টারনেট: শেয়ার করলে খরচ অনেক কমে যায়। কমপক্ষে ৫০-১০০$ ধরে রাখুন।
(উল্লেখ্য: শহর থেকে শহর-এ আলাদা হতে পারে। আপনার থাকার উপর-ও নির্ভর করে। উপরের খরচ একজনের মোটামুটি থাকার মত খরচ।)
এখন পড়ালেখার খরচ-এ আসা যাক। প্রতি একাডেমিক ইয়ার-এ বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাবদ খরচ প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২৮,০০০ কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত। ইমিগ্রেন্ট বা সিটিজেন-দের জন্য এ খরচ ৪,০০০ থেকে ৭,৫০০ ডলার পর্যন্ত। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আরো অনেক কম বেতন (৮-১৪ হাজার ডলার)। সাধারণত এসব বিশ্ববিদ্যালয় একটু ছোট শহরে অবস্থিত হয়। তাই ক্যারিয়ার-এর দিকে সুবিধা কম থাকে। কিন্তু ভাল দিক হল খরচ অনেক কমে যায়।

টাকা আসবে?:
আন্ডারগ্রাড: আন্ডারগ্রাড-দের জন্য কানাডায় খুব বেশি সুবিধা নেই। অল্প কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এই লেভেল-এ স্কলারশিপ দেয়; যা মূল খরচ-এর চেয়ে অনেক কম। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়- যারা বেশী বেতন রাখে তারা স্কলারশিপ দিয়ে রেগুলার বেতন-এর সমান করে দেয়ার মত সৌজন্য দেখায়। ভাল রেজাল্ট করলে ছোট খাট কিছু স্কলারশিপ পাওয়া যায়। একাধিক স্কলারশিপ পেলে চাপ অনেক কমে যায়- যা পাওয়া অনেক কঠিন। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়-এর পলিসি-তে বলাই থাকে শুধু মাত্র আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রী হওয়ার কারণে আপনি কোন স্কলারশিপ পেতে পারবেন না। এটা চেক করা গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে কিছু প্রোগ্রাম-এ কো-ওপ নামে একটি অপশন অফার করে। এটি অনেকটা ইন্টার্নশিপ-এর মত। তবে কোম্পানীগুলো পে করে এবং বেশ ভাল অঙ্কের। কো-অপ নিয়ে আরেকটি লেখা আমি শিঘ্রী লিখব। তবে কো-অপ-এ ঢুকতে হলে অনেক ভাল সিজিপিএ লাগে- একটি অতিরিক্ত কোর্স এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরীক্ষা দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়-কে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় ফি বাবদ- তবে যা আসে তা অনেক সাহায্য করে।
এ ছাড়াও অফ ক্যাম্পাস ওয়ার্ক পারমিট-এর সুবিধা আছে। এই সুবিধা পেতে অবশ্য প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। ৬ মাস ফুল টাইম পড়া শুনার পরে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন, কিন্তু কাগজ যোগাড় করতে সময় লাগায় মোট ৭-৮ মাস লেগে যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ-কে সন্দেহজনক দেশ-এর তালিকায় যুক্ত করায় প্রসেসিং সময় ১৫ দিনের বদলে কমপক্ষে ৩ মাস লাগে। সব মিলিয়ে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে কাজ করার পারমিশন-এর জন্য। এর আগে ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করা অবৈধ। তার আগে এবং পরে অন ক্যাম্পাসে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারেন- যা পাওয়ার সম্ভাবনা শুরুর দিকে খুবই ক্ষীণ। অফ/অন ক্যাম্পাস কাজ করে থাকা খাওয়ার খরচ তোলে সম্ভব।
মূলত আমি বলব, যারা কমপক্ষে পুরো ৩ বছরের টিউশন ফি + প্রথম বছরের থাকার খরচ দেয়ার মত টাকা দিতে সক্ষম শুধু তাদের আসা উচিত। কেন? কানাডা-তে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পণ্যের মত দেখা হয়। কানাডা-র জাতীয় রপ্তানীর একটি বড় অংশ হল শিক্ষা। এখানকার ব্যবস্থা এমন ভাবে করে রাখা আছে যে আপনি কোন আর্থিক সমস্যায় পড়লে সাহায্য করার কেউ নেই। আবার টাকার অভাবে ক্লাস না করলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দিবেনা। তাই সবদিক থেকে বিপদ। একবার এরকম অবস্থায় পড়লে তা থেকে বের হওয়া কঠিন- অনেকটাই অসম্ভন। এখানেও আপনাকে সহজে ইমিগ্রেশন-ও দিবেনা। যদি আর্থিক সঙ্গতি না থাকে আমি বলব বাংলাদেশে ব্যাচেলরস শেষ করে আসুন। পোস্ট গ্রাড-এ এখানে অনেক সুবিধা।
পোস্টগ্রাড:
সাধারণত এই লেভেল-এ আসা সব ছাত্র ছাত্রী স্কলারশিপ এবং বিভিন্ন ফান্ডিং-এ আসে। টিএ (টিচিং এসিস্টেন্ট- ছাত্র ছাত্রীদের বিশেষ করে আন্ডার গ্রাড-দের সাহায্য করা), আর এ (রিসার্চ এসিস্টেন্ট- গবেষণায় সাহাযয় করা) এবং বৃত্তির টাকা মিলে সাধারণত যে টাকা অফার করে তাতে একা হলে নিজের টুইশন ফি, থাকা খরচ-এর পরেও বাসায় টাকা পাঠাতে পারবেন। তবে ভর্তি অনেক প্রতিযোগিতা মূলক। শর্ত একটাই- এভারেজ সাধারণত এ- রাখতে হবে। এর চেয়ে কমে গেলে বেতন আবার পুরোটা দিতে হবে আপনাকে। তাই এই কথাটি মাথায় রেখে মন দিয়ে পড়লে আশা করি কোন সমস্যা হবেনা। আর যারা সামর্থ রাখেন খরচ করার কিন্ত রেজাল্ট ভাল নেই তারা নিজ খরচে আসতে পারেন।

ভর্তি:
বাংলাদেশের এজেন্ট আর দালালদের দৌরাত্মে হয়তো ভয় পেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে আন্ডার গ্রাড লেভেল-এ ডাইরেক্ট এপ্লাই করা একটু কষ্টসাধ্য। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড থাকলে কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়। নিচে কিছু লিন্ক দিব যেগুলো আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওয়েব সাইটে গেলেই দেখবেন শুরুর পেইজ-এ "প্রোস্পেক্টিভ স্টুডেন্ট" অথবা "ফিউচার স্টুডেন্ট" নামে একটি লিন্ক আছে। মোটা মুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে এটি একই। এখানে ক্লিক করলে জানতে চাবে আপনি কোন লেভেল-এ আগ্রহী। এখন নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কোন লেভেল। সেখানে প্রয়োজনীয় সব তথ্য, যোগ্যতা, আবেদন পত্র পাবেন। ২-ভাবে আবেদন করা যায়। ১. কাগজের মাধ্যমে ২. অনলাইন-এ সরাসরি। কাগজের মাধ্যমে আবেদন করার ফরম অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করতে পারেন। ব্যাঙ্ক ড্রাফট করতে যে কি ঝামেলা হবে সেটা আমি কিছু বলতে চাইনা- হয়তো এটাই হবে আপনার প্রথম বাধা। অনলাইনে এপ্লাই করার সময় মনে রাখবেন- এটা সিরিয়াস ব্যাপার। আবেদন পত্র শেষ হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ফি না দিলে এটা কোন কাজে আসবেনা। এবং আবেদন করার আগে শিওর হয়ে নিবেন সেটা ঠিক সাইট। অনেক ভুয়া সাইট-এ প্রতারিত হতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে অবশ্যই খবর নিবেন। ওয়েব-এ ঐ বিশ্ববিদ্যালয়-এর নিজের সম্বন্ধে বলা সব কথা বিশ্বাস করবেন না। অনেকে অদ্ভুত কিছু রেংকিং-এ নিজেদের ভাল অবস্থান দাবি করে- তাতে খুব একটা পাত্তা দিবেন না। কি কি দেখতে পারেন?
১। বিশ্ববিদ্যালয়-টির নাম আপনি আগে কারো কাছ থেকে শুনেছেন কিনা।
২। শুনে থাকলে কি শুনেছেন।
৩। আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী সেই বিষয়-এ ঐ বিশ্ববিদ্যালয়-এর আলাদা সাইট আছে- সেখানে যান। তাদের ফেকাল্টিদের প্রোফাইল দেখুন। কি কি রিসার্চ করে তা দেখুন।
৪। আপনার আগ্রহের প্রোগ্রামে কি কি ফেসিলিটি আছে তা দেখুন।
৫। ঐ বিষয়ে তাদের কোন সাম্প্রতিক সাফল্য দাবি করার মত কিছু আছে কিনা দেখুন। থাকলে তা যাচাই করুন।
৬। বিশ্ববিদ্যালয়-টি স্কলারশিপ প্রদানে কতটা উদার খবর নিন।
৭। পোস্ট গ্রাড লেভেল-এ হলে ডিপার্টমেন্ট-এর উপরের দিকে কারো (চেয়ার, ডিন, এসোসিয়েট ডিন অথবা আপনার গবেষণার বিষয়ের সাথে মিলে এমন কোন অধ্যাপক-এর সাথে যোগাযোগ করুন এপ্লাই করার আগে।
৮। বিশ্ববিদ্যালয়-টি যেই শহর-এ অবস্থিত তা সম্পর্কে জানুন। সেখানে কি কি ইন্ডাস্ট্রি আছে- সেসব জায়গায় আপনার বিষয়ের চাহিদা কিরকম। দিন শেষে লোকাল-দের প্রাধান্য সবাই দেয়।
৯। থাকার সুবিধা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে খবর নিন। এসব খবর সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়-এর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী-দের অফিস-এ পাওয়া যায়। (আই এস ও নামে সাধারণত পরিচিত)

এই মুহূর্তে আর কিছু মনে আসছেনা। পরে যোগ করব।
পোস্ট গ্রাড লেভেল-এ কোথাও কোথাও আপনাকে বলবে আসার পরে একটা পরীক্ষা দিতে- কোন মডিউলে পাস না করলে কিছু আন্ডার গ্রাড কোর্স নিতে বলবে।
নিচে কিছু প্রয়োজনীয় সাইট-এর এড্রেস দিলাম:
১। http://www.ouac.on.ca/ - এটি অন্টারিওর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির অনলাইন সাইট। এটার মাধ্যমে এপ্লাই করতে পারেন অথবা সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন। এটা নির্ভরযোগ্য। খরচ একটু বেশী- কিন্তু টাকা কোথায় ঢাললেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা এবং অনলাইনে আপনার ভর্তির স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এপ্লাই করার পর এই সাইট নিয়মিত চেক করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ: সঠিক ফরম পূরণ করবেন।
২। http://www.aucc.ca/index_e.html কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাইট। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। কিন্তু সব সঠিক নয় (কিছুটা এদিক সেদিক)।
৩। http://oraweb.aucc.ca/dcu_e.html - প্রোগ্রাম অনুসারে সার্চ করে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটি লিস্ট বানাতে পারেন।
৪। http://cic.gc.ca/english/study/index.asp - সরকারী সাইট- এখানে স্টাডি পারমিট এবোং পড়াশুনা বিষয়ক সব ধরণের ফর্ম এবং সরকারী সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।
৫। http://www.studyincanada.com/english/index.asp আরেকটি উপকারী সাইট।

উপরের লেখাটি যারা পড়লেন তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন আন্ডারগ্রাড লেভেল-এ সামর্থ্য না থাকলে আমি না আসতে উপদেশ দিচ্ছি। কারণ ২-টা:
১। আন্ডারগ্রাড লেভেল-এ বাংলাদেশের পড়াশুনার মান কোনো অংশে কম নয়। আপনি সতর্ক থাকলে এবং চোখ কান খোলা রেখে নতুন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হলে কানাডার সাথে খুব বেশি ব্যবধান থাকবেনা।
২। যারা বাংলাদেশে ভাল কোথাও ভর্তি হতে না পেরে কানাডাতে আসার চিন্তা করে থাকলে বলব আপনি বিপদে পড়বেন। প্রথমত আপনার রেজাল্ট ভালনা; কানাডায় গিয়ে পারফরমেন্স ভাল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ কানাডা-তে পড়ালেখা ভাল রকমের কঠিন। আবার টাকা না থাকার কারণএ কোথাও সাহায্য পাবেননা। কাজ করে বেতন + থাকা খাওয়ার খরচ তোলে অসম্ভব। একেবারেই অসম্ভব। তাই নিজের জীবন নষ্ট না করে বাংলাদেশে কোনো প্রাইভেট ইউনি-তে গ্রাজুয়েশন শেষ করুন। দেশে অনেক অনুকূল পরিবেশ পাবেন। তারপর ইমিগ্রেশন-এ এপ্লাই করে চলে আসুন। এটা নিয়ে আমার আরেকটি লেখা দেয়ার ইচ্ছা আছে।
ধ ন্যবাদঃ তানজির Read more ...

ইতিহাসের বাহক, বই, বইয়ের মেলা ও আমাদের পাঠাভ্যাস।

"মানুষ মূলত একটা শব্দের অধিক আশ্চর্য কিছু নয়, একটা মাত্র শব্দই পারে তার সমুদয় কর্মকথা প্রকাশ করিতে।" --- কবি মুজিব মেহদী

এক রাজার খুব ইচ্ছা হল মানুষের ইতিহাস জানার। রাজ্যের সেরা জ্ঞানী, জ্ঞানী জৈল সিংকে ডাকা হল। রাজা তার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন, যত লাগে সময় নাও, কিন্তু আমার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস চাই। অসম্ভব এ কাজের জন্যে জ্ঞানী রাজার কাছে সময় চাইলেন।

এরপর অনেকদিন পার হয়ে গেল। বিস্তর শ্রম দিয়ে পন্ডিত মানুষের ইতিহাস তৈরি করলেন। কোন এক শুভদিনে রাজার সামনে এসে উপস্হাপন করলেন, রাজা মশাই, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, কিছু বাদ নাই। বরফযুগের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মানব জাতির ইতিহাস সবই এ দশ খন্ডে পাবেন।

রাজা খুবই পুলকিত হলেন, যে এবার তিনি সব জানতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হল তার পড়ার সময় নাই। সব বাদ দিয়ে পড়াশোনা করলে, রাজকার্য করবেন কখন। মোসাহেবরাও সায় দিল। তিনি জ্ঞানীকে বললেন, যাও ছোট করে নিয়ে আস।

পন্ডিত এবার খেটেখুটে দশ খন্ড হতে পাঁচ খন্ডে নামিয়ে আনলেন। এবারও রাজা দেখলেন, আনন্দ ফুর্তি বাদ দিয়ে পাঁচ খন্ড পড়তেও অনেক সময় লাগবে। তিনি বললেন, আরও ছোট করে নিয়ে আস। এরপর পন্ডিত সংক্ষেপে তিন খন্ডে পুরো ইতিহাস রচনা করলেন।

রাজার দেখলেন রাজকার্যে মশগুল হলে তিনখন্ডও পড়ার সময় নেই, এদিকে জানতেও ইচ্ছে হয়। জ্ঞানীকে বললেন,আরও ছোট কর।

জ্ঞানী এবার পুরো দশ ভলিউমকে একখন্ডে এক মলাটে নিয়ে আনলেন। এদিকে রাজা মোসাহেব বেষ্টিত হয়ে আনন্দ-ফুর্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। পড়ার মত নীরস বিষয়ে সময় নষ্ট করার সময় তার নেই।

পন্ডিত মন খারাপ করে চলে গেলেন। বুঝতে পারল, রাজা কখনই পড়তে চায় না, অথচ রাজকীয় আভিজাত্য, গরিমায় জ্ঞানের রাজ্যেও তার অধিকার চায়।

পন্ডিত একদিন তাই রাজ দরবারে গিয়ে বলল, রাজামশাই , আপনার নির্দেশে আমি এক লাইনে মানুষের ইতিহাস রচনা করেছি। উজির, নাজির, সভাসদ সবাই উদগ্রীব হয়ে শোনার অপেক্ষা করতে লাগল।

পন্ডিত বলল, সংক্ষেপে, "এই পৃথিবীতে মানুষ জন্মগ্রহণ করে, খায়-দায়, আনন্দ-ফুর্তি, হাসি-কান্নার ভিতর দিয়ে বড় হয়, তারপরে সন্তানের জন্ম দেয়এবং একদিন মারা যায়"। এ হল মোটের উপর মানুষের ইতিহাস।

রাজা অত্যন্ত খুশী হলেন। তক্ষুণি তাকে 'জ্ঞানীরাজ' উপাধি দিলেন।

বইমেলায় গিয়ে আমার একবন্ধু, শুধু বইয়ের ফ্ল্যাপ পড়ে। এরপরে ঐ বই নিয়ে আড্ডায় চাপাবাজি করে। পরে একসময় ধরা পড়ল সে কখনও পুরো বই পড়ে না, এটা তার স্বভাবে নাই। বড়জোর কোন বইয়ের রিভিউ পড়ে, তারপর ঐ নিয়ে চেঁচামেচি করে।

আরেকজনকে জানতাম , এককালে বিতর্ক করতেন,এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক। উনিও বই পড়তেন না, ফ্ল্যাপ পড়তেন, কোটেশান মুখস্হ করতেন। কোরাণের একই আয়াত, আরবী, বাংলা, ইংরেজিতে মুখস্হ রাখতেন বিতর্কের প্রয়োজনে। রবীন্দ্রনাথের 'নলকুপ' নিয়ে লেখা কবিতা ঠোঁটস্হ, আমি হয়ত জানি না যে রবীন্দ্রনাথ এ নিয়ে কবিতা লিখেছেন। রসকস হীন বিষয় নিয়ে কবিগুরুর কবিতা কোট করে প্রতিপক্ষকে চমকে দেয়ার জন্যে তিনি ওটা মুখস্হ করেছেন।

এসব লোকের সাথে কথা বললে খুব জ্ঞানী মনে হয়। ও মা ! এত কিছু জানে!! নিজের উপর রাগ লাগে, আমি কেন জানি না। অবশ্য বিতর্কে আমার কোন আগ্রহ কোন কালে ছিল না।

বইমেলায় বইয়ের বিক্রয় বাড়ছে, লেখক, প্রকাশক সবাই খুশি। ফ্ল্যাপ/রিভিউ পড়া জ্ঞানীর সংখ্যাও বাড়ছে আশা করি। কিন্তু আসলে কতজন বই পড়ছে? Read more ...

বাংলা বই এর সাইট

নিচে কতগুলো বাংলা বই এর সাইটের নাম দিলাম আশা করি কাজে লাগবে। আপনাদের নতুন কোন সাইটের নাম জানা থাকলে জানাবেন।
http://www.murchona.com/
http://freebooks.50webs.com/
http://enterbangla.blogspot.com/
http://www.calcuttaglobalchat.net/
http://www.boipara.com/
http://www.boi-mela.com/
http://banglalibrary.com/
http://www.banglakitab.com/
http://www.anirban.com
http://www.somoy.com/Download1.htm
http://bangla.delda.com/
http://ancbooks.com/
http://vubon.com/
http://www.amazon.com/
http://www.bdbdangla.com
http://www.calcuttaglobalchat.net
http://www.banglabook.com/
http://www.boi-mela.com
http://www.ancbooks.com
http://www.banglabook.com/
http://www.arshi.org/
http://www.banglalive.com/archive.asp
Click This Link
http://bangla.verdantdreams.com/galpo.html
http://www.cs.toronto.edu/~zmhasan/BD/cartoon/
Click This Link
Click This Link
http://www.kobita.ws/
http://www.banglaclick.com
http://www.banglatorrents.com

সবচেয়ে ভাল হয়
http://www.esnips.com/
এ যেয়ে বই এর নাম বা লেখকের নাম লিখে সার্চ দেন

মুল লেখকঃমাহবুব জামান আশরাফী Read more ...

এমন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈশ্বরও বুঝি হিংসা বোধ করেন !

সাম্রাজ্যবাদী , শোষন আর অত্যাচারের বিরূদ্ধে প্রতিবাদী ও মহান বিপ্লবী চে গুয়েভেরার আজ ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৭ সালে আজকের এই দিনে পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব চে , বলিভিয়ায় 'বিপ্লব' প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামরত অবস্হায় মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তৎকালীন বলিভিয়ার শাসকগোষ্ঠির নির্দেশে সৈনিকদের কাপুরূষোচিত নির্মমতার শিকার হয়ে নিহত হন।অসম সাহসী এই বিপ্লবীর লাশ নিয়ে লুকোচুরিই বুঝিয়ে দেয় ,তৎকালীন শাসকগোষ্ঠির ভেতর কতটুকু আতংক ছড়িয়ে পড়েছিলো !

তার এই মৃত্যু তাকে পৃথিবীর বুকে 'কালজয়ী অমর বিপ্লবীর' আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। আজো সারা বিশ্বে তার ছবি ও নামাণ্কিত যে কোনো পণ্য বিক্রির তালিকায় থাকে শীর্ষে । ছবি তোলায় প্রচন্ড অনীহা ছিলো বিপ্লবের এই প্রবাদপুরূষের ! তিনি কি বুঝতে পেরেছিলেন,তার মৃত্যুর পরেও তার ছবিগুলো পুঁজিবাজারের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হবে ?

অথচ, তিনি মৃত্যুর আগেই কিউবায় সশস্শ্র বিপ্লব ঘটিয়ে সারা পৃথিবীতে শাসক শ্রেণীর বিরূদ্ধে রূখে দাড়াবার বীজ বুনে দিয়েছিলেন।তারই বিপ্লবী বন্ধু ফিদেল ক্যাষ্ট্রো আজো কিউবার অবিসংবাদিত রাষ্ট্রীয় প্রধান রূপে দেশ পরিচালনা করছেন।তিনি ইচ্ছা করলেই সারাজীবন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করতে পারতেন ।অথচ বিপ্লবীর আক্ষরিক প্রতিমূর্তিকে ভোগবিলাসী-আয়েসী জীবন কখনও স্পর্শ করতে পারেনি ,গোটা ল্যাটিন অ্যামেরিকার প্রান্তে প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন । তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন সারা পৃথিবীর নিপীড়ীত জনগোষ্ঠির মুক্তি !


১৯২৮ সালের ১৪ই জুন আর্জেন্টিনায় এই বিপ্লবীর জন্ম নেওয়ার জন্য শুধু আর্জেন্টাইন নয়,গোটা ল্যাটিন অ্যামেরিকাবাসী গর্বিত।ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তী ম্যারাডোনা পর্যন্ত গর্বভরে বাহুতে আঁকা বিপ্লবীর প্রতিকৃতি প্রদর্শন করেন !


পেশায় চিকিৎসক থেকে গেরিলা যোদ্ধা বনে যাওয়া এই মৃত্যুণ্জয়ী পৃথিবীর সব বয়সের মাণুষের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় মুখ। সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী জনতার হ্রদয়ে চে, অত্যাচার আর শোষনের বিরূদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণাও সংগ্রামের প্রতীক। কঠোর ধর্মান্ধ মৌলবাদী পর্যন্ত বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা করেন। আজকের বদলে যাওয়া কিউবার ব্যাপারে নানামত থাকলেও চে'র প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার ঘাটতি নেই বিন্দুমাত্র ! চে'র আদর্শে বলীয়ান হয়ে উঠুক বিশ্বব্যাপী অসহায় জনতা ...............

==সাধারণ মানুষের হ্রদয়ে স্হান পাওয়া মৃত্যুণ্জয়ী চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন== Read more ...

Thursday, October 16, 2008

How to start you GRE preparation?


How to start you GRE preparation? Well I started preparation for GRE around three months back, and this was the very same impasse that I landed in.

Q How to prepare? Why just follow the posts on TestMagic of course.
Q Where to prepare from? I'd recommend in order of preference (difficulty from challenging to a bore): Power Prep, Big Book, Barrons, Kaplan and maybe Princeton Review
Q What to prepare? How much time needed to prepare? Read on )


How much prep time?

Ok first of all, if you have the time available, I would suggest a 3-4 months prep time. Why? Well, since many of us come from Engineering or Non-literature backgrounds, we do not get the opportunity to built that large vocabulary set that ETS tests on. I feel 4 months is a sufficient time to make up for that deficiency. If you have a year at hand, thats even better. You really can ace the dreaded verbal section with that much prep. 4 months is enough to do the quantitative practice side by side too.


Vobabulary Building?

Ok, well and good. How to go about the vocabulary building? Well many people have suggested many different techniques, and at the end of the day, the one that will win is the one that suits you. I prefer the flash cards, and making them myself. They don't have to be cards, just get plenty of A4 size pages and and a paper cutter and start cutting cards of the apposite size. Make plenty of them. You can never have enough. And even after your GRE, you can still look at them to jolt your vocabulary. Maybe your kid brother and sister might use the same for their SATs or GREs or GMATs or if they are in good shape and you have no intention to humor the words further, you can sell them for some quick bucks he he he. I am sure many people would be interested hehe.

Now for the words. I'd suggest that you start with the Barrons 350 sth high frequency words. Go through the list once. Some words you would know. The ones which you don't know, make flash cards for them. It helps if you can put a definition and a short sentence, context or phrase for the word too. Context is important for remembering the words. It really makes the whole exercise worthwhile too, since you would remember the words long after you have given the GRE too. Leave some place on flash cards for future additions, e.g. synonyms you come across, difficult antonyms for the words, confusions etc. Yeah I know many of you would be "This seems like a lot of hard work", but trust me: you will have a really powerful vocabulary at the end of the day, which you can use to impress people in your otherwise daily routine too.

Ok, coming back to the word lists, first do the Barrons High Frequency. Some people go to cram the whole Barrons 3500 list. Ummm, I have come across people who knew the whole list, but only this list, and got words they were seeing for the first time. So in my opinion, if you are short on time, diversify the word lists. I would suggest you do the Princeton Review list next (around 350 words and very relevant). Next do the Arco list (another 300-400 words). Ok by now you have a decent inventory of words. Go for the Kaplan's List now. It will help you learn whole groups of words. There would be overlap, but you will encounter many new words too.

Another excellent source of words is the Big Book. It has some 27 actual administered paper GRE tests (2q and 2v sections each). Start giving the tests asap, and while you are at it, learn the new words from these tests. Remember these are the real tests, so you should know these words. By the end of the 27 tests, your vocabulary will be richer by another 500 or so words, not found in the previous lists.

Side by side, I'd suggest the use of some vocabulary building software like Guru's GRE (freeware available and can searched for on google.com). Its a nice easy way to learn new words. By now you would have learnt many words. So I'd suggest that you take all the 51 tests in Guru's GRE. You would know around 50-60 percent of the words. Don't guess on the words you don't know. The good thing is that the software remembers the words you didn't attempt. You can then continue to learn those ones.

Number2.0 has a good vocabulary building online engine. I'd recommend it wholly. Ok, now you can come back to the world of Barrons. I am assuming you still have some weeks left before the test. Go through the more common letters first like O, E, I, D, P, R, S, T, A, you etc. you and D help a lot with a lot of antonyms as in usage like dis- and un- which reverse the word. So you would be learning two words with each word.

And yes make flash card for whatever word you don't know, in Big Book or any other tests you take. The good thing with Flash cards is that you can dally with them on the run, say waiting for your friends to show up, or waiting for you meal in the office etc. Plus another good thing with flash cards is that you can "shuffle" them and "mix" with other sets of flash cards and "isolate" the ones you need to work on. Shuffling helps to break mononity and you get to see a new assortment of the order in which the words come. Mixing helps to do the same. Isolating the words you don't know allows you to concentrate on those words more easily and learn them. Plus flash cards allow you to look at a word in isolation and identify it. I have heard that with this technique, the minds forms a mental association with a flash card, and whenever you see the word again, the neurons do some V = IR^2s (thats the Ohm's law by the way ) and jolt your memory and volla the meaning comes to you.

Verbal Section:

Ok, apart from the vocabulary building, the other piece of advice I have for you in the verbal section is practice, practice and more practice and time yourself while doing it. Do practice at a stretch while your head hurts . Take a power prep early on, infact I would say that a dose of reality doesn't hurt you. So give the power prep within your first month of prep. You might feel depressed the next couple of days, but giving a Power Prep early on gives you a correct and verisimilar picture of where you actually stand and how much you need to go. So don't despair. Everyone does badly on the first few tests. Why? Coz ETS really sucks at making tests. The test doesn't check your intelligence or anything. It only sees if you have a huge vocabulary, whether you can run against the clock and if you have practiced or not. Thats it. That ladies and gentlemen, is the whole truth behind the GRE. Timing and pacing yourself, keeping a cool head, a good vocabulary and practice. You can signifantly improve your scores from those first dismal power prep scores, even by as much as 400 to 500 points. But practice and consistency would be the key.

Get the big book. It costs a lot, but its every penny worth it. No other book even comes close to the amount of practice that big book can offer you. Give the verbal tests. The timing is stringent as compared to the current GRE and that helps you to develop a good pace for attempting questions. The reading comprehension is difficult as hell, which is a good thing coz in the actual GRE the same is the case. And its a good vocabulary building exercise too.

As far as verbal strategies are concerned, I would recommend in order of preference : Kaplan, Barrons and Princeton Review. Princeton Review is in my opinion too easy to get to those high 600 + scores in verbal, but if its available, do try to go through all three.

Reading comprehension is a difficult section, and I would suggest that you make it a habit to read the English newspaper daily especially the editorials and columns. You can even subscribe online to Washington Post, New York Times or Wall Street Journal. Plus its a little expensive, but I really like the Economist for its strong English. You can see all the GRE words here at work. Read, read and read through those four months. The effects are threefold. First you are improving your vocabulary. Secondly you are assimilating ideas for your essays in AWA. Last but not the least, you are improving your Reading Comprehension. When you read some passage, attack it ! ... And no that doesn't mean that you start thrashing it around with a flail . It means scrutize it. What does it say? Whats the main topic and theme? Whats the actual scope, and what does the author hope to accomplish through this writing? Note the author's tone. It is sarcastic, approving, neutral, disparaging or skeptic etc. You will see that this exercise will increase your RC skills by leaps and bounds.

As far as analogies and sentence completions are concerned, I would again recommend the same three books plus practice from Big Book. And yes power prep exercises are an absolute must. It would be equivalent to sacrilege if you do not do them.


Quantitative Section:

Ok, not many of us Engineering students get the chance during undergraduate to indulge in high school maths while we are bogged by calculus and differential equations and stochastic processes and transforms. So its natural your basic math skills could rusty. True for other disciplines as well. If you are applying to Engineering or Sciences programs, a good quantitative score is an absolute must. So do not ignore quantitative. Start working on it from the earliest possible time. Barrons has a very good Maths review plus tips and so does Kaplan. The quantitative tests at the end of Barrons are more challenging than any other book that I have come across. Do those. Do the quantitative review from Power Prep as well, along with the exercises. And yes don't forget the big book. TO start with, it is difficult and a good source of practice. You need to do 30 questions in just 30 minutes, and you can really learn how to pace yourself. I would suggest you keep giving the tests from Big Book till you have successively obtained some 8-10 800 scores. Then if you want, you can give yourself a pat on the back and look elsewhere for more difficult problems, say the TestMagic Forum (www.TestMagic.com)

AWA:
Theres no better place than right here at TestMagic … During the run up to the GRE, try to write at least one essay per week to brushen up those writing skills. During the last, make it a point to go through the list of the issue prompts at least one. Just take out a topic, think about it mentally and move on to the next one. You save precious brainstorming time this way on the actual GRE.

And finally, once again, practice makes perfect. Theres no short cut for it, no surrogates or substitute. If you have any question, I will happy to answer it.

Regards,
Ali Read more ...

Wednesday, October 15, 2008

যুক্তরাষ্ট্রে ফান্ডিং নিয়ে পড়তে আসুন -২ (GRE).........কুম্ভকর্ন

জিআরই।
GRE মানে Graduate Record Examination। এটা ETS(Educational Testing Service) administer করে। জিমেট এডমিনিস্টার করে পিয়ারসন ভিউ। আগেই বলেছি জিআরই জিমেট থেকে ইজি। বিশেষ করে ম্যাথ পার্টটা পান্তাভাত! জিআরই তে টোটাল স্কোর ১৬০০। ম্যাথ বা কোয়ান্টিটেটিভ ৮০০ আর ভারবাল বা ইংলিশ ৮০০। জিআরই আর জিমেটের মধ্যে অনেকাংশেই মিল রয়েছে।
জিআরই পরীক্ষা হয় প্রমেট্রিক সেন্টারে। কমবেশি ৩.৫ ঘন্টার পরীক্ষা। জিমেটের মত এটিও কম্পিউটার এডাপ্টিভ। ম্যাথ আর ভারবাল ছাড়াও আরো একটা সেকশান রয়েছে যেটাকে এনালিটিকাল রাইটিং এসেসমেন্ট বা জিমেটের মত সংক্ষেপে Essay বলা হয়। এই স্কোরটা আপনার ১৬০০ স্কোরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না। রেজিস্ট্রেশান করতে হবে অনলাইনে ইটিএসের ওয়েবসাইটে। যুক্তরাষ্ট্রে টেস্ট ফি ১৪০ ডলার তবে দেশে ১৭০ ডলার। উল্লেখ্য জিমেট, জিআরই, টোফেল যেকোন পরীক্ষার জন্যই পাসপোর্ট লাগবে আর রেজিস্ট্রেশানের সময় খুব খেয়াল রাখতে হবে যেন পাসপোর্টের নামের বানান আর রেজিস্ট্রেশানের নামের বানান একই হয়। নাহলে পরীক্ষা দিতে দিবেনা। বার্থডেটাও একই হতে হবে।
জিআরই সেকশান কি কি থাকে।
জিআরই তে তিনটা সেকশান নিয়ে কিছু কথা বললাম।
১। Essay: জিমেট আর জিআরই রচনা একই রকম হয়। দুটাতেই আপনাকে দুটা রচনা লিখতে হবে। একটা এনালিসিস অফ ইস্যু আরেকটা এনালিসিস অফ আর্গুমেন্ট। তবে জিমেটে যেখানে দুটার জন্যই ৩০ মিনিট করে সময় থাকে সেখানে জিআরই তে ইস্যুর জন্য ৪৫ মিনিট আর আর্গুমেন্টের জন্য ৩০ মিনিট সময় থাকে। জিআরই-র রচনাগুলো আপনি যদি সায়েন্স পড়তে চান তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ না, তবে আর্টস, হিউমেনিটিজ পড়তে চাইলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোটামোটি ৪-এর উপরে পেলেই চলবে ৬-এর মধ্যে। জিমেটে যেভাবে টেম্প্লেট এপ্রোচের কথা বলেছিলাম জিআরই তেই একইভাবে টেম্প্লেট এপ্রোচ ব্যবহার করে ভাল করা যাবে। তার জন্য সাইফুর'স জিমেট/জিআরই Essay বইটা দেখুন। পরীক্ষা প্রথমে শুরু হয় রচনা দিয়ে। রচনাগুলো লেখার পর ১০ মিনিটের ব্রেক আছে।
২। ম্যাথ বা কোয়ান্টিটেটিভ:
আপনার পরীক্ষার ২য় সেকশানটা ম্যাথ বা ভারবাল যেকোনটাই হতে পারে। ম্যাথ স্কোর টোটাল ৮০০। বাংলাদেশের ছেলেদের জন্য ৮০০ তে ৮০০ পাওয়া খুবই কমন। এখানে জিমেটের মতই হাইস্কুল লেভেলের এরিথমেটিক, এলজেব্রা, জিওমেট্রি, ওয়ার্ড প্রবলেম এসব আসে। মোট ২৮টা প্রশ্নের ৪৫ মিনিট সময় থাকবে। তিন ধরণের প্রশ্ন থাকে। প্রবলেম সলভিং, কোয়ান্টিটেটিভ কমপেরিসন আর ডাটা ইন্টারপ্রিটেশান। প্রবলেম সলভিং জিমেটের মতই, আরেকটু হয়ত ইজি। কোয়ান্টিটেটিভ কমপেরিসনে দুইটা এক্সপ্রেশান থাকবে, যেগুলোর মধ্যে কোনটা বড়, কোনটা ছোট বা সমান এসব বের করতে হয়। কয়েক সপ্তাহ প্র্যাকটিস করলে এটা সবচেয়ে সহজ হয়ে যায়। যারা আন্ডারগ্র‌্যাডে স্ট্যটিসটিকস নিয়েছেন তাদের জন্য ডাটা ইন্টারপ্রেটেশন ডালভাত। না নিলেও ক্ষতি নেই। এখানে সাধারণত পাইচার্ট, বার-ডায়াগ্রাম এসবের উপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্ন থাকে। বলা যায় এটা সবচেয়ে সহজ পার্ট যদি আপনি নার্ভাস না হয়ে যান। কম্পিউটার এডাপ্টিভ হওয়াতেপ্রথম ৮/১০ টা প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেগুলোর জন্য একটু বেশি সময় দিতে হবে। ইদানিংকালে এভারেজ, মিডিয়ান, স্ট্যান্ডারড ডিভিয়েশান, প্রবাবিলিটি এসবের উপর প্রশ্ন আসতেছে। এদিকে একটু নজর দিতে হবে। ম্যাথ কিভাবে পড়বেন সেটা প্রেপ সেকশান বলব।
৩।ভারবাল:
জিআরই-র ভারবাল কঠিন। এতে কোন সন্দেহ নেই। জিআরই-র ভারবাল স্কোর ডিপেন্ড করে আপনি ভোকাবুলারিতে কিরকম সেটার উপর। ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে সায়েন্সের প্রোগ্রামগুলোতে ভারবাল স্কোরটা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করেনা। মোটামোটি ভারবালে ৮০০-র মধ্যে ৫০০-৫৫০ পেলেই ভাল প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। তবে হিউমেনিটিজ বা আর্টেসের সাবজেক্টগুলো্তে ভারবাল গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের অন্তত ৬০০+ পাওয়া উচিৎ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য। যাদের ইংলিশ স্কিলস ভাল না তারা কিভাবে ভাল করবেন সেটা জিমেটের পোস্টে বলেছি। তাই ইংলিশ ভাল করার জন্য ৫/৬ মাস কষ্ট করুন যেভাবে বলেছি সেভাবেই। ভারবালে মোট ৩০টা প্রশ্ন থাকে, সময় থাকে ৩০ মিনিট। উল্লেখ্য ম্যাথ এবং ভারবালের মধ্যে কোন ব্রেক নেই (জিমেটে আছে)। ভারবালে ৪ ধরণের প্রশ্ন থাকে। সেন্টেন্স কম্পলিশান, এন্টনিমস, এনালজি, রিডিং কম্পরিহেনশান। চারটার মধ্যে তিনটাই সরাসরি আপনার ভোকাবুলারী স্কিলসের উপর ডিপেন্ড করে। তাই ভোকাবুলারীটা জিআরই-র ভারবালের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেন্টেন্স কম্প্লেশান হচ্ছে আমরা ছোটকাল থেকে যে শুণ্যস্থান পূরণ করতাম সেই একই জিনিস, শুধু ইংরেজীতে। তবে বেশিরভাগ প্রশ্নে দুটা শুণ্যস্থান থাকে। এনটনিমস আর এনালজি পুরোপুরি ভোকাবুলারির উপর ডিপেন্ড করে। রিডিং কম্প্রিহেনশান নিয়ে যারাই জিআরই পরীক্ষা দেয় তাদেরই খুব চিন্তিত দেখা যায়। তবে জিমেটের রিডিং কমপ্রিহেনশানের চেয়ে জিআরই-র কম্প্রিহেনশান অনেকটাই সহজ। কিভাবে পড়বেন সেটা বিস্তারিত বলতেছি।
কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন।
যেসব ম্যাটেরিয়েলস লাগবে:
১। কাপলান জিআরই/জিমেট ম্যাথ ওয়ার্কবুক।
২। ব্যারন্‌স জিআরই।
৩। জিআরই বিগবুক।
৪। পাওয়ারপ্রেপ সফটওয়্যার।
৫। পার্টিসিপেশান ইন টেস্টমেজিক ফোরাম।
৬। সাইফুর'স GRE/GMAT Essays.
৭। ওয়ার্ড পাওয়ার মেড ইজি/ ওয়ার্ড স্মার্ট।
প্রথম তিনটা বই নীলক্ষেতে পাওয়া যায়। শেষের দুটাও। বিগবুকের সফট কপি এস্নিপসেও পাওয়া যায়। পাওয়ারপ্রেপ জিআরই-র অফিসিয়াল ইটিএস ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে। টেস্টমেজিক ফোরামের এড্রেস হল http://www.urch.com/forums/gre/ ফোরামে পার্টিসিপেট করলে আপনার পড়ালেখার আগ্রহ বাড়বে আর অনেক নতুন টেকনিক শিখতে পারবেন যা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
জিআরই প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ হল ওয়ার্ড শিখা। প্রথমে হল ওয়ার্ড কোনগুলো বা কোথ্থেকে শিখবেন। ডিকশনারীর সব শব্দ মুখস্ত করা সম্ভব নয়, দরকারও নেই। আপনার যদি আগে থেকেই ওয়ার্ড স্মার্ট বা
ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি পড়া থাকে তাহলে অনেক এগিয়ে আছেন। না থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার এখন সবচেয়ে বেশি লাগবে হচ্ছে জিআরই-তে ভাল করার অদম্য ইচ্ছা যেটা আপনাকে ওয়ার্ড শিখার জন্য ড্রাইভ করবে। এজন্য আপনি ফোরামে যে ডিব্রিফিংগুলো লেখা হয় সেগুলো নিয়মিত পড়বেন, তাহলে আপনার পড়ালেখারআগ্রহ বাড়বে। তবে সারাদিন ফোরামে বসে থাকলেও খুব ক্ষতি হবে, পড়ালেখা হবেনা। প্রতিদিন ১ ঘন্টা বা ৪৫ মিনিট সময় ফোরামে দেওয়া যায়।

ওয়ার্ড শেখা:
আমি আগেই বলেছি জিআরই-তে ভাল করার জন্য ওয়ার্ড শেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যারনসের বইয়ে ৩৫০০টা শব্দ আছে। এই শব্দগুলো আপনাকে জানতেই হবে। এগুলো না জানলে আপনি কোনমতেই পরীক্ষায় ভাল করবেননা। তার আগে আপনি ওয়ার্ড-পাওয়ার মেইড ইজিটা পড়ুন। সেটা পড়ে শেষ করতে যে কোন এভারেজ ছাত্রের ১৫ দিন মত লাগার কথা যদি প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা সময় দেন। এর পরেই আপনার শুরু হবে ব্যারনসের ওয়ার্ড শিখার পালা। এটা আপনার প্রেপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। ৫০টা ওয়ার্ড লিস্টের মধ্যে ৩৫০০ ওয়ার্ডের ১০০০ থেকে ১৫০০ ওয়ার্ড আপনার জানা থাকার কথা। না জানা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। এই ওয়ার্ড লিস্টগুলো আপনাকে ২ মাসে সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এজন্য আপনাকে ফ্ল্যাশকার্ড বানাতে হবে। যাতে আপনি সবসময়ই আপনার সাথে কয়েকটা ফ্ল্যাশ কার্ড রাখতে পারেন এবং ১ মিনিট সময় পেলেও একটু চোখ বুলাতে পারেন। ওয়ার্ড শিখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল রিভিউ করা। আপনি প্রতিদিন যতসময় নতুন ওয়ার্ড শিখার জন্য দিবেন অন্তত ততটুকু সময় পূর্বের শিখা ওয়ার্ড রিভিউ করার জন্য দিতে হবে। নাহয় কোনদিনই আপনি মনে রাখতে পারবেননা। তাছাড়া এই ওয়ার্ডগুলো যাতে কনটেক্স্ টে পান সে ব্যবস্থা করতে হবে। ইউসেজ না জেনে শুধু শুধু গাদাগাদা ওয়ার্ড শিখে কোন লাভ নেই। এজন্য নিয়মিত ইংরেজী পত্রিকা, জার্নাল, ম্যাগাজিন পড়তে হবে। সেখানে আপনি যখন শিখা ওয়ার্ডগুলো কনটেক্সটে পাবেন তখন আর কোনদিন শব্দগুলো ভুলবেননা। আপনি যদি মুসলিম হন তবে এই ওয়ার্ডগুলো কনটেক্সটে পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ইংরেজীতে কোরআনের আল্লামা ইউসুফের তরজমাটা নিয়মিত পড়া। (মওদুদীরটা পড়বেননা। ভুলভাল আছে।) এখানে জিআরই অলমোস্ট ৯০-১০০% শব্দগুলোই এসেছে। জিআরই-র ওয়ার্ডগুলো সবগুলোই একসাথে কনটেক্সটে থাকার অন্য কোন সোর্স আমার জানা নেই, থাকার কথাও না। এডিশনালি, আপনি ফাযায়েলে আ'মাল বইয়ের ইংরেজী ভারশানও পড়তে পারেন। অন্য ধর্মের হলে আপনি টাইম, নিউজউইক, ইকনমিস্ট, রিডার'স ডাইজেস্ট পড়তে পারেন। নীলক্ষেতে এসবের পুরাতন কপি বিক্রি হয়, এককপি মনে হয় ১০টাকা নেই। এভাবে রিলিজিয়াসলি ওয়ার্ড শিখলে সেটা শুধু জিআরই-র জন্যই নয়, আপনার সারা জীবনে আপনাকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। তাছাড়া শুধু ব্যারনসের ওয়ার্ডগুলো শিখতে পারলে আর মনে রাখতে পারলে আপনি ভারবালে ৬৫০+ পাওয়া গ্যারন্টিড। আর জিআরই-তে ১৪০০-র বেশি পেলেই আপনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ডিংসহ পড়াটা বলা যায় একেবারে হাতের কাছেই।

রিডিং কম্প্রিহেনশান:
জিআরই-র রিডিং কম্প্রিহেনশান নিয়ে সবাই ভুগে। সময় কম হওয়াতে আর পেসেজগুলো বোরিং হওয়াতেই সমস্যা। তবে জিআরই-র বিগবুকে এক্সপ্ল্যানেশান না থাকাটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে সেটা হল জিমেটের অফিসিয়াল গাইডটা কিনতে হবে। সেখানে প্রায় ৩০-৩৫টা রিডিং কম্প্রিহেনশান বিস্তারিত এক্সপ্লানেশান দেওয়া আছে। সেগুলো আপনাকে প্রথমবার কোন টাইমিং ছাড়া করতে হবে। তারপর ব্যাখ্যা বিস্তারিত পড়তে হবে। পরে আবার টাইমিংসহ করতএ হবে। এগুলো জিআরই-র পেসেজ থেকে টাফার এবং ইটিএসেরও বানানো। তাই এগুলো ভালমতে করলে জিআরই-র কম্প্রিহেনশান ডালভাত হয়ে যাবে।

ওয়ার্ড শেখা আর জিমেটের রিডিং কম্প্রিহেনশান করার জন্য আপনার ২-২.৫ মাস সময় লাগবে। এরই ফাকে ফাকে কিন্তু আপনাকে ফোরামে পার্টিসিপেট করতে হবে। আর ব্যারনসের বইটা প্রথম থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ করতে হবে। ম্যাথের জন্য কাপলানের জিআরই/জিমেট ম্যাথ ওয়ার্কবুক করতে হবে। এতে আপনার অন্যান্য সেকশানগুলোও ক্রমান্বয়ে হয়ে যাবে। রচনার জন্য টাইপিং স্পিড ভাল করতে হবে। সাইফুর'সের বইটা ফলো করবেন। ২.৫ মাস হয়ে যাওয়ার পর এখন আপনার আর ১ মাস লাগার কথা ভালমতে প্রেপ নেওয়ার জন্য। এসময়ে আপনি প্রথমে শুরুতে পাওয়ারপ্রেপ টেস্ট-১ দিবেন। দিয়ে আপনার বিস্তারিত স্কোর ডেটসহ কয়টা ভুল হয়েছে, কোন কোন প্রবলেম ভুল হয়েছে এসব লিখে রাখবেন। এরপরে বিগবুক শুরু করবেন। বিগবুকে মোট ২৭টা টেস্ট আছে। সেগুলো টাইমড কন্ডিশনে সল্ভ করতে হবে। তারপর ভুলগুলো কেন হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। কোন প্রশ্ন না বুঝলে ফোরমে পোস্ট করতে হবে। বিগবুক হচ্ছে জিআরই-র বাইবেল। বিগবুক যদি ভালমতে করেন তাহলে আসল জিআরই আপনার জন্য ইজি হয়ে যাবে। প্রতিদিন ২টা করে টেস্ট করবেন। ১৪ দিনে শেষ হবে। এরপরে আপনি পাওয়ারপ্রেপ-২ দিবেন। দেখবেন আপনার স্কোর অনেক ইমপ্রোভ করেছে। এই টেস্টে আপনি যা পাবেন আসল পরীক্ষায়ই আপনি তার কাছাকাছিই পাবেন। পাওয়ারপ্রেপ ১ আর ২ দেয়া হয়ে যাওয়ার পর আনইনস্টল করে, ডিলিট করে রিইনস্টল করুন এবং আরেকবার দুটাই দেন। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত আপনার ভুলগুলো ভালমতে এক্সপ্লানেশান পড়তে হবে, স্ট্র‌্যাটেজি ঠিক করতে হবে। ইনশাআল্লাহ এভাবে পড়লে আপনি জিআরই তে ১৪০০-র উপরে পাবেন।

Read more ...

যুক্তরাষ্ট্রে ফান্ডিং নিয়ে পড়তে আসুন -১(GMAT)...........কুম্ভকুর্ন

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন আগে নেপালের ছেলে ললিটের(আসলে তার নাম ললিত, এমেরিকান হতে চায় তাই বলে "ললিট") সাথে পরিচয় হল। কথাবার্তায় স্টুপিডটাইপ মনে হল। যারা এমেরিকান হতে চাই তারা সাধারণত স্টুপিড হয়! আমাদের দেশেও ইংলিশ মিডিয়াম আর প্রাইভেটের অনেক পোলাপাইনদের দেখি ফেইক এমেরিকান এক্সেন্টে কথা বলতে চেষ্টা করে! তো ললিট পূর্ণ স্কলারশিপ নিয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল-এ মাস্টার্স করতেছে। উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়টার র‌্যাংকিং সাধারণত ৫০-৭০ এর মধ্যে থাকে যুক্তরাষ্ট্রে তবে সাইন্সে আরো ভাল। তার জিআরই স্কোর হল ১১০০ এর কম! আমার মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার যোগাড়। শালার আমাদের দেশে বুয়েট, ঢাবি'তে অসাধারণ মেধাবী ছাত্ররা স্কলারশিপের জন্য হাহুতাশ করতেছে। আর এই ব্যাটা ফাউল স্টুপিড ললিট এখানে ১১০০ জিআরই নিয়ে স্কলারশিপ নিয়ে আরামে পড়তেছে।

আমি দেখেছি দেশে পোলাপাইন যুক্তরাষ্ট্রে আসতে তেমনভাবে আসতে না পারার কারন তথ্যের অভাব। মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ার পর পোলাপাইন বাইরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে। অথচ থার্ড-ইয়ার থেকে চিন্তাভাবনা করা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রে ভাল স্কলারশিপ পাওয়ার সবচেয়ে বড় শর্ত জিমেট/জিআরই। আমাদের পোলাপাইন জিমেট/জিআরই'র কথা শুনলেই ভয় পাইয়া যায়। এখানেই সমস্যা। জিমেট/জিআরই ৩/৪ মাস ভালমত প্রেপ নিলে খুব ভাল করা যায়, আর ভাল একটা স্কোর আপনাকে ফান্ডিংয়ের পাওয়ার জন্য খুবই হেল্পফুল। জিমেট/জিআরইতে ভাল করলে ধরে নেওয়া যায় আপনার ফান্ডিংয়ের কাজ ৮০% ডান। আজকের পোস্টে জিমেট নিয়ে আলোচনা করব। পরেরগুলোতে জিআরই, বিশ্ববিদ্যালয় সন্ধান, কন্টাক্ট আর এসওপি, রেকমেন্ডেশান, এপ্লিক্যাশান, ভিসা, ইন্টারভ্যু এসব নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে আছে।

জিমেট নাকি জিআরই?

প্রথমে আপনাকে চুজ করতে হবে কোন পরীক্ষাটা আপনার দেয়া দরকার। জিমেট নাকি জিআরই? আপনি যদি এমবিএ, বিজনেসে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি করতে চান তাহলে জিমেট। অন্য সবকিছুর জন্য জিআরই দিতে হয়। তবে মাস্টার্স ইন ফাইন্যান্স, ম্যাথেমেটিক্যাল ফাইন্যান্স, পিএইচডি ইন ফাইন্যান্সেও ৯৫% ইউনি জিআরই প্রেফার করে। অনেক সাবজেক্টের জন্য জিআরই অথবা জিমেট যেকোন একটা দিলেই চলে। আপনার কোন নির্দিষ্ট ইউনিতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে সে ইউনির ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নেন আপনাকে কোনটা দিতে হবে। যদি জিআরই অথবা জিমেট যেকোন একটা এক্সেপ্ট করে তবে জিআরই দেওয়াই ভাল। কারন জিআরই জিমেট থেকে আমাদের জন্য ইজি হবে।

প্রথমে জিমেট নিয়ে কথা বলা যাক।

GMAT মানে Graduate Management Admission Test। ম্যানেজমেন্ট শব্দটা দিয়ে বুঝতে পারতেছেন যে এটা বিজনেস পড়ার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সব এমবিএ'র জন্যই এটা লাগে। তবে সম্প্রতি কিছু কিছু স্কুল যেমন স্ট্যানফর্ড, এমআইটি জিআরই এক্সেপ্ট করা শুরু করেছে। জিমেটের টোটাল স্কোর ৮০০। মোটামোটি ইংরেজী জানা থাকলে আর ভোকাবুলারী স্কিলস ভাল হলে আমাদের দেশের বুয়েট বা ঢাবি বা অন্যান্য পাবলিক ইউনি এবং ভাল প্রাইভেট ইউনির পোলাপাইন তিন/চার মাস প্রেপ নিলে ৮০০-র মধ্যে ৬০০-৭০০ তুলতে পারবে। আমার পরিচিত অনেকে আরো অনেক ভাল করেছে। ৭০০-র উপরে পাওয়া দেশের কয়েক জনের সাথে আমার পরিচয় আছে। একজন ৮০০-র মধ্যে ৭৭০ আরেকজন ৭৪০ পেয়েছে আমার নিজের পরিচিত। আমি নিজে দেশে ১.৫ বছর আর এখানে গত ৫/৬ মাস জিমেট পড়িয়েছি। তাই সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি জিমেট শুনলে অনেকের রক্তে যে ভয়ের সন্ঞার হয় সেটার কোন ভিত্তি নেই। আপনি ভাল প্রেপ নিলে, ভাল ম্যাটেরিয়েলস থেকে পড়ালেখা করলে তাহলে ভাল করবেনই। জিমেটের ফি ২৫০ ডলার। পরীক্ষা হয় এআইইউবি বনানী'তে। পরীক্ষার সময় কমবেশী ৪ ঘন্টা। জিমেটে তিনটা সেকশান থাকে।

১। এনালিটিক্যাল রাইটিং এসেসমেন্ট অথবা আমরা যেটাকে Essay বলি সেটা। এই রাইটিং পার্টটা প্রেডিক্টেবল ফরমেটে থাকে বলে উত্তর করা সহজ। দুইটা রচনা লিখতে হবে, প্রত্যেকটার জন্য ৩০ মিনিট সময়। স্কোর হচ্ছে ৬। ৪ পেলেই হয়ে যায়। আর ৪ পাওয়া খুব ইজি। টেমপ্লেট এপ্রোচ নামে একটা পদ্ধতি আছে যেটা ইউজ করলে যে কেউ ৩/৪ ঘন্টা প্র্যাকটিস করলে ৫ পাওয়া একদম সহজ। তবে জিমেটের রাইটিং পার্টটা একদমই গুরুত্ব বহন করেনা। এই ৬ স্কোরটা আপনার আসল ৮০০ স্কোরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা সেপারেটলি আসে।

২। কোয়ান্টিটেটিভ বা ম্যাথ পার্ট। বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোকের জন্য ম্যাথ পার্টটা মোটামোটি সোজা। অন্তত ইংলিশ(ভারবাল) থেকে অনেক ইজি। এখানে হাই লেভেলের কোন ম্যাথ আসেনা। এরিথমেটিক, এলজেব্রা, জিয়মেট্রি থাকে। সবই ক্লাশ নাইন-টেন লেভেলের। দেশে ভাল প্র্যাকটিস ম্যাটেরিয়েল পাওয়া যায়। ম্যাথের স্কেইলড স্কোর ৫১। সাধারনত ২/৩ টার কম ভুল হলে ৫১ তে ৫১ পাওয়া যায়। ৪৫+ হলেই ভাল স্কোর ধরা হয়। কিভাবে প্রেপ নিবেন সেটা আমি একটু পরেই লিখব। এখানে দু'ধরণের প্রশ্ন থাকে। প্রবলেম সলভিং আর ডাটা সাফিসিয়েন্সি। প্রবলেম সলভিং আমাদের ট্র্যাডিশনাল অংকের মত। এমসিকিউ প্রশ্ন হবে। যারা আইবিএ-তে বিবিএ বা এমবিএ'র ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন তারা যেরকম প্রশ্ন পেয়েছেন এখানেও সেরকম, তবে একটু কঠিন। ডাটা সাফিসিয়েন্সি একই কনসেপ্ট পরীক্ষা করলেও প্রশ্নের ধরনটা ভিন্ন। তবে ডাটা সাফিসিয়েন্সি প্রবলেম সলভিং থেকে সহজতর।

৩। ভারবাল বা ইংলিশ। ইংলিশ পার্টে তিন ধরণের প্রশ্ন হয়। সেনটেন্স কারেকশান, রিডিং কমপ্রিহেনশান আর ক্রিটিক্যাল রিজনিং। সেনটেন্স কারেকশান আপনার গ্রামার স্কিলস পরীক্ষা করে। গ্রামার শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই গ্রামার সেই গ্রামার না! এই গ্রামারে ভয়েস, ন্যারেশান, টেন্স ওসব থাকেনা। মোটামোটি ৭/৮ ক্যাটাগরির ভুল থাকে সেগুলো আইডেন্টিফাই করতে পারলেই হয়। এর জন্য খুব ভাল বই পাওয়া যায় যেগুলো পড়লে সেনটেন্স কারেকশান ইজি হয়ে যায়। ক্রিটিক্যাল রিজনিং আপনার কমন সেন্স পরীক্ষা করবে। একটা আর্গুমেন্ট থাকবে যেটাকে স্ট্র্যাংথ্যান, উইকেন এসব করতে হয়। এটা মোটামোটি ইজি পার্ট। কিছুদিন প্র্যাকটিস করলে প্যাটার্ণটা ধরা যায়। রিডিং কম্প্রিহেনশান চিরাচরিত নিয়মের। একটা প্যাসেজ থাকবে যেটার উপর ভিত্তি করে আপনাকে ৩/৪টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এটার জন্য ভাল ইংলিশ স্কিলস দরকার।

ম্যাথের জন্য সময় ৭৫ মিনিট আর প্রশ্নসংখ্যা ৩৭টা। ভারবালের প্রশ্ন ৪১ আর সময় একই। তিনটা সেকশানের মাঝখানে দুবার ১০ মিনিটের অপশনাল বিরতি থাকে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সংগে সংগেই স্কোর পাওয়া যাবে। রাইটিং স্কোর পরে দেওয়া হয়। পরীক্ষা হয় কম্পিউটারে। এটাকে বলে CAT (Computer Adaptive Test)। এতে সবাই একই প্রশ্ন পাবেনা। ভিন্ন ভিন্ন লোক ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন পাবে এমনকি একই সময়ে পরীক্ষা দিলেও। আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর সঠিক না ভুল এর উপর নির্ভর করে পরের প্রশ্ন পাবেন। আবার ২য় প্রশ্নের উপর ডিপেন্ড করবে ৩য় প্রশ্ন। এভাবেই চলবে....।

কিভাবে প্রেপ নিবেন।

আপনাকে আগে জানতে হবে আপনার ইংলিশ স্কিলস কেমন। যদি ভাল না হয় তাহলে জিমেটে ভাল করা সম্ভব না। যদি ইংলিশ স্কিলস ভাল না হয় তাহলে ৬ মাস প্রথমে ইংলিশ স্কিলস ভাল করতে হবে। এজন্য আপনি ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি বা ওয়ার্ড স্মার্ট বইগুলো পড়ে ভাল ভোকাবুলারি আয়ত্বে আনতে হবে। সাথে সাথে ইংলিশ ফিকশান, নিউজপেপার, ম্যাগাজিন, জার্নাল এসব পড়তে হবে। যেকেউ যদি ৪-৬ মাস এভাবে সিস্টেমেটিক্যালি চেষ্টা করে তাহলে খুব ভাল ইংলিশ স্কিলস আয়ত্বে আনতে পারবে। ইংলিশ তো আরবীর মতই একটা ভাষা। বাংলাদেশের অশিক্ষিত লোকজন কোনদিন আরবী না জেনে মিডল ইস্টে গিয়ে ছয় মাসেই আরবী শিখে ফেলতেছে! তাহলে ইংলিশ না পারার কোন কারন নেই।

আপনার ইংলিশ স্কিলস যদি ইতিমধ্যেই ভাল থাকে অথবা ৫/৬ মাস চেষ্টা করার পর ভাল হয় তাহলে জিমেট প্রেপ শুরু করে দেন। ইংলিশ ভাল না খারাপ সেটা বুঝার জন্য যেকোন ইংলিশ ডেইলির এডিটরিয়াল পেজে কলামগুলো পড়ে দেখুন। যদি আপনি ভাল বুঝতে পারেন আর খুব কম সংখ্যাক শব্দই আপনার অজানা থাকে তাহলে জিমেটের জন্য আপনাকে মাথা ঘামাতে হবেনা। এটুকু ইংলিশ দিয়েই আপনি ভাল করবেন।

জিমেটের জন্য আপনার ৩/৪ মাস সময় লাগবে। যেসব বই দরকার হবে:
১। প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দা জিমেট
২। কাপলান জিআরই/জিমেট ম্যাথ ওয়ার্কবুক।
৩। অফিসিয়াল গাইড ফর দা জিমেট, ১১তম সংস্করন।
৪। জিমেটপ্রেপ আর পাওয়ারপ্রেপ সফটওয়ার(জিমেটপ্রেপ এমবিএ.কম আর পাওয়ারপ্রেপ অনলাইনে এস্নিপসে খূঁজতে হবে)
৫। সাইফুর'স জিমেটপ্রেপ সিরিজ।(৭টা বই আছে ওদের, অন্তত জিমেট ভারবাল আর ম্যাথ টেস্টপেপারস অবশ্যই লাগবে।)

প্রিন্সটন, কাপলান, অফিসিয়াল গাইড আর সাইফুর'স সবই নীলক্ষেতে পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে দাম ৩০০-৫০০ পড়বে।

প্রথমে আপনাকে শুরু করতে হবে প্রিন্সটন রিভিউ ক্র্যাকিং দা জিমেট
আর কাপলান জিআরই/জিমেট ম্যাথ ওয়ার্কবুক দিয়ে। প্রিন্সটন আপনাকে জিমেট কি, কিভাবে দিতে হবে, সব বেসিক ইনফরমেশান, ডাটা সাফিসিয়েন্সির বিশেষ টেকনিক, সব বিষয়ে স্ট্র‌্যাটেজির বিশেষ ধারণা দিবে। কাপলান ম্যাথ ওয়ার্কবুক আপনাকে জিমেটের ম্যাথের সাথে ভালমতে পরিচয় করিয়ে দিবে। প্রিন্সটন বইটা আপনাকে ১০/১২ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রিন্সটন পড়া হলে আপনি পাওয়ারপ্রেপের ক্যাট-১ পরীক্ষাটা দিবেন। এতে যা স্কোর আসবে তার সাথে আপনি আরো ১৫০-২০০ স্কোর যোগ করতে পারবেন ফাইনাল জিমেটে যদি আমার দেওয়া সাজেশান ফলো করেন। পাওয়ারপ্রেপ-১ এ আপনার কয়টা ভুল হল, কি কি প্রবলেম ভুল হল, কোন সাইডে উইকনেস বেশি এসব বিষয় খেয়াল করতে হবে। পরবর্তীতে এসব বিষয়ের উপর একটু বেশি জোর দিতে হবে। এরপরে আপনি নেক্সট ১ মাস সাইফুর'স জিমেট সিরিজের সেনটেন্স কারেকশান, ক্রিটিক্যাল রিজনিং, রিডিং কমপ্রিহেনশান আর ম্যাথ টেকনিক বইগুলা পড়তে থাকুন। নিয়মিত প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা পড়ুন। ১ মাসের মধ্যে আপনার স্কিলস অনেক বাড়বে। আপনি এগুলো শেষ হওয়ার পর পাওয়ারপ্রেপ ক্যাট-২ দিবেন। এতে দেখবেন আপনার স্কোর ক্যাট-১ থেকে অন্তত ১০০ বাড়বে। প্রথমটাতে ৪৫০ পেলে এটাতএ ৫৫০+ পাওয়ার কথা।

এরপরে আপনার প্রেপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় শুরু হবে। আমরা ইতিমধ্যেই দেড় মাসের মত সময় ব্যয় করেছি। নেক্সট ১ মাস আপনি অফিসিয়াল গাইড পড়বেন। অফিসিয়াল গাইডকে বাইবেল অফ জিমেট বলা হয়। কারন অফিসিয়াল গাইড যদি ভালমতে বুঝেন, সব প্রশ্ন করেন, সব এক্সপ্লানেশান ভালমতে পড়েন তাহলে আপনি জিমেটে ভাল করবেন সেটা গ্যারান্টিড। অফিসিয়াল গাইডের সেনটেন্স কারেকশান ৩ বার, ক্রিটিকয়াল রিজনিং আর রিডিং কম্প্রিহেনশান ২ বার, ডাটা সাফিসিয়েন্সির শেষের ৭০ টা আর প্রবলেম সলভিংয়ের শেষের ১০০টা প্রশ্ন ২/৩ বার করতে হবে। ডিটেল এক্সপ্লানেশান ভালমতে পড়তে হবে এবং নোট নিতে হবে। অফিসিয়াল গাইড ৩/৪ ভাগ শেষ হলে আপনি জিমেটপ্রেপ প্র্যাকটিস টেস্ট -১ দিবেন। আপনার আসল পরীক্ষা আর জিমেটপ্রেপ পরীক্ষা একদম একই। জিমেটপ্রেপ-এ আপনি যত পাবেন আসল পরীক্ষায় তার আশে পাশেই পাবেন। অফিসিয়াল গাইড সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর আপনি জিমেটপ্রেপ-২ দিবেন। আপনার হাতে পরীক্ষার আগে আর ১৫/২০ দিন থাকার কথা। এসময়ে সাইফুর'স জিমেট ভারবাল আর
ম্যাথ টেস্টপেপারস পড়েন। প্রতিদিন ২টা করে প্রশ্ন সেটা সলভ করেন। এক্সপ্ল্যানেশান পড়তে থাকেন। আর জিমেটপ্রেপ ২টাই দেওয়া হয়ে যাওয়ার পর আনইনস্টল করে রিইনস্টল করেন আর বারবার দিতে থাকেন।

এভাবে প্রেপ নিলে আপনি আপনার অপটিমাম স্কোর পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশান করতে হয় অনলাইন। এমবিএ.কমে। পরীক্ষা যে কোন সময় দেওয়া যায়। ইন্টারনেটে জিমেট প্রেপ নেওয়ার জন্য ভাল ফোরাম আছে। আমার সবচেয়ে ভাল লাগে টেস্টমেজিক.কম। সেকাহনে পার্টিসিপেট করলে অনেক কিছু শিখবেন।


জিআরই নিয়ে পরের পোস্টে লিখব।



তো লেগে যান জিমেট প্রস্তুতিতে। জিমেটে ভাল করুন আর যুক্তরাষ্ট্রে ভাল স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে আসুন। আপনার বন্ধু-বান্ধব সবাইকেই জিমেট-জিআরই দিতে উৎসাহিত করুন। সবাই লাইন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসুন।ভাল এডুকেশান নিয়ে দেশের জন্য কিছু করুন। আমরা করব জয়, নিশ্চয়ই।

পোস্টটা নিয়াজ মোর্শদের এই পোস্টের সুত্রধরে:

Click This Link


জিমেটের জন্য দরকারী লিংক:
১। রেজিস্ট্রেশান করুন এমবিএ.কমে।
২। টেস্টমেজিক জিমেট ফোরাম।
৩। জিমেটক্লাব জিমেট ফোরাম।
৪। বীট দা জিমেট Read more ...

Saturday, October 11, 2008

বিদেশী রূপকথা - হামিং বার্ড গুনগুন করে কেন ?

অনেক দিন আগে এক বনের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় বেশ বড় এক দুর্গ ছিল। দুর্গের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এক অদ্ভুত সুন্দর নদী। সেই দুর্গে এক রাজা বাস করতেন। রাজার ছিল একটি মাত্র ছেলে।
রাজার ছেলে মানে রাজপুত্র খুব সুন্দর গান গাইতে পারতো। সাধারণত সে দুর্গের বাইরে এমনকি বনেরও বাইরে গিয়ে গান গাইতো। তার গান বনের পশু-পাখি মুগ্ধ হয়ে শুনতো। সে কারণেই রাজপুত্র গান গাইতে শুরু করলে সব পশু-পাখি সেই গান শুনতে বনের বাইরে চলে যেতো। এ বনের পশুপাখিদের মালিক বা বনদেবতা তাদের বনের বাইরে গিয়ে গান শোনা কিছুতেই পছন্দ করতেন না। তাই সেই বনদেবতা রাজপুত্রের ওপর ভীষণ রাগান্বিত ছিলেন। কিন্তু এ জন্য কি করা যায় তিনি বুঝতে পারতেন না। অনেক দিন ধরে ভাবতে থাকলেন কি করে পশু-পাখিদের বনের বাইরে গিয়ে গান শোনাটা বন্ধ করা যায়। অবশেষে একদিন তিনি তার কাক্সিক্ষত সমাধান খুঁজে পেলেন।
এদিকে হয়েছে কি, রাজপুত্রের যথেষ্ট বয়স হওয়ায় রাজা ভাবলেন তাকে বিয়ে দেবেন। পাত্রীও ঠিক করে ফেললেন শিগগিরই। নাম সাবরিনা। রাজা সাবরিনার সঙ্গে বিয়ের কথা রাজপুত্রকে জানালেন। কিন্তু রাজপুত্র কি করবে ভেবেই পেল না। সে একবার ভাবলো, বাবাকে গিয়ে বলে সে বিয়ে করবে না। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলো একথায় হয়তো তার বাবা মনে কষ্ট পাবেন। তাই সে সাবরিনাকে বিয়ে করতে রাজি হলো। রাজপুত্র বিয়ের দিন দলবল নিয়ে বিয়ে করতে চললো। সে সময় বনদেবতা রাজপুত্রকে দেখতে পেলেন। অনেকদিন পর যেন তার সুযোগ এলো রাজপুত্রের ওপর রাগ ঝাড়ার। তিনি সময় নষ্ট না করে ধনুকে তীর পরিয়ে রাজপুত্রকে লক্ষ্য করে তীর ছুড়লেন। বিষাক্ত তীওে রাজপুত্র প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেল। রাজপুত্রের মৃত্যুর খবর শুনে বনের পশু-পাখি সবাই কাঁদতে শুরু করলো। তাদের কান্না স্বর্গের দেবদূতদের কানেও পৌঁছলো। তারা রাজপুত্রকে আবারও ফেরত পাঠাবে বলে সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু একটা শর্ত জুড়ে দিল রাজপুত্রকে। তারা রাজপুত্রকে বললো, আমরা তোমাকে আবারও পৃথিবীতে পাঠাচ্ছি; কিন্তু তোমাকে সামান্য একটু পরিবর্তন করে তারপর পাঠাচ্ছি। প্রায় চোখের পলকে রাজপুত্র স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে চলে এলো। সে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো, তার সারা শরীরে পালক জড়ানো। সে বুঝতে পারলো দেবদূতরা তার কি পরিবর্তন করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।
আসলে তারা রাজপুত্রকে একটা হামিং বার্ড বানিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল। Read more ...