সাম্রাজ্যবাদী , শোষন আর অত্যাচারের বিরূদ্ধে প্রতিবাদী ও মহান বিপ্লবী চে গুয়েভেরার আজ ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৭ সালে আজকের এই দিনে পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব চে , বলিভিয়ায় 'বিপ্লব' প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামরত অবস্হায় মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তৎকালীন বলিভিয়ার শাসকগোষ্ঠির নির্দেশে সৈনিকদের কাপুরূষোচিত নির্মমতার শিকার হয়ে নিহত হন।অসম সাহসী এই বিপ্লবীর লাশ নিয়ে লুকোচুরিই বুঝিয়ে দেয় ,তৎকালীন শাসকগোষ্ঠির ভেতর কতটুকু আতংক ছড়িয়ে পড়েছিলো !
তার এই মৃত্যু তাকে পৃথিবীর বুকে 'কালজয়ী অমর বিপ্লবীর' আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। আজো সারা বিশ্বে তার ছবি ও নামাণ্কিত যে কোনো পণ্য বিক্রির তালিকায় থাকে শীর্ষে । ছবি তোলায় প্রচন্ড অনীহা ছিলো বিপ্লবের এই প্রবাদপুরূষের ! তিনি কি বুঝতে পেরেছিলেন,তার মৃত্যুর পরেও তার ছবিগুলো পুঁজিবাজারের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হবে ?
অথচ, তিনি মৃত্যুর আগেই কিউবায় সশস্শ্র বিপ্লব ঘটিয়ে সারা পৃথিবীতে শাসক শ্রেণীর বিরূদ্ধে রূখে দাড়াবার বীজ বুনে দিয়েছিলেন।তারই বিপ্লবী বন্ধু ফিদেল ক্যাষ্ট্রো আজো কিউবার অবিসংবাদিত রাষ্ট্রীয় প্রধান রূপে দেশ পরিচালনা করছেন।তিনি ইচ্ছা করলেই সারাজীবন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করতে পারতেন ।অথচ বিপ্লবীর আক্ষরিক প্রতিমূর্তিকে ভোগবিলাসী-আয়েসী জীবন কখনও স্পর্শ করতে পারেনি ,গোটা ল্যাটিন অ্যামেরিকার প্রান্তে প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন । তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন সারা পৃথিবীর নিপীড়ীত জনগোষ্ঠির মুক্তি !
১৯২৮ সালের ১৪ই জুন আর্জেন্টিনায় এই বিপ্লবীর জন্ম নেওয়ার জন্য শুধু আর্জেন্টাইন নয়,গোটা ল্যাটিন অ্যামেরিকাবাসী গর্বিত।ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তী ম্যারাডোনা পর্যন্ত গর্বভরে বাহুতে আঁকা বিপ্লবীর প্রতিকৃতি প্রদর্শন করেন !
পেশায় চিকিৎসক থেকে গেরিলা যোদ্ধা বনে যাওয়া এই মৃত্যুণ্জয়ী পৃথিবীর সব বয়সের মাণুষের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় মুখ। সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী জনতার হ্রদয়ে চে, অত্যাচার আর শোষনের বিরূদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণাও সংগ্রামের প্রতীক। কঠোর ধর্মান্ধ মৌলবাদী পর্যন্ত বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা করেন। আজকের বদলে যাওয়া কিউবার ব্যাপারে নানামত থাকলেও চে'র প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার ঘাটতি নেই বিন্দুমাত্র ! চে'র আদর্শে বলীয়ান হয়ে উঠুক বিশ্বব্যাপী অসহায় জনতা ...............
==সাধারণ মানুষের হ্রদয়ে স্হান পাওয়া মৃত্যুণ্জয়ী চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন==
No comments:
Post a Comment