ছবি তোলা আজ অনেক সহজ কাজ। সবার হাতে হাতে ক্যামেরা। প্রায় মোবাইলেই ক্যামেরা বিল্টইন থাকছে। ডিজিটাল ক্যামেরার যুগে নেই ফিল্ম ডেভেলপের ঝামেলা। সে ছবি দিয়ে ওয়েব অ্যালবাম করতে পারেন। আবার অসম্ভব ভালো ফটো তুলে ফেলতে পারলে জিতে নিতে পারেন পুরস্কারও। এ রকম কয়েকটি সাইট নিয়ে আজকের আলোচনা।
ফটোশেয়ার হচ্ছে জন হপকিন্স বুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের একটি সার্ভিস। এ সার্ভিসের মাধ্যমে তারা
সারা বিশ্বে অলাভজনক সংগঠনগুলোকে সহায়তা করে আসছে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। এখানে যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের ছবি জমা দিতে পারবেন। শুধু জমা নয়, প্রয়োজনে ডায়েরি, ক্যালেন্ডার, পোস্টার বা যে কোনো পাবলিকেশনে ব্যবহারের জন্য ছবি এখান থেকে সংগ্রহও করা যায়। এ কার্যক্রমটিকে জনপ্রিয় করার জন্য সংগঠনটি ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। ২০০৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ছবি শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করে। এ বছরও এ রকম একটি প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। এ সাইটে সারা বছরই ছবি পাঠানো যায়। আর ছবি সাবমিট করা যায় একেবারে বিনামূল্যে।
http://www.interaction.org/
ইন্টারঅ্যাকশন হচ্ছে ইউএস বেসড বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কোয়ালিশন। তারাও ফটোগ্রাফিকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। ২০০৪ সাল থেকে তারা ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা করে আসছে। অ্যামেচার এবং প্রফেশনাল যে কেউ এটিতে অংশ নিতে পারে। এ সাইটে যে পেজে আপনি ফটো সাবমিট করতে পারবেন তার ওয়েব অ্যাড্রেস হলো http://www.interaction.org/media/photo_form_2007.html
http://picasaweb.google.com
পিকাসা একটি জনপ্রিয় ফটো অর্গানাইজিং সফটওয়্যার। বর্তমানে পিকাসা গুগলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এ সফটওয়্যারটি গুগল বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকে। পিকাসা এবং গুগল সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি ওয়েব সার্ভিস চালু করেছে, যার নাম পিকাসা ওয়েব অ্যালবাম। গুগল শুধু জি-মেইল ব্যবহারকারীদের এ সুবিধা দেয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে আপনি পাবেন ১ গিগাবাইট স্পেস, যেখানে স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির ৪,০০০ ছবি রাখা সম্ভব। পিকাসা সফটওয়্যার ব্যবহার করে অথবা ওয়েব অ্যালবাম থেকে সরাসরি ছবি আপলোড করা যায়। ছবিগুলো ভিন্ন অ্যালবাম তৈরি করে সাজিয়ে রাখা যায়। ও লিঙ্ক পাঠিয়ে অন্য যে কারো সঙ্গে ছবি শেয়ার করা যায়। আবার অপরের তৈরি অ্যালবামটি ডাউনলোড করেও নেয়া যায়। ছবিতে কমেন্ট দিতে পারবেন। তবে আপনি যে অ্যালবামগুলো পাবলিক করবেন, শুধু সেগুলো সবাই দেখতে পারবে। এসব কিছুই আপনি পাবেন বিনামূল্যে। অবশ্য অতিরিক্ত স্পেসের জন্য গুগলকে চার্জ দিতে হয়।
http://www.flickr.com/
ফ্লিকার একটি জনপ্রিয় সাইট। এটি ইয়াহু কম্পানির একটি শাখা প্রতিষ্ঠান। ইয়াহুতে যাদের অ্যাকাউন্ট আছে তারা সরাসরি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এতে প্রচুর ছবি আর্কাইভ করা আছে। ফ্লিকারের মাধ্যমে খুব সহজেই অ্যালবাম তৈরি করা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করা যায়। এখানে ছবি অর্গানাইজ করার জন্য বেশ কিছু অপশন আছে। পরিচিতজনদের সঙ্গে ছবির আদান-প্রদান করা যায়। বন্ধুর নতুন ছবি আপলোডের সঙ্গে সঙ্গেই আপনি জেনে যাবেন। আলাপ-আলোচনার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করা যায়। সেটি হতে পারে পাবলিক অথবা পুরোপুরি প্রাইভেট। ফ্লিকার প্রতি ক্যালেন্ডার মাসে ১০০ মেগাবাইট ছবি আপলোডের সুবিধা দেয়। তবে তাদের প্রো-অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হলে বছরে ২৫ ডলার দিতে হয়।
http://www.bdshots.com
এটি একটি বাংলাদেশি সাইট। এখানে বেশ কিছু অ্যালবামের মাধ্যমে ছবিগুলো সাজানো হয়েছে। আছে ই-কার্ড। এখান থেকে খুব সহজে পরিচিতজনদের বিভিন্ন দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ই-কার্ড পাঠাতে পারবেন। প্রতিটি অ্যালবামের মধ্যে আবার সাব-অ্যালবামের মাধ্যমে ছবিগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যালবামের ভেতরে যে বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে তা হলো প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিল্ডিং ও স্থাপত্য শিল্প, ঐতিহাসিক নিদর্শন, ফুল-ফল, পাখি, ধর্মীয় স্থাপনা এবং আরো অনেক কিছু।
আপনার নিজের ফটো অ্যালবাম তৈরি করতে পারবেন এখানে। সে জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বন্ধুদের লিঙ্কটি পাঠিয়ে দিতে পারেন অথবা আপনার ছবিকে ই-কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
সাইটটির যা নেই তা হচ্ছে কোনো চুক্তিপত্র। ছবি জমা দেয়ার সময় বা নেয়ার সময় কোনো চুক্তি করতে হচ্ছে না। এর ফলে এ সাইটের যে আইনি সমস্যা সেটা হলো যে কেউ ইচ্ছা করলে এখান থেকে ছবি নিতে পারবেন; কিন্তু সে ছবিটি কোথাও ব্যবহার করতে হলে ন্যুনতম যে শর্তগুলো অনুসরণ করতে হয় তার উল্লেখ নেই।
উল্লেখ্য, এ সাইটটি তৈরি হয়েছে একটি ওপেন সোর্স টুল ব্যবহার করে। আপনারা যারা ফটো গ্যালারির একটি সাইট তৈরি করতে চান তারা এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ডাউনলোড করার ওয়েব ঠিকানা http://gallery.sourceforge.net
সৈয়দ জিয়াউল হাবীব রুবন
তথ্যসূত্র: http://roobon.wordpress.com/2008/01/13/photography/
No comments:
Post a Comment